বান্দরবানে সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ম্যানেজার অপহরণ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় ১০০ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ডাকাতি করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে সকল টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। এসময় সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে গেছে ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিনকেও।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ইউএনও) মো. দিদারুল আলম। তবে কত টাকা লুট করে নিয়ে গেছে এ বিষয়ে এখনও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী দলটি প্রথমে উপজেলা পরিষদ এলাকা ঘেরাও করে মসজিদের সকল মুসল্লীদের মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে তাদের জিম্মি করে। তারপর অস্ত্র দিয়ে ফাঁকা গুলি করে আতঙ্ক ছড়ায়। সেই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত ৮ আনসার সদস্যকে মারধর করে তাদের কাছে থাকা সকল অস্ত্র কেড়ে নেয়। সেই সাথে নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের কাছে থাকা অস্ত্রগুলো নিয়ে গেছে তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মাসের প্রথম দিকে উপজেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য ওই ব্যাংকে প্রচুর টাকা জমা ছিল। প্রায় দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা লুট করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানিয়েছেন, একটি সন্ত্রাসী দল ব্যাংকে হামলা করে টাকা এবং অস্ত্র লুট করে নিয়ে গেছে। তবে কত টাকা লুট করা হয়েছে এবং কোন সন্ত্রাসী দল এ বিষয়ে তিনি এখনো বিস্তারিত কিছু জানাননি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। এবং সেই সাথে ওই সময়ে নামাজে ব্যস্ত ছিল ব্যাংকের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত পুলিশ এবং কর্মচারীরা। ঠিক এই সময়ে উপজেলা সদরের ব্যাথেল পাড়া এলাকা থেকে প্রায় ১০০ জনের সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী দল উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশে সোনালী ব্যাংকে হানা দিয়ে অস্ত্র ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় ওই এলাকায় যারা ছিল তাদেরকে মারধর করে সন্ত্রাসীরা। তাদের কাছ থেকে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেই সন্ত্রাসীরা। রুমা উপজেলা বাজার থেকে উপজেলা কমপ্লেক্স এবং সোনালী ব্যাংকটি প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি থাকায় সন্ত্রাসীরা এই সুযোগটি নিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

স্থানীয়রা মনে করছেন, ঘটনাটি কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এর আগে এই সংগঠনটি ব্যাংক ডাকাতি করবে বলে এরকম একটি কথা রটিয়ে পড়েছিল এলাকায়। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকায় জনমনে আতঙ্ক উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর এসে উপস্থিত হয়েছে। পুরো এলাকা টহল দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঘটনার পরপর বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় সকল ব্যাংকে বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।