স্বাস্থ্যসেবা এমন পর্যায়ে নেবো বিশ্ব হাততালি দেবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাতে চাই, যাতে সারাবিশ্বের মানুষ হাততালি দেয়। তারা যাতে বলে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেকদূর এগিয়েছে। আমাদের একটাই চাওয়া, স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর, আপনারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এ হলেই আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সব কনফারেন্স হবে। কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাবো না। এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাবো। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে, সব করবো।

স্বাস্থ্যখাতে এখন থেকে ‘কথা কম, কাজ বেশি’ হবে সামন্তলাল সেন বলেন, কথা কম বলতে ও কাজ বেশি করতে চাই। তাহলে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার ইচ্ছা পূরণ হবে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে ১১টার মধ্যেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই, এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় জড়িত মানুষ আছেন, তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। তাই, সময়ের মধ্যেই শেষ করবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজ আমি থাকতাম না। আমি আজ মন্ত্রী হতে পেরেছি। আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন, তারা আসতে পারতেন না।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মার্চ মাসে আমরা থাকতাম রাজধানীর ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পরে নিচে আসতেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি, তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল! তিনি সবচেয়ে বেশি যেটি চিন্তা করতেন, সেটি হলো, সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া। তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কয়েকবারই গিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার, নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবা দান করো তাহলে আমি সন্তুষ্ট। তাহলে আমি বুঝবো, আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম প্রমুখ।