হরিণ শিকার না করার প্রত্যয়: ২৪ শিকারীর আত্মসমর্পণ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবনে হরিণ শিকার আর না করার প্রত্যয়ে শিকারের জন্য ফাঁদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন ২৪ জন শিকারী।

সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জ কার্যালয়ে বন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শিকারীরা নিজেদের অপরাধ শিকার করেন। সেইসঙ্গে হরিণ আর শিকার না করার শপথ নেন ও লিখিত মুচলেকা দেন। একইসঙ্গে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ না ধরারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

আত্মসমর্পণকারী হরিণ শিকারীরা হলেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের ছেলে আনারুল ইসলাম, গফুর খাঁ’র ছেলে ওমর ফারুক, মুজিদ গাজীর ছেলে আলাউদ্দিন, ছাত্তার খানের ছেলে খাইরুল আলম, আব্দুল খালেক গাজীর ছেলে আব্দুস ছামাদ, জিন্নাত গাজীর ছেলে উমর ফারুক, আনারুল, মৃত আক্কাছ গাজীর ছেলে আলামিন, কাওছার গাজীর ছেলে ইয়াছিন, গফফার মালীর ছেলে সোহেল, বাহিম মালীর ছেলে মোফাজ্জেল, নূরালি গাইনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম, জয়নাল মোল্লার ছেলে বাবলু রহমান, কাদের গাজীর ছেলে ইমান আলী, ইউসুফ গাজীর ছেলে ইউনুস আলী, মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের সেন্ট্রাল কালিনগর এলাকার মৃত আক্কাস উদ্দিন গাজীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫০), সুরত আলীর ছেলে হাফিজুর রহমান (৪৮), ইউসুফ (২৭), ছাকাত আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (৪৮), আব্দুল আলিম (৪৩), হরিনগর এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে ইসমাইল শেখ (২৫), মো. আলী গাজীর ছেলে ইসমাইল হোসেন খোকন, শাহ আলম সানার ছেলে আল-আমিন ও আ. গনি সানার ছেলে শাহ আলম।

আত্মসমর্পণের সময় সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলন, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এমকেএম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী, সাতক্ষীরা রেঞ্জের চারটি স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা ও বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এমকেএম ইকবাল হোছাইন চৌধুরী বলেন, আত্মসমর্পণকারীরা অনেকদিন ধরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার, কীটনাশক দিয়ে মাছ আহরণসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে কোনো প্রমাণ ছিল না। বন কর্মকর্তারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই অপরাধের শাস্তি, হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারের সুদূর প্রসারী কুফল বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে তারা অনুতপ্ত হয়ে বনকর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।

এদিকে, আত্মসমর্পণকারী শিকারী আনারুল ইসলাম বলেন, আমরা আর হরিণ শিকার করবো না। সরকারের কাছে দাবি, আমাদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হোক।