কুলসহ মিশ্র ফল চাষে সফল মাগুরার নাসির হোসেন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মাগুরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

কুলসহ মিশ্র ফল চাষ করে সফল হয়েছেন মাগুরা জেলার সদর উপজেলার রাউতারা গ্রামের তরুণ যুবক নাসির। এক সময় স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভের পর চাকরির চেষ্টা করেছেন তিনি। পরে নিজেই নিজের ভাগ্য বদলে কৃষিতে মনোনিবেশ করেন নাসির।

অল্প কিছু অন্যের জমি ইজারা নিয়ে ২০১৪ সালে প্রথমে কুল ও পেয়ারা চাষ শুরু করেন তিনি। এই ১০ বছরে কুলসহ মিশ্র ফল বাগান করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন তিনি। কৃষি বিভাগের পাশাপাশি তার এ সাফল্যে স্থানীয় কৃষকরাও খুশি।

বিজ্ঞাপন

পরে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতায় নিজের শ্রম ও মেধা দিয়ে সাফল্যের অনন্য শিখরে পৌঁছান নাসির। কৃষিতে তার মিশ্র ফল বাগানের জমির পরিমাণ ৪২ একর। যার মধ্যে মুনাফার টাকায় ১০ বছরে কেনা নিজের জমি ৩ একর।

নাসির জানান, প্রথমে পেয়ারা বরই দিয়ে ফল বাগান গড়ে সাফল্যের মুখ দেখে নাসির। সেই থেকে শুরু হয় তার বাগান গড়ার এই কার্যক্রম। যা এখন বিস্তৃত হয়েছে ৪২ একরে। যার মধ্যে এ মৗেসমে কুল চাষ হয়েছে ১০ একর।

বিজ্ঞাপন

নাসিরের মিশ্রফল বাগানে পৃথক পৃথক প্লটে বরই, পেয়ারা, ড্রাগন, পেঁপে, মাল্টাসহ নানা জাতের ফল চাষ হয়। এসব বাগানে অন্তত ২০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। প্রতি বছর খরচ বাদে নাসির তার কৃষি ফার্ম থেকে অন্তত ১৪ থেকে ১৫ লাখ মুনাফা অর্জন করে।

নাসির আরও বলেন, শিক্ষিত বেকার ও অন্যান্যরা সরকারি চাকরির পেছনে না ঘুরে যদি কৃষি কাজে আত্ম নির্ভরতার পথ খোঁজে তবে একদিকে যেমন ব্যক্তিগতভঅবে লাভবান হবেন, তেমনি কৃষিতে বিপ্লব ঘটবে।

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণের উদ্যানতত্ত্ববিদ শাহিনুজ্জামান জানান, শিক্ষিত বেকার ও অন্যান্যরা যদি নাসিরের মতো এ ধরনের কৃষি কাজে মনোযোগী হয়, তেমনি দেশ সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি আমাদের নতুন নতুন বাজার সম্প্রসারণ হবে। তরুণ কৃষকদের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি এগিয়ে যাবে।