মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আরাফাতের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মরিশাসের পররাষ্ট্র, আঞ্চলিক সংহতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী মনিশ গোবিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মরিশাসের স্থানীয় সময় সকালে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে উল্লেখ করে দুই দেশের সম্পর্ককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন মর্মে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে মরিশাসে আরও বেশি শ্রমিক ও পেশাজীবীদের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া মরিশাসে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা যাতে দ্রুত দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে পারে সে ব্যাপারে মরিশাস সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন প্রতিমন্ত্রী।

যেহেতু মরিশাস আফ্রিকা মহাদেশের প্রবেশদ্বার তাই মরিশাসে বাংলাদেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কথা বৈঠকে তুলে ধরেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে মরিশাসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনিশ গোবিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার নিয়ে প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে মরিশাস অবস্থান করছেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

   

চুয়াডাঙ্গায় ৭ বছরের মেয়েকে হত্যার দায়ে মা গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নিজের ৭ বছর বয়সী মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে মা পপি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পপি খাতুন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার ঝুটিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলামের স্ত্রী ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভোগাইল বগাদী গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। গত রোববার (৫ মে) সকালে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

এর আগে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশু মাইশার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রচার করেন তার মা পপি খাতুন ও স্বজনরা। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ওই শিশুর মৃত্যু বিদ্যুতস্পৃষ্টে নয়, বরং শ্বাসরোধে হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানান। পরে ওই শিশুর মাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজের মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে শিশু মাইশা খাতুন (৭) তার নানার বাড়িতে মোবাইল চার্জারের তার গলায় জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পষ্ট হয়েছে, এমন ইতিহাস নিয়ে ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজন তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত কন্যাসন্তানের মা পপি খাতুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে, এমন তথ্যসম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ করলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওই দিন রাতে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করেন। অতঃপর অপমৃত্যু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আতিকুর রহমান জুয়েল রানা কর্তৃক এই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যু বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে নানা ধরণের নেতিবাচক তথ্য পান।

মেয়েটির দুর্ঘটনামূলক মৃত্যু নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে, তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরই মাঝে তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুপারের মৌখিক নির্দেশে ওই কন্যাশিশু সন্তানের মৃত্যুটি হত্যাজনিত না দুর্ঘটনামূলক, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক সুনির্দিষ্ট মতামত গ্রহণের জন্য ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে মর্মে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করেন। অতঃপর ওই শিশুর নানা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আলমডাঙ্গা থানায় গত ৩ মে একটি খুন মামলা রুজু হয়।

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান ওই শিশুর বাড়ি পরিদর্শন করেন। এসময় মৃত শিশু মাইশার মা পপি খাতুনের কথা-বার্তায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো? তার কোনো সহযোগী ছিল কিনা?- এসব প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন যে, তিনি নিজেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, ওই শিশুর মা পপি খাতুনের পূর্বাপর পারিবারিক ব্যক্তি জীবন, বৈবাহিক জীবন অতঃপর বিবাহ বিচ্ছেদ এবং বিবাহ বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি পাওয়া গেছে যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে বলে এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার বলেন, এই মামলায় পপি খাতুন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, ডিআও-১ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।

;

বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিদেশি প্রভুদের কথায় বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে৷ তাদের উদ্দেশ্য একটাই অগণতান্ত্রিক পন্থায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷ পেছনের দরজা দিয়ে বিকল্প রাস্তায় তারা ক্ষমতায় আসতে চায়৷

সোমবার (৬ মে) প্রেসক্লাবে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টারের ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে 'গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি৷ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না৷ গুম, খুনের রাজনীতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন৷ তারাই বলে এই দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই৷

তিনি বলেন, বিএনপি এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিরা বুঝতে পেরেছিল যে গাজীপুরে তাদের অবস্থা দিন দিন খুবই নাজুক হয়ে যাচ্ছে৷ এজন্যই আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টারকে একটা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্মেলন থেকে হত্যা করা হয়েছিল৷ আর আজকে হত্যাকারীরা বলে এই দেশে গণতন্ত্র নেই৷ আমাদের নেতাদের প্রকাশ্যে হত্যা করেছে তারা৷

তিনি বলেন, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের একটাই দোষ ছিল যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করেছেন৷ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠা করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন৷ সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় রাজপথে তাকে পেটানো হয়েছিল৷ এর ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করা হয়েছিল৷

শহীদ আহসান্ উল্লাহ্ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক মো. আতাউর রহমানের সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক অধিকার ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রমুখ।
 
;

ট্রেনের ১৯ টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের মোট ১৯টি টিকিটসহ কালোবাজারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এ সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।

সোমবার (৬ মে ) দুপুরে দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মো. আরমানকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ কর্তৃক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর রেল স্টেশনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় টিকিট কালোবাজারী মো. আরমানকে (৩৫) ভিন্ন ভিন্ন ট্রেনের বিভিন্ন গন্তব্যের ৩৩টি আসনের ১৯টি টিকিট এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়কৃত মোবাইল ফোনসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি অবৈধ পন্থায় তার নিজ, স্ত্রীর ও আত্মীয়-স্বজনের আইডি ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে টিকেটগুলো সংগ্রহ করে। সেই টিকিট বেশি দামে প্লাটফর্মে অপেক্ষারত যাত্রীদের কাছে কালোবাজারে বিক্রয় করে।

আসামি আরমান কুলিয়ারচর রেলস্টেশনের খালাসী পদে কর্মরত বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ভৈরব রেলওয়ে থানায় তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টিকেট কালোবাজারি বিরোধী সাঁড়াশি অভিযান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

;

ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াল ছাত্রলীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজার থানাধীন মহসিন কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এতে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের ১০ জন ও চকবাজার থানা ছাত্রলীগের তিনজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে উভয় পক্ষ দাবি করছে। এরমধ্যে মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম, মফিজুর রহমান (বিএসএস ফাইনাল), আরমান হোসাইন (বিবিএস তৃতীয় বর্ষ), মোহাম্মদ তাকিব (বিবিএস ৪র্থ বর্ষ), আরবিন আরমান (২য় বর্ষ), সাইদুল (বিএসএস ৩য় বর্ষ), নাফিস (বিবিএস ২য় বর্ষ), শিহাব (বিএসএস ২য় বর্ষ), রিমনও অন্তর (এইচএসসি ২য় বর্ষ) আহত হয়েছে। বিপরীতে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলামসহ ইমরান খান ইমন ও আশিকুল ইসলাম রবিন নামে আরও দুজন আহত হয়।

মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের আহবায়ক কাজী নাঈম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রঘোষিত ফিলিস্তিনের ইস্যুতে একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেই কর্মসূচির আলোকে কলেজে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করি। এরপর কলেজ থেকে পদযাত্রা নিয়ে বের হয়ে ঘুরে এসে পুনরায় কলেজের প্রধান ফটকে দাঁড়াই। তাৎক্ষণিক চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমিসহ ১০ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। পরে পুলিশ আসলে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমরা মামলা করব।

হামলার কারণ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, কেন হামলা করছে সেটা তো বুঝতেছি না। তবে কয়েকদিন আগে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের একটা ছেলে কলেজে এসে মাদক সেবন করেছিল। পরে আমরা তাকে নিষেধ করেছিলাম। ওই ছেলেকে পুলিশ নিয়ে গেছে শুনেছি। ধারণা করা হচ্ছে সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আজকে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঘোষিত ফিলিস্তিনের প্রোগ্রামে আমরা সিআরবিতে যাচ্ছিলাম। সিআরবিতে যাওয়ার পথে আমরা টেম্পো ভাড়া করতেছিলাম। আমরা দুইটা টেম্পো ভাড়া করেছি, সেই দুইটাতে আমাদের কর্মীরা বসা ছিল। পরে আরেকটা টেম্পো ভাড়া করলে আমাদের ছেলেরা ওইটাতে ওঠে বসে। এ সময় মহসিন কলেজের মাঠের পাশ দিয়ে তারাও টেম্পো ভাড়া করতে আসে। আমরা তাদের বলেছি এ টেম্পো আমরা ভাড়া করেছি। তোমরা অন্য একটি ভাড়া করো। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে এই টেম্পু তারা নিয়ে যাবে। এ সময় ছাত্রলীগের নাঈম ও মিজানের নেতৃত্বে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের দুই কর্মীর মাথা ফেটে গেছে। তারা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি আছে। আমি নিজেও আহত হয়েছি। এঘটনায় আমরা মামলা করবো।

এবিষয়ে জানতে চকবাজার থানার ওসিকে ফোন দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সারোয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, তেমন হতাহতের কিছু আমরা দেখিনি। তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে দুইদিকে সরিয়ে দিয়েছে, তারাও চলে গেছে। এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।

;