সংসদ সদস্য আজীম হত্যা: কলকাতায় ক্যাবচালক আটক, জিজ্ঞাসাবাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে অ্যাপচালিত এক ট্যাক্সিক্যাবচালককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকাতার গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার এ খবর জানায়।

খবরে জানানো হয়, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার সিআইডির নজরে এক অ্যাপ ক্যাবচালক। মামলার তদন্তের সূত্র ধরে ওই চালককে তলব করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাকে আটক করে জেরা করছেন সিআইডি গোয়েন্দারা। হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তবে দৈনিক পত্রিকাটি আটক ক্যাবচালকের নাম প্রকাশ করেনি।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সে দেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম। কলকাতায় এসে প্রথমে তিনি উঠেছিলেন বরাহনগরে এক বন্ধুর ফ্ল্যাটে। দুইদিন সেখানে থাকার পর সেখান থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি তিনি।

আনোয়ারুল আজীম আনার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। পরে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিআইডি।

বাংলাদেশের সংসদ সদস্য খুনের ঘটনার তদন্তে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটের খোঁজ পায় স্থানীয় থানার পুলিশ। সেই ফ্ল্যাটেই চাপ চাপ রক্তের দাগ। সেখান থেকেই নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।

তদন্তভার হাতে নেওয়ার পরে বুধবার এই ফ্ল্যাটে ঘুরে যান সিআইডির আইজি অখিলেশ চতুর্বেদী।

তিনি জানান, গত ১৮ মে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তারপর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট একটি এসআইটি গঠন করে। তদন্ত করতে গিয়ে তারা এই ফ্ল্যাটের খোঁজ পান।

তদন্ত করতে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু করেন গোয়েন্দারা। তদন্তে তারা জানতে পারেন, বরাহনগর থেকে একটি গাড়িতে চেপে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে যান আনোয়ারুল আজীম। সিআইডি ইতোমধ্যে সেই গাড়িরচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সেখানকার আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা একটি অ্যাপ ক্যাবের খোঁজ পান।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতা পুলিশের বিশেষ দল ঢাকা এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি ও তথ্য জানাতে তারা ঢাকা আসছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।  

   

ব্রিকস'র সদস্য হতে ভারতের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্রিকস-এর সদস্য হওয়ার জন্য ভারতের কাছে সমর্থন চেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার (২২ জুন) ভারতের হায়দরাবাদ হাউসের দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যদি ব্রিকস নতুন সদস্য বা অংশীদার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আমরা ব্রিকস এর অংশ হতে চাই। এই লক্ষ্যে ভারতের কাছে সমর্থন চেয়েছি।

উদীয়মান-বাজারের দেশগুলির গ্রুপ ব্রিকস (বিআরআইসিএস) এর সংক্ষিপ্ত রূপটি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা।

এছাড়াও সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনতেও ঢাকা-নয়াদিল্লির মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

;

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার (২৩ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তবে এদিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

;

নীলফামারীতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফিরোজ মিয়া( ১৭) নামে এক মাদক কারবারিকে ৩৪৬ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব ১৩।

শনিবার (২২ জুন) রাতে মাগুড়া সবুজপাড়া ক্যানেলের পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ফিরোজ ওই গ্রামের মৃত মিন্টু মিয়ার ছেলে।

র‍্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, ফিরোজ দীর্ঘদিন ধরে জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব ১৩ একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে ১৪৬ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন।

র‍্যাব-১৩-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদ বশির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

ভাঙনে সব হারানোর পর আসে জিও ব্যাগের 'সান্ত্বনা'



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে চলছে তিস্তার ভাঙন। গত সপ্তাহ খানেকের ভাঙনে ৫০ টিরও বেশি পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কেউ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব, কেউবা হারিয়েছেন একমাত্র ফসলী জমি। ভাঙনের তীব্রতা কমার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর জন্য শুধুই 'সান্ত্বনা' বলছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ভাঙনের আগে শুষ্ক মৌসুমে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়না। বিপরীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী কাজের বরাদ্দ নেই। ভাঙন শুরু হলেই কেবল জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানো হয়।

শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের ভাঙনকবলিত কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখে বার্তা২৪.কম। চোখে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের আহাজারি। বাড়ির মালিকদের সাথে বাড়ি সারাতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। ভাঙনে নিশ্চিত বিলিন হবে জেনে কাটা হচ্ছে ছোট-বড় সব গাছ। এসব গাছ বিক্রি হচ্ছে অর্ধেকেরও কম দামে। এই ইউনিয়নের চতুরা গ্রামের কালিরহাট বাজার ও বাজারে অবস্থিত কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিও ভাঙন ঝুঁকিতে। মাত্র কয়েক মিটার দুরেই তিস্তার চোখ রাঙানি বলে দিচ্ছে বিদ্যালয়টির সময় ফুড়ানোর বার্তা। বিদ্যালয় ও বাজারটিকে রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড এই দিনেই প্রথম জিও ব্যাগ প্রস্তুত করার কাজ শুরু করেছে। তবে, উদ্যোগকে লোক দেখানো বলছেন এলাকাবাসী।

বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে চলছে তিস্তার ভাঙন।

এই গ্রামের বাসীন্দা জাহেরুল ইসলামের সাথে দেখা হয় বাজারের পাশে একটি ভিটায়। কয়েকদিন আগেও যেখানে বসতি ছিলো, সেই ভিটের অর্ধেক এখন তিস্তার দখলে। তিনি বলেন, এটা আমার বাড়ি ছিলো। কয়েকদিন আগে সব শেষ হয়েছে। কিছু গাছ কাটার আগেই নদী খেয়ে নিয়েছে। পাশের স্কুলে গিয়ে উঠেছি। এখন আমার কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই। ভাঙনের আগেই যদি সরকার ব্যবস্থা নিতো তাহলে আমাকে নিঃস্ব হতে হয়না। আজকে কিছু জিও ব্যাগ এনে আমাদের সান্ত্বনা দেয়া হচ্ছে। এগুলো এই স্রোতে টিকবেনা।

পাশেই বাড়ি সরিয়ে নিতে সকাল থেকেই কাজ করছেন নমিতা রানী। অসুস্থ্য স্বামীকে পাশের বাসায় রেখে এসে একাই বাড়ির আসবাবপত্র গোছাচ্ছেন তিনি। কাজ করতে করতে বলছিলেন, গত শুক্রবারও নদী অনেক দূরে ছিলো। এত দ্রুত ভাঙবে আশা করিনি। মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে। এই যায়গা ছাড়া আর কোনো যায়গা নাই। মেয়ের বিয়ে নিয়ে টেনশন করি নাকি থাকা নিয়ে ভাবি। এই অসুস্থ্য স্বামী আর জুয়ান মেয়কে নিয়ে এখন কোথায় থাকবো। বাজারে জিও ব্যাগ দেখে আসলাম। ওগুলো কিছুদিন আগে আনলেও বাড়িটা রক্ষা করা যেতো।

বাজারে জিও ব্যাগ আনার খবরে দূর থেকে নিজের ভিটে দেখতে এসেছেন সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, যেখানে জিও ব্যাগ রেখেছে নদীতে ফেলার জন্য, সেটা আমার জমি। এখানে আমার বাড়ি ছিলো। ভাঙনে বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি। গতবছর এখানে জিও ব্যাগ ফেলার পরেও ভেঙে গিয়েছে। ব্যাগ গুলো নদীর স্রোতে সরে যায় নাহলে দেবে যায়। বন্যার সময় এগুলো দিয়ে কাজ হবেনা। কিছুদিন পর নষ্ট হবে।

রিভারাইন পিপলের পরিচালক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও ডিন নদী গবেষক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, বাংলাদেশ অংশে তিস্তার প্রায় ৩২ কিলোমিটার ভাঙনপ্রবণ এলাকা রয়েছে। এগুলো স্থায়ীভাবে সমাধানের জন্য ১ হাজার কোটি টাকার বেশি লাগেনা। এর ফলে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার সম্পদ সাশ্রয় করা সম্ভব। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের প্রতি সরকারের মনোযোগ কম থাকার কারণে তিস্তার জন্য বিশেষ কোনো বাজেট থাকেনা। এটি সরকারের হেয়ালিপণা। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে বালির বস্তা দিয়ে যে ব্যবস্থা নেয় সেটা খুব কাজে আসেনা। এটা চরম সংকটে সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছু নয়।

জনগণের অভিযোগ ও অস্থায়ী ভাঙন ঠেকানোর ব্যবস্থা নিয়ে কথা হয় রাজাহাট উপজেলা অংশের তিস্তা নদীর দ্বায়িত্বে থাকা কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান জানি'র সাথে। তিনি বলেন, রাজারহাট উপজেলায় ৪-৫ টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালীর হাট এলাকা। আমরা ইতোমধ্যে সেখানে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ প্রস্তুত করছি। রোববার থেকে জিও ব্যাগ নদীতে ফেলা হবে। যতটা দরকার হবে ততটাই সেখানে দেয়া হবে।

তিনি আরাও বলেন, এগুলো জরুরি কাজ। যখন যেখানে সমস্যা হয় আমরা সেখানে চলে যাই। বর্ষা মৌসুমের আগে বরাদ্দ দেয়না স্যারেরা। এটা একটা ক্ষণস্থায়ী কাজ। নদীতে ব্লক দিয়ে বাধ দেয়া আমাদের স্থায়ী কাজ। যেটা প্রায় সব মৌসুমে চলে। তিস্তায় আমাদের নিজস্ব একটা স্টাডি চলমান। সেটা হলে আমরা প্রকল্প পেশ করবো। সেই বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত তিস্তায় স্থায়ী কাজ হচ্ছেনা।

;