সিরাজগঞ্জে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ জন ইউপি সদস্যের অনাস্থা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানান অনিয়মের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছেন ৯ জন ইউপি সদস্য। অনাস্থা প্রস্তাবে বলা হয়, চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিকী বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে দুর্নীতি, ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স এবং উপজেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ১ শতাংশ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।  

রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসক ও রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ৯ ইউপির সদস্যের স্বাক্ষরিত এ অনাস্থাপত্র জমা দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান অনাস্থাপত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ৯ সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবটি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনাস্থাপত্রে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেন, তিন অর্থ বছরে ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স, ভূমি উন্নয়ন কর ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে পাওয়া অর্থ এবং উপজেলা থেকে প্রাপ্ত ১ শতাংশ অর্থ কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করে তা আত্মসাৎ করে আসছেন চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক। উন্নয়ন তহবিল, কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য), কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা), টিআর (টেস্ট রিলিফ), এডিপির (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) প্রকল্পগুলো একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোনোটা আংশিক, কোনোটা বাস্তবায়ন না করে অর্থ আত্মসাৎ করছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মেরামতের জন্য বরাদ্দ করা অর্থও আত্মসাৎ করেছেন চেয়ারম্যান আবু বক্কার। বয়স্ক ভাতা, বিধবাভাতা ও মাতৃকালীন ভাতার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের রেজুলেশন ছাড়া নিজের পছন্দমতো ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করে উপজেলা পাঠাচ্ছেন। ইউপি সদস্যদের কাছ থেকে তালিকা না নিয়ে ভিজিএফ কার্ডের তালিকা উপজেলা পাঠিয়েছেন তিনি। মিটিং না করে ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে ইউপি সদস্যদের রেজুলেশনে স্বাক্ষর নিয়ে আসছেন চেয়াম্যান সিদ্দিক।

পরিষদ ভবনে পর্যাপ্ত কক্ষ থাকা সত্ত্বেও তিনি একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে ইউপি সদস্যদের জন্য বসার ব্যবস্থা রাখেননি। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বেচ্ছাচারী ব্যক্তির সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার সুযোগ না থাকায় অনাস্থা প্রস্তাব আনছেন ইউপি সদস্যরা। 

এ বিষয়ে নলকা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই। আমি ওই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করিনি। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এই অভিযোগ করা হয়েছে।

নলকা ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ যে কেউই দিতে পারেন। সেই অভিযোগ কতটু সত্য, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমি কোনো দুর্নীতি করলে সেটা প্রমাণ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দেখবেন।