ইমোতে বন্ধুত্বের নামে ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করতো তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইমো অ্যাপের মাধ্যমে পরিচয়ের পর বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে এক কলেজছাত্রের বিবস্ত্র অবস্থার ভিডিও ধারণ করা প্রতারক চক্রের ৭ নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় অপহৃত একজনকে উদ্ধার করা হয়।

প্রতারণার শিকার এক তরুণের দায়ের করা মামলায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ রুপনগর এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন— চান্দগাঁও থানার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. আসিফ (২৩), মুন্সিমিয়ার ছেলে মো. মোরশেদ (২৯), রাউজানের গোলম শরীফের ছেলে মো. সাজে শরীফ (৪০), মনির আহম্মদের মেয়ে জেসমিন আক্তার (৪০), চন্দনাইশের আব্দুল করিমের ছেলে মো. আবুল হাসেম (৩৫), ভূজপুরের কবির আহাম্মদের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (৩৯) ও বাঁশখালীর নুর হোসেনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৬)।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্র অভিযোগ করেন যে, মো. আসিফ (২৩) নামের এক তরুণের সঙ্গে কয়েকদিন আগে ইমো অ্যপের মাধ্যমে তার পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কয়েকদিন পর আসিফ তাকে দেখা করতে বলে। গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্র্রিল) রাতে সে রূপনগর আবাসিক এলাকার গেইটের সামনে গেলে আসিফ তাকে কৌশলে আবাসিক এলাকার একটি ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে আরও ৪ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা উপস্থিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, বাদী বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করে এবং সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ ১ হাজার ৪৫০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর তাকে জোরপূর্বক উলঙ্গ করে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে আসিফ। এসময় অভিযুক্তরা বাদীর কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। না দিলে বাদীর উলঙ্গ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় বাদী তার নিকট আত্মীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে টাকা না পেলে অভিযুক্তরা তাকে বাসা থেকে বের করে আবাসিক এলাকার গেইট থেকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেয়।

পরে বাদী বিষয়টি বায়েজিদ বোস্তামী থানায় জানালে পুলিশের একটি দল তাকে নিয়ে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রূপনগর আবাসিক এলাকার ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। সে সময় আরও একজন ভুক্তভোগীকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

   

দুই ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিলেন পাটমন্ত্রী নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিলেন পাটমন্ত্রী নানক

ছিনতাইকারীকে ধরে পুলিশে দিলেন পাটমন্ত্রী নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এলাকা থেকে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।

গতকাল বুধবার (৮ মে) বিকেলে নবোদয় হাউজিং এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নেতাকর্মীদের সহায়তায় ছিনতাইকারীদের আটক করেন স্থানীয় এই সংসদ সদস্য।

এ ঘটনায় ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম ওইদিন রাতেই বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

আটককৃত দুই ছিনতাইকারী হলো- মেহেদী (২০) ও রুহুল আমিন (২১)।

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম জানান, বুধবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার পর খাবার ডেলিভারি দেওয়ার জন্য নবোদয় হাউজিং এলাকার ৩ নম্বর রোডের ওপর দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুইজন ছিনতাইকারী তাকে পিছন থেকে ডাক দেয়। তাদের ডাকে দাঁড়ানের পর হলুদ গেঞ্জি পড়া এক ছিনতাইকারী গেঞ্জির নিচ থেকে চাপাতি বের করে তাকে কোপ দিয়ে মোবাইল নিয়ে দৌঁড় দেয়। ওই সময় আশপাশে থাকা লোকজন ভয়ে চারদিকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে পাশের একটি ফার্মেসিতে গিয়ে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

ছিনতাইয়ের ঘটনায় নবোদয় হাউজিংয়ের সাধারণ সম্পাদক নাজিব আমজাদ স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছিনতাইয়ের সময়ের একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টটি জাহাঙ্গীর কবির নানকের চোখে পড়লে ছিনতাইকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আটক করতে নির্দেশ দেন। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সহায়তায় রাত সাড়ে ১২টায় ছিনতাইকারীদের আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন নানক।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা জানান, গতকাল নবোদয় হাউজিং এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল ও যাবতীয় মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

;

কর্ণফুলীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ১২ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত পৌনে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিমানটি উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রাম নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা বিমান উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এক পাইলট নিহত হয়েছেন।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বার্তা২৪.কমকে বলেন, YAK130 ওই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ওঠার সময় রানওয়েতে স্পার্কস করেছিল। এরপর ওপরে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।

এদিকে আইএসপিআর থেকে জানানো হয়, যুদ্ধবিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।

;

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
আসামি গ্রেফতার

আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী সোহেল মিয়াকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে আসামি সোহেল মিয়াকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠালে বিচারক মাহবুবা আক্তার তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভালুকা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরুপম নাগ বলেন, আসামি সোহেল মিয়াকে আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারাায় জবানন্দিতে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যার পর গাজীপুর জেলার টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজ থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিরুপম নাগ বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজ থেকে সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোহেলকে প্রথমে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ঘটনাস্থলের পাশে একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পরকীয়া সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করে চাকরি করতে নিষেধ করতেন। কিন্তু স্বামী কথা না শুনে চাকরি করতেন। এজন্য আগে থেকেই স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন গত সোমবার তার ছোট ছেলে সাব্বিরকে নানা বাড়ি পাঠিয়ে দেন এবং হেফজ পড়ুয়া বড় ছেলে সানি মাদরাসায় ছিল। স্ত্রীকে প্রথমে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ঘর থেকে মরদেহ বের করে প্রথম পুকুরপাড়ে নিয়ে রাখেন এবং বাড়ি থেকে একটি ছুরি নিয়ে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সোহেলের মুখে দাড়ি থাকলেও পুলিশের হাত থেকে বাঁচার জন্য তা ফেলে প্রথম চলে যান খুলনায় এক বন্ধুর বাড়ি। কিন্তু তার বন্ধুকে না পেয়ে চলে যান ফরিদপুরের ভাঙা উপজেলায়। ওখান থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে যান ঢাকার গুলশানে। পরে সাভার ও আশুলিয়ায় যান এবং বুধবার দুপুরে সে টঙ্গীর রেলস্টেশন এলাকার একটি গেস্টহাউজে উঠে। ওইখান থেকে সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়।

;

খাদ্যমন্ত্রীর বড় ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার

ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার

  • Font increase
  • Font Decrease

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজবাস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

কর্মজীবনে ধীরেশ চন্দ্র মজুমদার শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। সর্বশেষ তিনি নিয়ামতপুর উপজেলার কাপাস্টিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ভাই ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার।

এক শোকবার্তায় খাদ্যমন্ত্রী ধীরেশ চন্দ্র মজুমদারের আত্মার চির শান্তি কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস‍্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

;