চলে গেলেন জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলে গেলেন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮)। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় এক পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জীবন্ত এক ইতিহাসের পরিসমাপ্তি ঘটলো। 

সম্প্রতি অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন শিব নারায়ণ দাস। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে স্থানান্তর করা হয়। 

কুমিল্লায় জন্ম নেওয়া শিব নারায়ণ দাসের পিতা আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসক সতীশচন্দ্র দাস ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। শিব নারায়ণের স্ত্রী গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।

৬ জুন, ১৯৭০ সাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাত ১১টার পর বাংলাদেশের পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন শিব নারায়ণ দাস। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিব নারায়ণ দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

ইতিহাস পাঠে জানা যায়, ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের ১০৮ নম্বর কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, কাজী আরেফ আহমদ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম প্রমূখ পতাকার পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে বসেন। যেখানে অন্যান্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ন দাসও।  

ঐতিহাসিক সেই সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনায় সর্বসম্মতিতে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের মাঝে হলুদ রঙের বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কামরুল আলম খান (খসরু) তখন ঢাকা নিউ মার্কেটের এক বিহারী দর্জির দোকান থেকে বড় এক টুকরো সবুজ কাপড়ের মাঝে লাল একটি বৃত্ত সেলাই করে এনে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কায়েদে আজম হল এর ৩১২ নম্বর কক্ষের এনামুল হকের কাছ থেকে অ্যাটলাস নিয়ে ট্রেসিং পেপারে আঁকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের মানচিত্র। শিবনারায়ণ দাস পরিশেষে তার নিপুণ হাতে মানচিত্রটি আঁকলেন লাল বৃত্তের মাঝে। রচিত এই পতাকাই কিছুদিন পর স্বীকৃতি লাভ করে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা হিসেবে। মুক্তিসংগ্রামের উত্তাল দিনগুলিতে জনতার হাতে হাতে এই পতাকা বাঙালির আত্মপরিচয়কে মূর্ত করে তুলে। 

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। যদিও ১৯৭২ সালে সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রারম্ভিক দিসগুলিতে শিব নারায়ণ দাসের অঙ্কিত জাতীয় পতাকা মুক্তি পাগল বাঙালির আবেগের সঙ্গে মিশে আছে। 

   

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির ক্যাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আবু সাঈদ বাদশা (৫২) ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন (৪৫) নামে দুইজন নিহত হয়েছেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবু সাঈদ বাদশা শহরের নতুন কোর্টপাড়া (টালিপাড়া) এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন উপজেলার হরিপুর শালদাহ এলাকার আব্দুল হাই খানের ছেলে এবং কুষ্টিয়া পৌরসবার সাবেক প্যানেল মেয়র টিটু কমিশনারের ছোট ভাই।

আবু সাঈদ বাদশা পেশায় কনফেকশনারী দোকানদার ছিলেন এবং মো. ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটন সাংবাদিকতা করতেন। তিনি কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সদস্য ও দৈনিক ইন্টারন্যাশনাল ও দৈনিক স্বর্ণযুগের উপদেষ্টা ছিলেন।

বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার সময় কুষ্টিয়া শহরের সাদ্দাম বাজার মোড় এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে একটি কাভার্ডভ্যান মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দিলে দু'জনেই গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু সাঈদ বাদশাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং গুরুতর আহত ওয়াহেদ ইউসুফ ওরফে লিটনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৩টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে একজন মারা যায় এবং একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করে। তিনিও ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

;

সিলেটে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের কানাইঘাটে বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক বর্গাচাষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে উপজেলার দিঘীরপার পূর্ব ইউনিয়নে শফিক হাওরে এ ঘটনা ঘটে ।

নিহত বর্গাচাষী দক্ষিণ কুয়রেরমাটি মৃত আব্দুস সালামের ছেলে বাবুল আহমদ (৪৮)। এছাড়াও বজ্রপাতে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত বাবুল আহমদের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদিপ বিশ্বাস (২০)।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বাবুল আহমদ স্থানীয় শফিক হাওরে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় তার সাথে ছিল ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাস। হঠৎ করে প্রচণ্ড বজ্রপাত এসে তাদের উপর পড়লে ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ধানকাটা জমি থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঝলসে গিয়ে গুরুতর আহত ফাহিম ও প্রদীপ বিশ্বাসকে সিলেট এমওজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের মরদেহ কানাইঘাট থানা পুলিশ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দজল মুমিন চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সাহাবউদ্দিন জানান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন বাবুল আহমদ। দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুতে পরিবারটি এখন নি:স্ব হয়ে গেছে। এই অসহায় পরিবারের পাশে সবাইকে দাঁড়ানোর জন্য তারা আহ্বান করেন। 

;

জাপানের মতো ফুটপাতের পরিবেশ গড়তে চান চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপানে দেখে আসা ফুটপাতের মতো চট্টগ্রামের ফুটপাতগুলোর পরিবেশ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে জাপান থেকে ফেরা মেয়র রেজাউল টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরীতে চলমান ধারাবাহিক উচ্ছেদ অভিযান ও মনিটরিং কার্যক্রম সম্পর্কে এক পর্যালোচনা সভায় এ কথা জানান।

সভায় মেয়র রেজাউল করিম বলেন, ‘জাপানে গিয়ে দেখলাম, পর্যাপ্ত ফুটপাত থাকায় মানুষ প্রাণখুলে হাঁটছেন, যা নাগরিকদের সুস্থতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করছে৷ চট্টগ্রামেও আমি এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই। ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে। উদ্ধার করা ভূমি মনিটরিং করতে হবে। জনগণের ফুটপাত জনগণকে ফেরত দিতে হবে’।

মেয়র বলেন, যানজট কমানোর পাশাপাশি পথচারীদের জন্য নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ফুটপাত উদ্ধারে অভিযান চলমান রাখতে হবে। উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে বিভিন্ন চাপ আসছে। কোনো চাপে নত হওয়া যাবে না। তবে নগরীকে বসবাসযোগ্য রাখার স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান চলমান রাখতে হবে।

সভায় আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন। সভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামসহ বিভাগীয় প্রধান ও শাখা প্রধানরা অংশ নেন।

;

সাতক্ষীরায় বর্জ্যের স্তুপ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মুরগির খামারের বর্জ্যের স্তুপ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ দাশের বাগান সংলগ্ন মুরগির খামারের বর্জ্যের স্তুপ থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিষ্ণুপুর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, জনৈক ব্যক্তি বিষ্ণুপুর গ্রামের মনিষ দাশের বাগানের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে মুরগির খামারের বর্জ্যের স্তুপের মধ্যে মানুষের মাথা জাতীয় কিছু একটা দেখতে পান। পরে তিনি এগিয়ে গিয়ে দেখেন তার দেখা বস্তুটি আসলেই মানুষের মাথা। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য পীযূষ কান্তি রায়কে জানান। পরে ইউপি সদস্য পীযূষ কান্তি রায় থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করে।

কালিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইদ্রিসুর আলী বলেন, কঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, পিবিআই ও গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

;