লালমনিরহাটে জালিয়াতির মামলায় কারাগারে নিকাহ রেজিস্ট্রার
বিয়ের নকলে দেন-মোহরানায় জালিয়াতি করার মামলায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী এনকেএম লিটন মোল্লাকে (৩৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন লালমনিরহাট আদালত থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) নুরুজ্জামান চৌধুরী।
এর আগে সোমবার (১৮ মার্চ) জামিন না-মঞ্জুর করে জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম রেজাউল বারি।
হাজতবাস নিকাহ রেজিস্ট্রার এনকেএম লিটন মোল্লা আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের মৃত জাফর মোল্লার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নে নিকাহ রেজিস্ট্রোরের দায়িত্বে রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আদিতমারী উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল ওহাবের সঙ্গে ২০১৯ সালের ৪ মার্চ একই গ্রামের স্কুল-শিক্ষক নুরুল আমিনের মেয়ে আসমাউল হুসনার বিয়ে হয়। বিয়েতে দেন-মোহরানা নির্ধারণ করা হয় ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটান স্বামী আব্দুল ওহাব। এ ঘটনায় গৃহবধূ আসমাউল হুসনা বিয়ের নকলসহ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মেয়ে পক্ষকে দেওয়া নকলে ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী এনকেএম লিটন মোল্লা দেনমোহর লিখেছেন ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। একই নিকাহ রেজিস্ট্রারে ছেলে পক্ষের নকলে দেনমোহর লিখেছেন ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। একই নিকাহ রেজিস্ট্রার একই বিয়ের নকলে দেনমোহর জালিয়াতি করায় উভয় পক্ষই নিজেদের দেনমোহর প্রতিষ্ঠা করতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মামলায় নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গ্রেফতার এড়াতে এতদিন উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন নিকাহ রেজিস্ট্রার এনকেএম লিটন মোল্লা। অবশেষে, উচ্চ আদালতের মেয়াদ শেষে সোমবার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।