দূষিত শহরের শীর্ষে চিয়াং মাই, ঢাকার পরিস্থিতি কী?
বায়ুমান নিয়ে ঢাকাতে নেই স্বস্তির খবর। দিনে দিনেই ঢাকার বাতাস বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সকালেও শহরটির বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাইয়ের বাতাসে।
এদিন সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৪২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১১ নম্বর অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।
তবে দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চিয়াং মাই শহর। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৬৪। আর ১৬১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর, ১৫৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের করাচি শহরের স্কোর ১৫৫।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।