আনন্দ তরীতে এলো বিষাদ: নৌ ডুবিতে নিহত ১, নিখোঁজ ৮ 

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় একটি আনন্দ তরী নৌকা ডুবে গেছে। এতে একজন নিহত ও ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টা পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সাড়ে পাঁচটার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকা ভৈরব প্রান্ত থেকে ট্রলারে ২১ জন দর্শনার্থী নিয়ে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চর ভ্রমণ শেষে ভৈরবে ফেরার পথে একজন নিহত ও পুলিশসদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল উদ্ধারে যুক্ত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২২ মার্চ) সাড়ে পাঁচটার দিকে সুন্দরবন নামক পর্যটকবাহী নৌকা মেঘনা নদীতে গেলে বাল্কহেডের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত নামা একজন নারী নিহত হন এবং এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

নিখোঁজের মধ্য যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হল ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল (৩০) এবং তার স্ত্রী আনিকা বেগম (২০) ও দুই সন্তান। আনিকা বেগমের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার দড়িকান্দি গ্রামে। এছাড়াও ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বেনন দে, রুবা দে ও আরদে নিখোঁজ হন। বাকিরা সাঁতরে পাড়ে ওঠেন।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীর পাড় থেকে ২১ জন যাত্রী নিয়ে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে পর্যটনবাহী নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করে। গুরুতর আহত অবস্থায় দু’জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অজ্ঞাত নামা একজন নারীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করেছেন।

ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।
নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য নৌ পুলিশ নদীতে রয়েছে। অভিযুক্ত বাল্কহেডটি আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।