নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা বেষ্টিত চরমধুয়ায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের এক বছরের মধ্যে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেড় ঘন্টায় ৭০ মিটার নির্মাণাধীন বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের চরমধুয়া ইউনিয়নে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙন একটানা সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে আসেন সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড ও নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের নিদের্শনা দেন।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনায় বর্ষার পানি বৃদ্ধি প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের ৭০ মিটার অংশ মেঘনা নদীগর্বে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বেশ কয়েক'শ পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, বাঁধ নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষার পানি বৃদ্ধি প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের তিন বিঘা অংশ মেঘনা নদীগর্বে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে রয়েছি।
নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারি প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, 'বাঁধটি নির্মাণ করেন সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। আগামী এক বছরের মধ্যে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাই মেরামত করবে। নির্মাণাধীন ৭০ মিটারের মতো বাঁধ নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনা বাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে মেরামতের নির্দেশনা দেন।'
চরমধুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহসান শিকদার জানান, 'গত বছর ওই এলাকায় বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রবল স্রোতে জিওব্যাগ, সিসি ব্লকসহ বাঁধের তিন বিঘার মতো অংশ ভেঙে নদীগর্বে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী ভীত সন্তস্ত হয়ে পড়েন। মূলত পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে নিচের বালু সরে যাওয়ায় এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে।’
ভাঙনের কারণে চরমধুয়া এলাকার বসতভিটা, ফসলি জমিসহ কয়েক শত পরিবার হুমকির মধ্যে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি দ্রুত নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তিনি।