চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এক কবিরাজ নিয়েছিলেন ৯ লাখ টাকা। প্রতারণা বুঝতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী। পরে অভিযান চালিয়ে সেই ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গ্রেফতারকৃত কবিরাজকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গ্রেফতারকৃত ভন্ড কবিরাজের নাম মো হুমায়ুন কবির (৫৩) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় আল্লাহর দান আজমিরি কবিরাজি দাওয়াখানা-২ নামে একটি কবিরাজের দোকান দিয়ে স্থানীয়দের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। স্থানীয়রা সবাই তাকে কবিরাজ হিসেবেই চেনে।
ভুক্তভোগী শাহাব উদ্দিন ভুঁইয়া একই এলাকায় বসবাস করে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। চাকরিতে প্রমোশন ও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে কবিরাজ তাঁর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েছেন। পরে কাজ না হলে টাকা ফেরত চাইলে উলটো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন সেই কবিরাজ।
বিজ্ঞাপন
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব সাহা বলেন, প্রতারণার অভিযোগে এক ভন্ড কবিরাজকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের ২০২৪ সালের কার্য নির্বাহী কমিটি বিলুপ্ত করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত নোটিশে নাছিমুল হক বুলবুল (ডেইলি ইন্ডাস্ট্রি) আহ্বায়ক, আসাদুর রহমান জয় (এনটিভি/আমাদের সময়/ ইউএনবি) সদস্য সচিব, মো. আবু বকর সিদ্দিক (মাই টিভি /ভোরের কাগজ) সদস্য, এম আর ইসলাম রতন (প্রতিদিনের বাংলাদেশ/একুশে টিভি) সদস্য এবং একে সাজু (ডিবিসি নিউজ) কে সদস্য করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ আবু বকর সিদ্দিক জানান, সম্প্রতি নওগাঁ জেলার প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন অনিয়মহ বিতর্কিত কার্যক্রম সংঘটিত হওয়ার কারণে সদস্যদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া পেশাদার বেশ কিছু সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের বাইরে থেকে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন, এ নিয়ে প্রশাসনসহ সর্ব মহল অসন্তোষ প্রকাশ করায় সার্বিক বিষয়ে বিবেচনা করে নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে আহবায়ক কমিটি প্রেস ক্লাবের নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করা হয়েছে। সকল সদস্যবৃন্দকে নতুন আহবায়ক কমিটিকে সার্ভিস সহযোগিতা করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ৬ কর্মকর্তা পদোন্নতি পেয়েছেন। গত ১২ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে তাদের নামে প্রজ্ঞাপন জারি করে এ প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
উপসহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত ছয় কর্মকর্তাকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
এ সময় অধিদপ্তরের পরিচালকসহ অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।
অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে র্যাংক ব্যাজ পরিধান অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্ব সততার সঙ্গে সুচারুরূপে প্রতিপালনের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকল দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে জেলা কর্মকর্তার দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানমাল রক্ষায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ নিবেদিতভাবে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ভাবমূর্তি সমুজ্জ্বল রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এরপর পরিচালকগণ ও অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান মহাপরিচালক।
ছেলের ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি শর্টগান ও ২৪ রাউন্ড গুলি। অস্ত্র ও গুলির বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় এই দম্পতির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা করবে পুলিশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে। পরে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান জানান, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে তাকে নজরদারিতে রাখছিলাম। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোরে সস্ত্রীক তাকে গ্রেফতার করি।
তিনি আরও বলেন, মতিউরের বাড়ি থেকে পাওয়া শর্টগান ও ২৪ রাউন্ড গুলি ২০২১ সালের পর রিনিউ করা হয়নি। আবার সরকারের আদেশে সবাই অস্ত্র জমা দিলেও তিনি তা থানায় জমা দেননি। দুদকের মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হবে এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা করবে।
রিমান্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, এটা নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে এনবিআরের সাবেক এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকে সাতটির বেশি মামলা রয়েছে। যাতে দুই স্ত্রী ও সন্তানদের আসামি করা হয়েছে। এনবিআরে থাকাকালে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান মতিউর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে নয় জন কৃষক স্থানীয় কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেছেন। তারা এসব উৎপাদিত সার নিজেদের জমিতে ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন।
রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছেড়ে ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচো সারের দিকে ঝুঁকছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষকেরা। রাসায়নিক সারের ক্ষতিকারক দিক বিবেচনা করে কৃষকরা এখন ব্যাপক হারে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার শুরু করেছেন। ফলে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের উৎপাদন।
জানা গেছে, জমিতে অতিমাত্রায় বালাইনাশক, আগাছা নাশক, কৃত্রিম রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় দিন দিন মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই ভূমিকা রাখছে কেঁচো সার। বালাই নাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে বিনষ্ট মাটির উর্বরতা শক্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম এই ভার্মি কম্পোস্ট।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো) সার তৈরির উদ্যোক্তা কৃষক মো. সুমন আলী, তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ছায়াযুক্ত স্থানে স্থানীয় কৃষি অফিসের আর্থিক সহায়তায় চৌগাছা স্থাপন করেছে। এতে পুরোনো গোবর আর কেঁচো দিয়ে রিংগুলো ঢেকে রেখেছেন। প্রতিটি চৌগাছায় দুই থেকে আড়াই হাজার কেঁচো রয়েছে। প্রথমে ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর চৌগাছা থেকে ৩৫০০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি হয়।
গোমস্তাপুর ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের গুনতে হয় তিন থেকে চার গুন টাকা।অন্যদিকে এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
পার্বতীপুর ইউনিয়নের আরেক কৃষক ফাইজুদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার উৎপাদিত কম্পোস্ট সার আমি আমার জমিতে ব্যবহার করি। ব্যবহার করার পরে আমি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রি করি। উৎপাদিত কম্পোস্ট সার ১৪-১৫ টাকা দরে নিজের চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন কৃষকদের কাছে বিক্রি করি। এতে আমি আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান। তাই এই কেঁচো সার বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছি।
গোমস্তাপুর ইউনিয়ন কৃষি অফিসের উপসহকারী শেখ মোঃ আল ফুয়াদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেঁচো সার ব্যবহারে মাটির জৈবশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পিএইচ মান সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়াও মাটির প্রকৃত গুণ রক্ষা করে, মাটির পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ফসলে পানি সেচ কম লাগে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, মাটিকে ঝরঝরে করে ও বায়ু চলাচল বৃদ্ধি করে, উদ্ভিদেও শেকড়ের মাধ্যমে শোষণক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে, বীজের অঙ্কুরোদগম শক্তি বৃদ্ধি করে ও গাছকে সুস্থ-সবল রাখে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এতে কৃষকের চাষ খরচ অনেক কম হয়, ফসলের ফলন বৃদ্ধি ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, জৈব সার প্রদানের জন্য আমরা কাজ করেই যাচ্ছি উঠান বৈঠক, মাঠ দিবসেও কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। জৈব সারের উপকারিতা ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন শাক-সবজি, ফলবাগানে এ সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আর এর ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে, মাটিতে বায়ু চলাচল বাড়ে। পানির ধারণক্ষমতা বাড়ে ও বিষাক্ততা দূরীভূত হয়। এছাড়া মাছ চাষের ক্ষেত্রে কেঁচো সার প্রয়োগ করে কম খরচে অতি দ্রুত সুস্বাদু মাছ উৎপাদন করে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। নিজেদের বাড়িতে পালিত গরুর গোবর অথবা সামান্য দামে গোবর কিনে এই সার উৎপাদন করা যায়। গোমস্তাপুর উপজেলা এই সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়া ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে মাটি স্বাস্থ্যবান হয়। বিষমুক্ত শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো সার খুবই কার্যকর। একজন কৃষক এই সার একবার ব্যবহার করলে, তিনি নিজের তাগিদে এই সারের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।