উপজেলা ভোট: নিরাপত্তায় ৫ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা রিপোর্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন তথ্য ইসিকে জানানো হয়। এসময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চার ধাপের নির্বাচনে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী থাকায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দল নিয়েও আলোচনা করা হয়।

গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন, ঝুঁকিপূর্ণ্য কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত করা হবে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পাঁচদিন মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন, পৌরসভার সংখ্যা, আয়তন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ২ দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরবর্তী ২ দিন মোট ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে তা সমন্বয়ের জন্য একটি টিম গঠন করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট রিপোর্ট করবে এবং জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল টিম কাজ করবে।

পাশাপাশি ভোটের মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি মানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। চার ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন নির্বাচনী এলাকায় অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চারধাপে ৪৭৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথমধাপে ১৪৮টি উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

   

অনলাইন জুয়া, বেটিংয়ের প্রচার, প্রসার ও অর্থপাচারে টিআইবির উদ্বেগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে অনলাইন জুয়ার ব্যাপক বিস্তারে মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার, অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে অর্থপাচার এবং জুয়ার ব্যাপক প্রসারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি বলছে, সর্বোচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও অনলাইন জুয়া বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো ভিন্ন মোড়কে জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংস্থার আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি’র এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বিজনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশকে, বিশেষ করে তরুণ সমাজকে অনলাইন জুয়ার নেশার কবল থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে এ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ ও জুয়া প্রতিরোধে আইন প্রণয়নসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানায় টিআইবি।

উদ্বেগ প্রকাশ করে টিআইবি জানায়, দেশের প্রচলিত আইনে যে কোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ হলেও নানা কৌশলে অনলাইন জুয়ার প্রচার ও প্রসার চলছেই। মূলধারার সম্প্রচার মাধ্যমে আইপিএল, বিপিএলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা সম্প্রচারসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেটিং সাইটের চটকদার বিজ্ঞাপন ভিন্ন মোড়কে বা ‘সারোগেট’ বিজ্ঞাপন আকারে প্রচার করা হচ্ছে। এমন কী এ বছরের বিপিএল-এর একটি দলের জার্সিতে জুয়ার ওয়েবসাইটের সারোগেট বিজ্ঞাপনও দেখা যায়।

এ প্রসঙ্গে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, চরম উদ্বেগের সঙ্গে আমরা লক্ষ করছি, দেশে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনের মহোৎসব চলছে। আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে শুধু মুনাফার লোভে দেশকে চরম বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া কোনোমতেই দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে না। ইদানিং শহরের বিভিন্ন বিলবোর্ডেও অনলাইন জুয়ার সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচারিত হতে দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গত বছর উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন; বিশেষ করে স্পোর্টস চ্যানেলসহ ডিজিটাল ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বাজি ও জুয়ার বিজ্ঞাপনের রমরমা প্রচার চলছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এ ধরনের বিজ্ঞাপনের কুফল উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, টিআইবি মনে করে, শুধুমাত্র অনলাইন জুয়ার মাধ্যমেই দেশ থেকে বিপুল অংকের টাকাও পাচার হয়ে যাচ্ছে, যা আরো বড় উদ্বেগের বিষয়! গণমাধ্যম ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের সূত্রে জানা যায়, শহর থেকে গ্রামসহ সারাদেশে লাখ লাখ মানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজ অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

এর মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস, ই-ব্যাংকিং, ক্রেডিট কার্ড, ক্রিপ্টোকারেন্সিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার হয়। অনলাইন জুয়ার অ্যাপসের বেশির ভাগই রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে পরিচালনা করা হলেও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এগুলোর স্থানীয় এজেন্ট রয়েছেন।

এসব এজেন্টরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ায় অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে টাকা আদান-প্রদান করেন। আবার এই এজেন্টদের মাধ্যমেই বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। অথচ চোখের সামনে হয়ে যাওয়া এই পাচার রোধে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-সহ কোনো দায়িত্বশীল সংস্থারই কোনো কৌশলগত উদ্যোগ বা প্রচেষ্টার কথা জানা যায় না।

একইভাবে সব নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনে চলছে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের বিশাল ব্যবসা, যা অবৈধ ও অনৈতিক!

অনলাইন জুয়ার ফলে সামাজিক নানা সংকটেরও জন্ম হচ্ছে উল্লেখ করে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময়ে জুয়ায় আসক্ত হওয়া ও সর্বস্ব খুইয়ে আত্মহত্যার ঘটনা আমরা নিয়মিত বিরতিতে বিভিন্ন সংবাদে দেখছি। সম্প্রতি, ঠাকুরগাঁওয়ে একজন ৩৫ বছরের যুবক অনলাইন জুয়ায় ১৫-২০ লাখ টাকা হারিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। পারিবারিক অশান্তি, কলহ, বিষণ্ণতা, সর্বোপরি জুয়ায় সর্বস্ব খোয়ানোর ঘটনার পাশাপাশি অবৈধ উপায়ে বিপুল বিত্ত-বৈভব অর্জনের ঘটনাও ঘটে চলেছে।

তিনি বলেন, জুয়ার নেশা আমাদের অমিত সম্ভাবনাময় তারুণ্যের নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের পাশাপাশি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিপন্ন করে তুলছে।

অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে বহুমুখী উদ্যোগ প্রয়োজন উল্লেখ করে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংবিধানের ১৮(২) অনুচ্ছেদ ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী, যে কোনো ধরনের জুয়া প্রতিরোধ করতে সরকারের ওপর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দেশে এখনো জুয়া প্রতিরোধে ব্যবহার হচ্ছে ১শ ৫৭ বছরের পুরনো আইন।

সরকার ‘জুয়া প্রতিরোধ আইন-২০২৩’ প্রণয়নের উদ্যোগ নিলেও এখনো তা খসড়া পর্যায়েই রয়ে গেছে। অথচ বর্তমান প্রেক্ষাপটে জুয়া প্রতিরোধে কঠোর ও যুগোপযোগী আইন আরো আগেই প্রণীত ও প্রয়োগ হওয়া প্রয়োজন ছিল।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, আইনটি এখনো খসড়া অবস্থাতেই রয়েছে। খসড়া আইনের ৬ ধারায় দূরবর্তী জুয়া ও অনলাইন জুয়ার প্রকৃতি এবং ৭ ধারায় বাজি বা বেটিং সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। তবে বেটিং, অনলাইন জুয়া প্রচারণার বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচার এবং অনলাইন বেটিংয়ের সঙ্গে অর্থ পাচারের যোগসূত্রের ব্যাপারগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে।

আবার, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার ৪.৫.৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী, বাজি ধরা বা জুয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থা/কোম্পানি/ব্যক্তির বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করা হলেও সারোগেট বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে কোনো নির্দেশনা দেওয়া নেই।

অন্যদিকে, অনলাইন জুয়া রোধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত ভূমিকা দেখা যায় না। অনলাইনের অবারিত দুনিয়ায় জুয়া বা বেটিংয়ের প্রসার রোধে সবার আগে এর প্রচারণা রোধ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর স্বপ্রণোদিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি।

এমতাবস্থায়, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ, বিএফআইইউ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, নাগরিক অধিকার সংগঠনসহ সব অংশীজনের সঙ্গে পর্যালোচনার মাধ্যমে খসড়াটি অতি দ্রুত সংশোধন করে আইন প্রণয়ন ও অবিলম্বে প্রয়োগের জোর দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।

পাশাপাশি, অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে এ সংক্রান্ত সব ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত নজরদারি ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায় টিআইবি।

;

হবিগঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখলে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশত। এসময় বাড়িঘরে ব্যাপক লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদির (২৫), সিএনজি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার সিরাজ মিয়া (৫০) ও লিলু মিয়া। এদের মধ্যে লিলু মিয়ার বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি স্ট্যান্ড ম্যানেজার বদির মিয়া ও অটোরিকশাচালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। একই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, উপজেলার আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হাঙ্গামাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কাদির ও সিরাজ ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান লিলু মিয়া।

;

পতেঙ্গায় নিহত পাইলটের বাড়িতে শোকের মাতম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত পাইলট অসিম জাওয়াদের মানিকগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড় ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) ওই পাইলট চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহতের মামা সুরুয খান জানান, অসিম জাওয়াদ খুবই মেধাবী ছাত্র ছিল। সে পরিবারের একমাত্র সন্তান। তার মৃত্যুর খবরে আমার বোন নিলুফা পাগল প্রায়।তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অসিমর মরদেহ দেখতে তার স্ত্রী ও ২ সন্তান চট্রগামে রয়েছেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমান বাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে। পরে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে কর্ণফুলী নদীতে আছড়ে পড়ে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি।

;

উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে: বিমান মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে: বিমান মন্ত্রী

উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে: বিমান মন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ব্যবসা বান্ধব নীতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, উন্নত যাত্রী সেবা ও দক্ষ বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের মাধ্যমে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে অবস্থিত মন্ত্রীর দপ্তর কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লোহ এর সাথে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে ব্যাপক অবকাঠামোগত ও কারিগরি উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এভিয়েশন শিল্পের সাথে নিয়োজিত কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমরা রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সের ফ্লিট সম্প্রসারণকেও গুরুত্ব দিচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ এর সময়ে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশি কর্মীদের যে যত্ন নিয়েছে তার জন্য ধন্যবাদ। একই সাথে প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের সচেতনতা প্রশংসার দাবিদার। আরো বেশি সংখ্যক বাংলাদেশী কর্মী সিঙ্গাপুরে কাজ করার সুযোগ পেলে তারা দক্ষতা এবং নিষ্ঠা দিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করবে।

সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ডেরেক লোহ বলেন, বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের খুব ভালো বন্ধু। এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন খাতে কাজে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশী কর্মীরা খুব দক্ষ ও পরিশ্রমী। ভবিষ্যতে আরো বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সিঙ্গাপুর বিবেচনা করবে।

হাইকমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাবে রূপান্তরের যে কাজ শুরু হয়েছে তাতে সিঙ্গাপুর ভূমিকা রাখতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার জন্য সিঙ্গাপুর এভিয়েশন খাতে নিয়োজিত কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তাও প্রদান করতে আগ্রহী।

;