ফেনীতে ৮৮০ জন কৃষক পেল আউশের প্রণোদনা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
দাগনভূঞায় ৮৮০ জন কৃষক পেল আউশের প্রণোদনা

দাগনভূঞায় ৮৮০ জন কৃষক পেল আউশের প্রণোদনা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর দাগনভুঞ উপজেলায় ২০২৪-২০২৫ মৌসুমে উফশী আউশ ধানের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৮৮০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষক প্রশিক্ষণ হলরুমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করে কৃষকদের হাতে এসব সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিবেদিতা চাকমার সভাপতিত্বে ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. লুৎফুল হায়দার ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেলায়েত উল্যাহ স্বপন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পিয়ার আহমেদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আজিজুল হক, পল্লী বিদুৎ ডিজিএম মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, দাগনভূঞা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানা যায়, প্রণোদনা প্রাপ্তির জন্য তালিকাভুক্ত ৮৮০ জন কৃষকের উফশী আউশ আবাদি কৃষকের প্রত্যেককে বিনামূল্যে ১ বিঘা জমি আবাদের জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার সহায়তা দেয়া হয়েছে।

এমন প্রণোদনা পেয়ে খুশি কৃষক ও কৃষাণীরা। আব্দুর রহিম নামে একজন বলেন, আউশের চাষ লাভজনক। সরকার থেকে এমন সহযোগিতা পেলে অন্যান্য কৃষকরা চাষে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে উপজেলাসহ ফেনী জেলায় আউশের ভালো ফলন সম্ভব হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন বলেন, সরকার কৃষি খাতকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। কৃষকরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা পেলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। প্রণোদনাকে কাজে লাগিয়ে আউশের পাশাপাশি অন্যান্য ফসল চাষে উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

   

বৃক্ষরোপণে ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের নির্দেশ পরিবেশমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা শহরসহ সারাদেশে বনায়নের জন্য ন্যাশনাল গাইডলাইন্স প্রণয়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশনা প্রদান করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। যেসকল বৃক্ষ তাপমাত্রা কমাতে পারে বা পরিবেশের জন্য অপেক্ষাকৃত ভালো তা নির্ণয় করে গাইডলাইন্সে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে তাপমাত্রা কমাতে বৃক্ষরোপণের জন্য জায়গা খুঁজে বের করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে এবং জলাশয় রক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-'২৪ অর্থবছরের এডিপিভুক্ত প্রকল্পসমূহের মার্চ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্প বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা অনুসরণ করা হবে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আশি নম্বর না পেলে কোনো প্রকল্প বিবেচনা করা হবে না।

তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় এলাকা, উদ্বাস্তু এবং অভিযোজন মূলক কর্মকাণ্ডে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করা হবে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করা হবে। এ যাবত তিন হাজার আটশত সতের কোটি টাকা ব্যয়ে ৯৬২টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে যার মধ্যে ২৯৮টি চলমান রয়েছে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জয়নাল আবেদীন এবং বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ প্রকল্প পরিচালকগণ এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। পরিবেশমন্ত্রী প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন যথাসময়ে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন।

;

যশোরে তাপমাত্রার পারদ ৪৩.৮ ডিগ্রিতে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জেলায় আজ মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিন (৩০ এপ্রিল) যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দফতর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এদিকে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহে জেলার সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছেন। ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। তারা তীব্র রোদ ও গরমে কাজ করতে পারছেন না। এছাড়া প্রচণ্ড গরমে-ঘামে জনজীবনে কষ্ট-দুর্ভোগ ও অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আজ যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তিনি জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

বৃষ্টির বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২ থেকে ৭ মে পর্যন্ত সময়ে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলেই যে তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে, বিষয়টি তা নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

;

সাতক্ষীরায় ২১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। এবার ২১ বছরের রেকর্ড ছাপিয়ে জেলায় ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ২টায় সাতক্ষীরা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, দীর্ঘ ২১ বছরের মধ্যে আজ সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪২ দশমিক ০২ ডিগ্রি।

এদিকে অসহনীয় গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী মানুষ। তীব্রগরমে তারা কোনো কাজ করতে পারছেন না। গরমে পিপাসা নিবারণে মানুষের ভিড় বাড়ছে শরবত, ডাব ও আখের রসের দোকানগুলোতে। দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে শহরের রাস্তাঘাট।

গাছের ছায়ায় বসে থাকা ভ্যানচালক ইয়াছিন আলী বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষজন বাইরে বের হচ্ছে না। যার কারণে আয় রোজগার নেই বললেই চলে। এই গরমে চালিয়ে মনে হচ্ছে জীবন বের হয়ে যাচ্ছে।

পৌর দিঘীতে গোসল করতে আসা সবুজ শেখ বলেন, প্রচন্ড গরমে ঘরে থাকা যাচ্ছে না। ফ্যানের বাতাসও গরম, তাই পুকুরে আসছি গোসল করতে। দিঘীর পানি অনেকটা ঠান্ডা।

;

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

৪৫ পুলিশ পরিদর্শকের পদোন্নতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত ৪৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ পদোন্নতি প্রদান করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- নিরস্ত্র পরিদর্শক ২২ জন, শহর ও যানবাহন পরিদর্শক চারজন এবং সশস্ত্র পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা ১৯ জন।

;