সংসদ নির্বাচনের দুই মাস পার হলেও বাগেরহাটের মোংলায় সহিংসতার রেশ কাটেনি এখনও। ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক চিলা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি হালিম হাওলাদারের নেতৃত্বে হামলা হয়েছে।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতেও নৌকা প্রতীকের সমর্থকের ওপর হামলা হয়েছে। এ হামলা থেকে রেহাই পায়নি ৮ বছরের শিশুও। এ ঘটনায় হালিম হাওলাদারসহ চার জনকে আসামি করে মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার দায়েরকারী মোঃ বেল্লাল সরদার বলেন, গত ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় তার ৮ বছরের শিশু সন্তান রাজা সরদারকে নিয়ে ঈদের জামা কাপড় কেনার জন্য তার জামাই সাইদুল শেখ এবং চাচাতো ভাই আলামিন সরদার মোংলা শহরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পূর্ব শত্রুতার জেরে চাঁদপাই ইউনিয়নের কানাই নগর এলাকার তালতলা গ্রামে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকে চিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হালিম হাওলাদার। হালিম হাওলাদার (৫০), তার বড় ভাই সত্তার হাওলাদার (৫৬), ছেলে সোহাগ হাওলাদার (২৭) ও সোহেল হাওলাদার (৩৭) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন মিলে নৌকার সমর্থক ও চিলা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে হালিম হাওলাদারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা বেল্লাল সরদার ও তার জামাই সাইদুল শেখকে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় বেল্লাল সরদারের কোলে থাকা ৮ বছরের শিশু সন্তান রাজা হাওলাদারকে মাটিতে আচড়ে কিল ঘুষি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এদিকে এ ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্য, হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি হালিম হাওলাদারসহ চার জনকে আসামি করে মোংলা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন বেল্লাল সরদার।
এজাহারের সত্যতা স্বীকার করে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে থানায় এজাহার দায়েরের কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিম হাওলাদারের ভাই আলম হাওলাদার ওরফে হাজী আলম বেল্লাল সরদারকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।