গুচ্ছ গ্রামের এক পুকুরে ধরা পড়ল ১০০ ইলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়াতে একটি পুকুরে ১০০ রুপালি ইলিশ মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মাছের ওজন প্রায় ৩৫০- ৫৫০ গ্রাম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাছ গুলো দেখতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গুচ্ছ গ্রামের যুগান্তর কিল্লার উত্তরের পুকুরে মাছ গুলো ধরা পড়ে। এর আগে, গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে ১০ কেজি রুপালি ইলিশ ধরা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আফছার উদ্দিন। তিনি জানান, একটি গুচ্ছ গ্রামে সাধারণত দুটি পুকুর থাকে। নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের যুগান্তর কিল্লা গুচ্ছ গ্রামে দুটি পুকুর রয়েছে। যুগান্তর কিল্লার উত্তরের বড় পুকুরটি লিজ নিয়েছেন আবদুল মান্নান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি এ পুকুরে গত কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছে। পুকুরটি ২৫টি পরিবার ব্যবহার করে।

তিনি আরও জানান, পুকুর থেকে মাছ ধরার জন্য মান্নান গত কয়েক দিন ধরে পুকুরে সেচ মেশিন বসিয়ে পানি কমান। পানি কমিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর রাতের দিকে পুকুরের জাল ফেললে ১০০টি ইলিশ ধরা পড়ে। গতকাল বুধবার একই পুকুর থেকে আরও ৮-৯ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। আশা করা হচ্ছে এ পুকুরে আরও ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে।

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.দিনাজ উদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানি পুকুরে প্রবেশ করলে তখন নোনা পানির সঙ্গে ইলিশ মাছও প্রবেশ করে। গত বছরও একই পুকুরে প্রায় ৪০-৪৫ কেজি ইলিশ ধরা পড়ে। এ বছর প্রথম ধামে এ ইলিশ গুলো ধরা পড়ে।

   

তাপদাহ থেকে বাঁচতে ঢাকার সবুজায়নে প্রয়োজন সমন্বিত বৃক্ষরোপণ



সাদিকুর রহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানী ঢাকা, ছবি: পিক্সাবে

রাজধানী ঢাকা, ছবি: পিক্সাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। বেড়েই চলেছে সূর্যের তেজ। অবিরাম তাপপ্রবাহে ঢাকার জনজীবনে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা; তখন ঢাকায় সবুজের গুরুত্ব অনভূত হচ্ছে।

নগর বনায়ণ বিশেষজ্ঞরা  বলছেন, রাজধানী ঢাকাকে অপরিকল্পিতভাবে ‘অতি নগরায়ণ’ করতে গিয়ে নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে তারা বলছেন, বৃক্ষরোপণের জন্য একটি বিজ্ঞান-ভিত্তিক সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজন। যা দীর্ঘদিন ধরে নগর কর্তৃপক্ষের কাছে অবহেলিত। তার ফলাফল এখন সবার কাছে স্পষ্ট— ব্যাপক বক্ষরোপণ সত্ত্বেও ঢাকাকে সবুজায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে নগর বনায়নের জন্য ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকায় জায়গার প্রকট সংকট রয়েছে।

চলমান তাপপ্রবাহে অনেকেই বড় পরিসরে বৃক্ষরোপণ অভিযান শুরুর জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে বৃক্ষরোপণ করলেই হবে না তার ‘সঠিক পরিচর্যাও’ হওয়া উচিত বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘বৃক্ষরোপণের পর চারা গাছ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম পানি দেওয়া এবং পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। যদি গ্রীষ্মের এমন তাপে গাছ রোপণ করি তবে বর্ষা পর্যন্ত সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘কিন্তু, বাস্তবতা হলো মানুষ বৃক্ষরোপণের কথা বলে কিন্তু তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন না।’, বলেন তিনি।  

জসিম উদ্দিন বলেন, পরিপক্ক গাছ সূর্যের তাপশক্তিকে বাধা দেয় এবং আর্দ্রতাকে বাষ্পীভূত করে পরিবেশের তাপমাত্রা কমিয়ে আনে।

এদিকে, সবুজায়ন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন দাবি করেন গত ১০ বছরে তারা ঢাকা শহরে ২০ লাখের বেশি গাছ রোপণ করেছে। যদি এ বিষয়ে তাদের কাছে সরকারি কোন পরিসংখ্যান নেই। সেই সঙ্গে রোপণ করা গাছগুলো সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা পেয়েছিল কিনা- তারা নিজেও জানে না।  

তারা জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ কিছু সংস্থা বিভিন্ন সময় নতুন চারা রোপণ করে। কিন্তু, সেই গাছগুলো অবহেলায় নষ্ট হয়ে যায়। এসব কারণেও ঢাকা সবুজায়ন হয় না বলে মন্তব্য করেন তারা।

তারা আরও যোগ করেন, একইভাবে, পরিপক্ব গাছ কেটে ফেলে কংক্রিটের দালান-কোঠা, বাজার, রাস্তা এবং বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি করেছি। বলা যায়— দিনে দিনে গাছ কাটার মতো একটি বেআইনি কাজ  'স্বাভাবিক' হয়ে উঠেছে।

‘ঢাকা সিটিতে শহুরে সবুজ স্থানের বর্তমান অবস্থা এবং ঐতিহাসিক পরিবর্তন: একটি রিমোট সেন্সিং ড্রাইভেন অ্যাপ্রোচ’ শিরোনামের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ঢাকা শহর ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তার ৫৬ শতাংশ গাছপালা হারিয়েছে এবং এর শহুরে আচ্ছাদন ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ক্রমহ্রাসমান সবুজায়ন ঢাকা শহরের গড় গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বৃদ্ধির  অন্যতম কারণ।

১৯৮৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকার উপর তাপপ্রবাহের ফ্রিকোয়েন্সি এবং সময়কাল বাড়ছে।

'আন অ্যানালাইসিস অফ ল্যান্ড সারফেস টেম্পারেচার অব দ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এরিয়া ইন দ্য ল্যান্ডস্যাট ইমেজ অ্যাপ্লায়িং বাই ল্যান্ড সারফেস টেম্পারেচার' শীর্ষক আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৮ এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ভূমি পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মার্চ মাসে ২.৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মে মাসে ৩.৭৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। গবেষণাটিতে সর্বাধিক নির্মাণকাজ চলে এমন অঞ্চলগুলোর জন্য উল্লেখযোগ্য হারে উষ্ণতা বাড়ার প্রবণতা শনাক্ত করা হয়েছে।

সবুজায়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, ঢাকায় নতুন চারা রোপণের জন্যও জায়গাও পাচ্ছে না। শহরের ৮০ শতাংশেরও বেশি এখন বিল্ট-আপ এলাকা হিসাবে ম্যাপ করা হয়েছে।

দেশের স্বনামধন্য পরিবেশ সংস্থা গ্রিন সেভার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনির মতে, ঢাকায় বছরে ৫০ হাজার চারা রোপণের জায়গারও অভাব রয়েছে।

ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছাড়া, বৃক্ষরোপণের জন্য সরকারি মালিকানাধীন কোনো জমি অবশিষ্ট নেই। সরকারি মালিকানাধীন জমিগুলো বিভিন্ন সরকারি সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে; যারা মাঝে মাঝে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাছ লাগায়। তবে বৃক্ষরোপণ নিয়ে তাদের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো সমন্বয় নেই।

রাস্তার মাঝখানের জায়গার মালিকানা সিটি করপোরেশনগুলোর। বন নগরায়ণ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শহুরে বনায়ন ও তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনগুলো ভূমিকা রাখতে পারে।

কিন্তু এখানে কি করতে হবে?

বনায়নের একমাত্র উপযোগী রাস্তার মাঝামাঝি জায়গায় গাছ লাগানোর জন্য টেন্ডারে কাজ করে সিটি করেপারেশনের ঠিকাদাররা। কিন্তু সেখানে শুধু সৌন্দর্যবর্ধন করা গাছ দেখা যায়। আর এই গাছপালা ক্ষণস্থায়ী এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচও বেশি।

এসব গাছের পরিবর্তে, ঢাকায় বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা কমাতে এবং জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে এমন ছাউনিযুক্ত গাছের প্রয়োজন, বলছেন গ্রিন সেভারস আহসান রনি।

রনি মনে করেন, রোপণের আগে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গাছ নির্বাচন করা উচিত। তিনি ঢাকার জন্য ঔষধি ও ফলের গাছের সুপারিশ করলেও সতর্কতামূলক বৃক্ষরোপণের ওপর জোর দেন। উদাহরণস্বরূপ, পলাশ, শিমুল, ডুমুর এবং অন্যান্য গাছ, যেগুলোতে পাখির ঝাঁক আশ্রয় নেয়।

তিনি বলেন, ‘আমি রাস্তার মাঝামাঝি বা ফুটপাতে কৃষ্ণচূড়া (ডেলোনিক্স রেজিয়া) লাগানো পছন্দ করিনা কারণ এই সংবেদনশীল গাছটি কাটার কারণে বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।’

রনিকে সমর্থন করে উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক জাসিম মনে করিয়ে দেন, চারা রোপণ, পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত তাদের বেঁচে থাকা এবং শহুরে বনায়ন তৈরি করা সবই বিজ্ঞানের অংশ। তাই বন বিভাগের ছত্রছায়ায় (বন বিশেষজ্ঞদের একমাত্র সরকারি শাখা), নগর কর্তৃপক্ষের সকল স্টেকহোল্ডার এবং উদ্ভিদবিদ্যা বিশেষজ্ঞদের সমন্বিতভাবে কাজ করা উচিত।

জাসিম আরও বলেন, এ প্ল্যাটফর্মটি ঢাকা শহরের ২৫ শতাংশ অঞ্চলের প্রয়োজনীয় সবুজায়নের জন্য একটি রোডম্যাপ সেট করতে বাধ্য করবে। যদি তা হয়  তবে আমরা ১০-১৫ বছর পরে সহনীয় গ্রীষ্ম দেখতে পাব।

বন বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন অধ্যাপক জাসিমের ‘সুপারিশকে ইতিবাচক’ মনে করেন।

সাজ্জাদ বলেন, ‘শহরের জমির মালিকানা বিভাগটি প্রযুক্তিগত দক্ষতার সাথে ঢাকার নগর বনায়নে নেতৃত্ব দিতে পারে। কাঙ্ক্ষিত সবুজায়ন নিশ্চিত করতে নগর কর্তৃপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ সমন্বয় প্রয়োজন।’

;

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে পর্যটকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে মোবাইলে কথা বলতে বলতে ঢলে পড়ে এক পর্যটকের আকষ্মিক মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালের দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।

সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই পর্যটকের নাম মতিউর রহমান (৪০)। 

লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ উসমান জানান, সুগন্ধা পয়েন্টে ওই লোক ফোনে কথা বলতে বলতে হঠাৎ মাটিতে ঢলে পড়ে যান।

বিচকর্মী মো. হোসেন জানান, সুগন্ধা পয়েন্টে হঠাৎ দুর্বল হয়ে মাটিতে পড়ে যায় ওই পর্যটক। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে আনার পথে ওই পর্যটকের মৃত্যু হয় বলে জানান।

বীচ কর্মী উজ্জ্বল জানান, নিহত পর্যটকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং এলাকায়। ইতিমধ্যে তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর খবর শুনে মতিউর রহমানের স্ত্রী এবং সন্তানেরা কক্সবাজারে আসছেন।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পর্যটক মতিউর রহমানের মৃত্যু হয়েছে।

 

;

ময়মনসিংহে বাস চাপায় সিএনজির ২ যাত্রী নিহত 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় বাস সিএনজি সংঘর্ষে নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৪ জন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের রঘুরামপুর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. পলাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, শেরপুরগামী একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজির সাথো মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। এই ঘটনায় আহত হয় আরও ৪ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছেন। তাৎক্ষণিক নিহতের নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি তিনি।

;

উচ্ছেদ আতঙ্ক

ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জে এলাকাবাসীর মানববন্ধন-ঝাড়ু মিছিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে উচ্ছেদ আতঙ্কে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে গাংচিল বাজারে এ মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে এলাকার শত শত নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানা গেছে, চলএলাহী ইউনিয়নের গাংচিল গ্রামে বাপ-দাদার ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ আতঙ্কে ভূমিদস্যু আক্তার হোসেন ও মিলনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ করেন, কয়েক যুগ ধরে তারা গাংচিল বাজারের পাশে বাপ-দাদার ভিটেমাটিতে বসবাস করে আসছেন। এরই মধ্যে স্থানীয় ভূমিদস্যু আক্তার হোসেন ও মিলন শত শত পরিবারের বসতভিটা দখলের পাঁয়তারা শুরু করেছেন। তারা জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে নিজেদের পরিবারের সদস্য ও ছেলে-মেয়েদের নামে বসতভিটাগুলি রেকর্ড করে ফেলেছেন। এখন তাদের সে সব ভিটামাটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু করেছেন। যে কোনো সময় তারা ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ দিয়ে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। সে কারণে তারা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের সেলফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনকল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং সেইসঙ্গে ভূমিদস্যু জাল-জালিয়াতির ‘প্রধান হোতা’ আক্তার হোসেন ও অপর্কমের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

;