২০২৪-২০২৫ মৌসুমে (অর্থ বছর ২০২৩-২০২৪) উফশী আউশ ধান, পাট, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসয়নিক সার বিতরণ করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ এপ্রিল) সকালে মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে এসব বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য মো. কামারুল আরেফিন।
এসময় তিনি বলেন, কৃষিবান্ধব সরকার ক্ষমতায় রয়েছে বলেই কৃষকদের এখন আর সার নিয়ে সমস্যা হয় না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে কৃষিতে বিপ্লব ঘটে।
তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃষিবান্ধব নীতি মেনেই সরকার কৃষি উন্নয়নে বিভিন্নখাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। আর কৃষি খাতে ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষকরা কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলেই বাংলাদেশ আজ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহিী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেসার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন- মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার, মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতির্কি কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান, উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মাহিরুল ইসলাম, মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার প্রমুখ।
মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মিরপুর উপজেলাতে ৪ হাজার ৮০০ জন কৃষককে আউশ ধান বীজ ও সার প্রদান করা হবে। যেখানে প্রতিজন ৫ কেজি উফসী আউশ ধান বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন।
এছাড়াও পাট প্রণোদনার জন্য ২ হাজার ৭০০জন কৃষককে ৫ কেজি করে উফশী আউশ বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি এবং ২ হাজার ৭শ জন কৃষককে উফশী পাটবীজ (প্রত্যেককে এক কেজি করে) এবং ৫০ জন কৃষককে এক কেজি করে গ্রীষ্মকালীন পেয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়।
দুপুরের মধ্যে দেশের ৯ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘন্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আবহাওয়ার অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি রোববার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। পাশাপাশি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আগোত আলু আখার জইনতে এত ট্যাকা নাগে নাই৷ আগোত ৯০ কেজি বস্তা নিছলো ৩০০ ট্যাকা। আর এ্যালা ৫০ কেজির বস্তা নেওছে ৩৬০ ট্যাকা। এমার গুল্যার জইনতে হামরা আলুর লাব পাইনা। এমরা যদি বস্তাপ্রতি ২৪০ ট্যাকাও নেয় তাও লাব থাইকপে ১২০ ট্যাকা। এ্যালার মতো এতো দাম আছলো না আগোত। সবাইগুলা কয় এই বৎসরে আলু চাষ করিয়া হামার গুলার কপাল ফিরছে। তাতে হইবে কি হিমাগারোত ভাড়াও বাইচ্ছে৷ এভাবে আঞ্চলিক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রংপুরের ময়নাকুটির কৃষক হাবিব মিয়া।
রংপুরের হিমাগারগুলোতে ভাড়া বেশি নেওয়ায় ২ দিন আগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা। তবুও এখনো কমেনি হিমাগারের ভাড়া। আলু সংরক্ষণের একমাত্র ভরসা হিমাগার। আলুর দামের সাথে পাল্লা দিয়ে হিমাগারের বাড়তি ভাড়া গুণতে বিপাকে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
ভাড়া কমেছে বলে লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লেও সরেজমিনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করে অভিযোগ করেন জেলা হিমাগার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রংপুরের একটি হিমাগারের ব্যবস্থাপক বলেন, সংরক্ষণ পর্যায়ে এ বছর ৫০ কেজি আলুর দাম গড়ে যা ছিল তার সঙ্গে হিমাগার ভাড়া,বস্তা ও পরিবহন খরচ কেজিপ্রতি বেড়েছে ৮ টাকা। সে হিসাবে ১ কেজি আলু হিমাগার থেকে বের হওয়া পর্যন্ত খরচ ২৮ টাকা। এজন্য এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু।
হিমাগারের ভাড়া নিয়ে জেলা হিমাগার মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু বলেন, ৫০কেজি বস্তাতে আগের ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। ৭০ কেজি বস্তা হলে বাড়তি ২০ কেজির টাকা নেওয়া হয়। জানতে পেরেছি ৫০কেজি আলুর বস্তা হিমাগারে রাখলে অন্য জেলায় নেওয়া হয় ২৫০-২৮০ টাকা। সেক্ষেত্রে রংপুরে নেওয়া হচ্ছে ৩৮০-৪২০ টাকা। এভাবে অযৌক্তিকভাবে ভাড়া নেওয়ায় আলু চাষীরা দুই মাস আগে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন। তারপরেও হিমাগার মালিকরা একই ভাড়া নিচ্ছেন। আলুর দাম বৃদ্ধির মূখ্য হচ্ছে হিমাগারে ভাড়া বেশি নেয়া৷
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তদারকির অভাবে কম দামে কেনা আলু হিমাগারে সংরক্ষণের পর মজুতদার ও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। গত বছর হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে তিন গুণ মুনাফা হওয়ায় পুরোনো মজুতদারের সঙ্গে এবার নতুন মজুতদারও যুক্ত হয়েছেন। চাষিদের কাছ থেকে কম দামে লাখ লাখ বস্তা আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণের পর কয়েক মাসের ব্যবধানে কয়েক গুণ বেশি দামে এখন বিক্রি করছেন মজুতদারেরা। তাই প্রকারভেদ আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭৫ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রংপুর অঞ্চলের চলতি অর্থ বছরে ১ লাখ ৬০২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১৬ লাখ ১১ হাজার ৩৫৪ টন। যা গত বছরের তুলায় ৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে বেশি আলু চাষ হয়েছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চার তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
শনিবার সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ওই কিশোরীর চাচা চার তরুণের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০), মাগুরা দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে নাহিদ হাসান (১৭), দর্জিপাড়া বাগানবাড়ি এলাকার সাইফুলের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৯) এবং আব্দুল জলিলের ছেলে রেদোয়ান হোসেন রতন (১৭)।
পুলিশ সুপার জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায়। গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি বাসযোগে তেঁতুলিয়ায় আসেন। সেদিন সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া বাজার থেকে দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় দর্জিপাড়া গ্রামের বুড়া ঠাকুরের আস্তানায়। সেখানে আব্দুল্লাহসহ দুইজন তাকে ধর্ষণ করে। পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে দর্জিপাড়া ফরেস্টে নিয়ে আব্দুল্লাহ, নাহিদ, রতন ও সাব্বিরসহ ৬-৭ জন তরুণ পালাক্রমে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
শুক্রবার রাতে দর্জিপাড়া ফরেস্টে ওই তরুণীকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিজিবির সহযোগিতায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই চার তরুণকে গ্রেফতার করে। পরে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ওই কিশোরীর চাচা গ্রেফতারকৃত চার তরুণ ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও বলেন, যৌথ অভিযানে দ্রুত ধর্ষণের সাথে জড়িত চার তরুণকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এ ঘটনায় অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লা এবং তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান আলী।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে একটি কোম্পানিতে কয়েক মাস ধরে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছিলেন। অবশেষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে কোম্পানি থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য কোম্পানিটির সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন জানিয়েছে, কাওয়াগুছি মেন্যুফেকচারিং এসডিএন বিএইচডি নামক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ২০০ জন বাংলাদেশি কর্মীর বকেয়া বেতন সংক্রান্ত বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন কোম্পানির নির্ধারিত প্রতিনিধি ও বাংলাদেশি কর্মীদের পক্ষ হতে ৯ জন প্রতিনিধি নিয়ে হাইকমিশনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সমস্যার কারণ ও তা সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নির্ধারণ করা হয়। এসময় প্রথম দফায় আংশিক বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
এ প্রেক্ষিতে কোম্পানির পক্ষ হতে গত শুক্রবার, (৬ সেপ্টেম্বর) বকেয়া বেতনের আংশিকম, ৩ লাখ রিঙ্গিত পরিশোধ করা হয়। কোম্পানির সভা কক্ষে হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বকেয়া বেতনের ৩ লাখ রিঙ্গিত প্রদান করা হয়।
এ সময় কোম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কোম্পানির চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। কোম্পানির পক্ষ হতে অবশিষ্ট বকেয়া বেতন নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন কোম্পানি ও বাংলাদেশি কর্মীদের সাথে ধারাবাহিক যোগাযোগ রক্ষা করবে বলে সভায় জানানো হয়।