এই তীব্র গরমের জন্য একমাত্র দায়ী বর্তমান সরকার: শাহাদাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে এখন উত্তপ্ত আগুনের মতো পরিবেশ। তীব্র তাপদাহের কারণে গরমে মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরকম গরম বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো পড়েনি। এই তীব্র গরমের জন্য একমাত্র দায়ী বর্তমান সরকার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর গোল পাহাড় মোড়ে তীব্র গরমে বিপর্যস্ত পথচারী ও রিকশাচালকদের মাঝে দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড যুবদলের পক্ষ থেকে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এই দেশে নদী খাল বিল দিয়ে ভরা কিন্তু সেই নদী খাল বিলগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এই সরকার নদী, বন ও গাছপালা রক্ষা করতে পারেনি। ভূমিদস্যুরা নদী দখল করে রেখেছে। অন্যায়ভাবে গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।‌ কিন্তু সরকার কিছুই কর‌ছে না। চট্টগ্রামের মানুষ তীব্র গরমে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। হিট স্ট্রোকে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মনে হচ্ছে ৪৩ বা ৪৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা। মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ধুঁকে ধুঁকে মারা যাবে। এইজন্য দেশের জনগণ চায় এই সরকারের বিদায়। এই সরকারের পদত্যাগের মাধ্যমেই দেশের জনগণ মুক্তি পাবে।

তিনি বলেন, কয়লা পুড়িয়ে তাপকেন্দ্র করলে দেশের কোনো লাভ হবে না। দেশের গাছ, মাছ, ফসল পুড়ে যাবে। কুয়াকাটায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাগেরহাটের রামপালে কয়লা পুড়িয়ে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক‌রে‌ছে, যার কারণে সমুদ্র পাড়ে নারিকেল গাছে নারকেল ধরে না, ফসল হয় না। আমাদের নিঃশ্বাস, আমাদের অক্সিজেন হচ্ছে সুন্দরবন, সেই সুন্দরবনকে পুড়িয়ে উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে এই গণবিরোধী সরকার। তাই আজ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দীন চৌধুরী বাসু, আক্তারুজ্জামান চৌধুরী রাশেদ, মহানগর যুবদলের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দীন, যুবদল নেতা মানিক সরকার, আনিসুর রহমান, মো. সজিব, মো. ইফতি, জুয়েল রানা, হানিফ সরকার, নাহিদুর রহমান হিরা, বেলাল উদ্দিন প্রমূখ।

   

কর্ণফুলীতে ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে প্রায় ৫ কোটি টাকার খাস জমি উদ্ধার করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পিযুষ কুমার চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান এসব জমি উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর মৌজার বি.এস ৫২৬,৫২৭, ৫২৮ দাগে জমির পরিমান ৩০ শতক, বি.এস ২৮৩ দাগে ১৫ শতক, ২৮৪ দাগে ১৫ শতক, বি. এস ২৭২, ২৭৩, ২৭৫, ২৭৬, ২৭৭, ২৭৯ ও ২৮০ দাগে ২২ শতক, বি.এস ৩৪৫, ৩৪৬, ৩৪৭, ৩৪৮, ৩৪৯ দাগে ২৪ শতক, এছাড়া ৩১১ দাগে ৮ শতক ও ৪৯৫ দাগে ৭ শতক জমিসহ মোট ১ একর ২১ শতকসহ মোট মোট ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী বলেন, অভিযানে মোট ১ একর ২১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে খাস জমিগুলো অবৈধ দখলদারদের কাছে ছিল। পরে জমিগুলো উদ্ধার করে সেখানে জমির তফসিল উল্লেখ করে সীমানা পিলার দ্বারা চিহ্নিত করে সাইনবোর্ড দেওয়া হয়। পাশে কিছু জমিতে ঘরবাড়ি থাকায় আমরাও মানবিক কারণে তাদের উচ্ছেদ করিনি। পরে ঊর্ধ্বতন স্যারদের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মো. শওকত জামান, বড়উঠান ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম, সিএমপি কর্ণফুলীর পুলিশের চৌকস টিম।

;

পাচারকালে প্রায় ৬ কেজি স্বর্ণ জব্দ, বিএসএফের হাতে আটক ৪



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পাচারকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন সীমান্তের ওপারে প্রায় ৬ কেজির ৫০টি স্বর্ণের বার জব্দ ও ৪ পাচারকারীকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। জব্দ করা স্বর্ণের বার গুলির ওজন ৫ কেজি ৮শ ৪০ গ্রাম এবং এর বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ১শ ৬৫ টাকা।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এক বার্তায় আটকের এ তথ্য সংবাদকর্মীদের জানায়।

বার্তায় জানানো হয়, বুধবার কয়েক ধাপে পাচার কালে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদের একজন হলেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী শরীয়তপুরের মাতবরকান্দি উপজেলার আব্দুল হোসেন মোল্লার স্ত্রী দিলরুবা আক্তার। বেনাপোল কাস্টমস পার হয়ে ভারতে ঢোকার পর দিলরুবা আক্তারের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় ইমিগ্রেশনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিএসএফ সদস্যদের। এ সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার শরীরের পায়ুপথ থেকে দুটি স্বর্ণবার জব্দ করেন পেট্রাপোল কাস্টমসে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা।

এছাড়া একই দিন পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাস থেকে দুই ভারতীয় নাগরিককে ১৮টি স্বর্ণবারসহ আটক করে বিএসএফ। এরা হলেন- উত্তর ২৪ পরগণার পশ্চিমবঙ্গের আকারে অবস্থিত ধাকপাদা গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে তাপস রায় ও কোরবাগার জেলার নামনগর গ্রামের অনুপ লুমার ছেলে অভিজিৎ। অন্যদিকে, একই সময়ে পেট্রাপোল বন্দর থেকে ভারতীয় ট্রাকচালক পোলতা গ্রামের দিলীপ মণ্ডলের ছেলে উজ্জ্বল মণ্ডলকে ৩০টি স্বর্ণবারসহ আটক করে বিএসএফ। তিনি বেনাপোল বন্দর থেকে মনসুর শেখ নামে এক ব্যক্তির দেওয়া ৩০টি স্বর্ণের বার নিয়ে ট্রাকে লুকিয়ে ভারতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ভারতের ২৪ পরগনা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণবারসহ পাচারকারীদের আটকের বিষয় জানিয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের জানান, আটক চোরাকারবারি ও জব্দ করা স্বর্ণের বিস্কুট পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শুল্ক বিভাগ, পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও ছাড় দেবে না বিএসএফ। চোরাচালান প্রতিরোধে সবার সহযোগিতা কামনা করেন এ বিএসএফ কর্মকর্তা।

জানা যায়, বেনাপোল কাস্টমসের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুট’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বেনাপোল স্থলবন্দর। তবে স্বর্ণ নিয়ে নির্বিঘ্নে বেনাপোল পার হয়ে গেলেও পেট্রাপোলে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন ধরা পড়ছে চোরাকারবারিরা।

জানা গেছে, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৪টি স্ক্যানিং মেশিন স্থাপন করে। এর একটি মোবাইল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়, বন্দরের বাইপাস সড়কে পণ্য প্রবেশ দ্বারে। অত্যাধুনিক মেশিনটি পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম।

এছাড়া বেনাপোল চেকপোস্ট ও রেলস্টেশন, আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন- কাস্টমস রুটে চোরাচালান রোধে আরো তিনটি স্ক্যানিং মেশিন বসানো হয়। স্ক্যানিং মেশিনটি কাস্টমসের পক্ষে পরিচালনা করে আসছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস। তবে স্ক্যানিং মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় গেল ছয় মাস ধরে স্ক্যানিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে অবাধে আমদানি পণ্য ও পাসপোর্ট যাত্রীর মাধ্যমে স্বর্ণ ও মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে চোরাচালান ব্যাপক হারে বেড়েছে। এছাড়া ঢাকা-কলকাতা রুটে যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী পরিবহনের অনেকেই জড়িয়ে পড়ছেন চোরাচালানে।

বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষে স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন জানান, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী, সেটির ব্যয় কাস্টমসের বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং তিনটির কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

 

;

মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন, ২০ বছরে সুস্থ ২৮ শতাধিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন, ২০ বছরে সুস্থ ২৮ শতাধিক

মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনে আহ্ছানিয়া মিশন, ২০ বছরে সুস্থ ২৮ শতাধিক

  • Font increase
  • Font Decrease

আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র বলছে, গত ২০ বছরে তাদের কাছে ২ হাজার ৭৮৯ জন রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। এসব রোগীদের মধ্যে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ইয়াবা ও ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ গাঁজা গ্রহণকারী।

এছাড়া ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হিরোইন, ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এ্যালকোহল এবং ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ একই সঙ্গে একাধিক মাদক গ্রহণকারী, বাকিরা অন্যন্য মাদক গ্রহণকারী। মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রিনিয়া ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বাইপোলার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওসিডি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) গাজীপুর আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এসব তথ্য জানান ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।

তিনি জানান, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ১৯৯০ সাল থেকে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করলেও তার প্রতিষ্ঠানিক রূপ নেয় ২০০৪ সালের ৪ মে গাজীপুরে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এই প্রতিষ্ঠানটি ছাড়াও ঢাকা আহছানিয়া মিশন ২০১০ সালে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, যশোর, ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মুন্সিগঞ্জে আহ্ছানিয়া হেনা আহমেদ মনোযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে।

গত ২০ বছরে কেন্দ্রটি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ধ্বংসাত্মক প্রভাবের সঙ্গে লড়াইরত অগণিত ব্যক্তি এবং পরিবারের জন্য আলোর বাতিঘর হয়ে উঠেছে। আমাদের সামগ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় যত্ন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান নয় বরং তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭৮৯ জনকে সেবা প্রদান করেছে। ২ হাজার ৭৮৯ জন চিকিৎসা গ্রহণকারীর মধ্যে মাদকাসক্ত জনিত সমস্যা দুই হাজার ১৪২ জনের এবং মানসিক সমস্যা ৬৪৭ জনের । যার মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশ।

গত দুই দশকের তথ্যের আলোকে, ২ হাজার ৭৮৯ জন রোগীর মধ্যে ৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ চিকিৎসার মেয়াদ পূর্ণ করেছে, মেয়াদ পূর্ণ না করে চলে গেছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং বিভিন্ন কারণে ১ দশমিক ৫ শতাংশ রোগীকে রেফার করা হয়েছে এবং ২ দশমিক ২৯ শতাংশ রোগী বর্তমানে চিকিৎসারত রয়েছে। আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ডাম হেল্থ অ্যাপের মাধ্যমে রোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকেন।

চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশ ইয়াবা, ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ গাঁজা, ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ ঘুমের ওষুধ, ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ হিরোইন, ১২ দশমিক ৬ শতাংশ এ্যালকোহল এবং ৪৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ একই সঙ্গে একাধিক মাদক গ্রহণকারী, বাকিরা অন্যান্য মাদক গ্রহণকারী। মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রিনিয়া ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ, বাইপোলার ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ডিপ্রেশন ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, ওসিডি ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বাকিরা অন্যান্য মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিল।

পরিচালক ইকবাল মাসুদ আরও বলেন, এই কেন্দ্রটি তিন ধরনের রোগী যেমন মাদকদ্রব্য নির্ভরশীল, আচরণগত এবং মানসিক সমস্যাগ্রস্থ তাদের ৬ মাস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে। এছাড়াও পূর্ণ মেয়াদ চিকিৎসা সম্পূর্নকারী ক্লায়েন্টরা পরবর্তিতে রিলেপ্স করলে রিভিউ ক্লায়েন্ট হিসাবে ৩ মাস ভিত্তিক চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবে। যারা পূর্ণমেয়াদি চিকিৎসা গ্রহণ করে এখনও সুস্থ আছেন তারা সেন্টার থেকে বছরে সর্বোচ্চ ১২ দিন বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া ও কাউন্সেলিং সেবা পাচ্ছেন।

কেন্দ্রটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসন্মত প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকেন। চিকিৎসা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হলো ক্লায়েন্টের সমস্যাগুলো নিরূপণ ও ড্রাগ টেস্ট করা। এরপর ক্লায়েন্টের চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয়। ডিটক্সিফিকেশন বা নির্বিষকরণের মাধ্যমে ক্লায়েন্টের মূল চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ধারাবাহিক ও নিয়মিত চিকিৎসা সেবার অংশ হিসেবে রয়েছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে সাধারণ স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, চিকিৎসক দ্বারা নিয়মিত চেকআপের ব্যবস্থা, যে সকল রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী রোগ যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, অ্যাজমা ইত্যাদি রোগ ব্যাধি থাকে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পরামর্শ প্রদান, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ মনো চিকিৎসকের মাধ্যমে মাসে ২ বার মনো চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

;

ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন দেশের আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া তাঁর সমগ্র জীবনে মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন।

তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ক্ষমতার অনেক কাছাকাছি থেকেও কখনো ক্ষমতার দাপট না দেখিয়ে বরং খুব সাদামাটা একটা জীবন কাটাতেই পছন্দ করতেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম বড় একটি দিক। মেধাবী এই মানুষটি নীরবে, নিভৃতে নিরলসভাবে গবেষণায় থেকে দেশের উন্নয়নের জন্য আমৃত্যু কাজ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে আন্তর্জাতিক পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন তিনি; যার প্রতিফলন ঘটে তাঁর শিক্ষা ও কর্ম জীবনে। তিনি ছিলেন দেশের আণবিক গবেষণার পথিকৃৎ। পরমাণু গবেষণায় তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গেছেন এবং বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে দক্ষতা ও সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর গবেষণা কর্মের পরিধি ছিলো অত্যন্ত ব্যাপক।

তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে নীরবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন। ষাটের দশকে তিনি ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

মন্ত্রী বলেন, তাঁর ( ড. ওয়াজেদ মিয়া) দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে আদর্শ শিক্ষা দিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। যার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের আলোতে আলোকিত হচ্ছে সমগ্র বাংলাদেশ। আর কন্যা সমাজের অবহেলিত প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। তিনি ক্ষমতার কাছে অবস্থান করলেও ড. ওয়াজেদ ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ ও নিভৃতচারী একজন সহজ-সরল মানুষ

বঙ্গবন্ধু একাডেমির সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদের সহ সভাপতি তালুকদার সরোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. নুরুন নবী বক্তৃতা করেন।

;