মকস বিলে ধান কাটা নিয়ে সংশয়, ফসল রক্ষায় খালে বাঁধ
হঠাৎ তুরাগ নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে চলতি মৌসুমে বোরো ধান কাটা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বৃহত্তম মকস বিলে। আধাপাকা ও পাকা ধান রক্ষায় দিশেহারা হয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা খালে বাধ দিয়েছেন। তবে বৃষ্টি ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিল্প কারখানার অপরিশোধিত পানি জমে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বহু কৃষক।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক ও মধ্যপাড়া ইউনিয়নে অবস্থিত বৃহত্তম মকস বিলে কয়েক হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। পুরো বিলে পাকা আধা পাকা ধানের ব্যাপক ফলনে কৃষকের মুখে খুশির হাসি থাকলেও তা যেন বিষাদে রুপ নিয়েছে। হঠাৎ করে তুরাগ নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে ফসলে ভরা বিলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নজরে আসলে খালে বাধ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। তবে মকস বিলের বিভিন্ন অংশ দিয়ে শিল্প কারখানার অপরিশোধিত পানি জমাটসহ ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ব্যাপাক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
কৃষক সোহরাব মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, সারা বছরের কষ্টের ফসল যদি পানিতে ডুবে যায় তাহলে অনেক কৃষকের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে। অনেক পরিবারের বছরের খাবারের ধান গোলায় উঠবে না।
মোহাম্মদ আলী নামে এক কৃষক বলেন, কতো খরচ করে, কষ্ট করে ধান চাষ করছি। এখন যদি ধান কেটে না আনতে পারি তাহলে সব আশা ভরসা শেষ।
এ ব্যাপারে মৌচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন বলেন, মকস বিলে প্রচুর ধান হয়। শত শত কৃষক পরিবাব এই বিলে চাষাবাদ করেন। তাদের বোরো ধান রক্ষায় এর মধ্যে খালে বাধ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ধান রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।