কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে: ইসি
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
সদ্য অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোট পড়ার বেশ কয়েকটি কারণ জানিয়েছে। তারমধ্য বড় কারণ বৃষ্টি ও হাওড় এলাকায় কৃষকরা ধান কাটার কারণে ভোট কম পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
এই কমিশনারের ব্যাখ্যায় মোটা দাগে পাঁচ কারণে ভোট কম পড়েছে। এগুলোর মধ্যে বৈরি আবহাওয়া, বিএনপি ভোটে অংশ না নেওয়া, জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাব, ধান কাটার মৌসুম এবং সাধারণ ছুটি থাকায় শ্রমিকরা নিজ এলাকায় চলে যাওয়ায় ভোট কম পড়েছে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ধান কাটার মৌসুম বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে বোরো ধান যেসব এলাকায় আছে, এটা আমাদের আগেই মাঠ প্রশাসন থেকে বলেছে, যে ধান কাটার মৌসুমের জন্য ভোট কম পড়তে পারে। ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। আবার একটি বড় দল রাজনৈতিকভাবে অংশগ্রহণ না করায় ভোট কম হয়েছে। শহর এলাকার ছুটি থাকলে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। গাজীপুরে কিন্তু ভোট কম পড়েছে। শুধু ধান কাটা না, নানা কারণে ভোট কম পড়েছে। আরো কোনো কারণ থাকলে তা গবেষকরা বলতে পারেন।
এছাড়া প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপরও ভোট পড়ার হার নির্ভর করে। এই নির্বাচনের ৭৩ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন এলাকাও আছে। আাবার ১৭ শতাংশও ভোট পড়েছে এমন উপজেলাও আছে।
সিল মারার সংস্কৃতি থেকে কিভাবে বেরিয়ে আসবেন এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, রাজনীতি তো সংস্কৃতির অংশ। তাই এনিয়ে বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। যারা গবেষণা করেন তাদের সঙ্গে বসতে হবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, গতকালের নির্বাচনে আমাদের কড়া বার্তা ছিল যে নির্বাচনে কোনোভাবে অনিয়ম হওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন চেয়েছে জন্য হয়েছে এটা বলা যাবে না, সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ছোটখাটো ত্রুটি হতেই পারে, সেই ত্রুটিকে বড় করে দেখার কোনো কারণ নেই। যারা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। একজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকেও জেল, একজনকে মামলা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা খুব অ্যাক্টিভলি কাজ করেছেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকার পরিবর্তন হবে না এই নির্বাচনে। তাই দলগুলোকে ভোটের আসার জন্য আমরা আলোচনায় ডাকিনি। এই নির্বাচনে সংলাপ করার কোনো দরকার নেই। তবে সকল দল আসলে ভোট পড়ার হার আরো বেশি হতো।
প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে ভোট পড়ার হার ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ। আর ব্যালট পেপারে হয়েছে ১১৭টি উপজেলায় ভোট হয়েছে।