সীমান্তে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক

ছবি: অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলা পাটগ্রামে সীমান্তের তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম বিজিবি চেকপোষ্টে শিশুসহ ৫ বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকালে উপজেলা তিন বিঘা করিডর এলাকায় তাদেক আটক করে বিজিবির পানবাড়ি বিজিবির সদর কোম্পানির সদস্যরা ।

আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাবের ছেলে মোঃ আক্তারু ইসলাম (৪১) তার স্ত্রী মোছাঃ সোহাগী (৩৫), ও মেয়ে মোছাঃ লাবনী আক্তার (১৮) । একাই গ্রামের মোঃ আউয়াল মোকাদ্দেসের মেয়ে মোছাঃ মুক্তা আক্তার (৩০) ও মোঃ মহিউদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ আফিয়া হোমায়রা (৩) ।

বিজিবির সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালের দিকে উপজেলার তিন বিঘা করিডোর ও দহগ্রাম বিজিবি চেকপোষ্টে দিয়ে দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্ঠা করেন। এ সময় দহগ্রাম বিজিবি চেকপোষ্টে বিজিবি সদস্যরা তাদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা সময় ওই শিশুসহ ৫ বাংলাদেশি নাগরিকদের সন্দেহজনক কথা বলায় তাদের আটক করেন।

পরে বিজিবি সদস্য পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হানিফের (১৮) মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য এসেছেন। পরে তাদেক ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বসতঘরে মিলল গোখরা সাপের ৩৫ বাচ্চা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
বসতঘরে মিলল গোখরা সাপের ৩৫ বাচ্চা

বসতঘরে মিলল গোখরা সাপের ৩৫ বাচ্চা

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় ইদুঁরের গর্ত থেকে একে একে বেরিয়ে এসেছে ৩৫টি গোখরা সাপের বাঁচ্চা।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের মিলন হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গোখরার বাঁচ্চাগুলি উদ্ধার করা হয়।

এসময় স্থানীয় সাপুড়ের সহযোগিতায় ওই গর্ত খুড়ে উদ্ধার করা হয় ৪২টি সাপের ডিম। সাপের বাঁচ্চা ও ডিম উদ্ধারের পর থেকে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছোটশলুয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একটি মাটি তৈরি ঘরে বাস করেন মিলন হোসেন। রোববার বিকেলে বাড়িতে থাকা চৌকির নিচের ইদুঁরের গর্ত থেকে একটি গোখরার বাচ্চা বের হয়ে আসে। বাড়ির লোকজন সাপটি দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। সন্ধ্যায় একই গর্ত থেকে আরও একটি গোখরার বাচ্চা বাইরে বের হলে মিলন হোসেন স্থানীয় সাপুড়ে ঈসাকে খবর দেন। ঈসা সাপুড়ে দ্রুত ওই বাড়িতে আসেন এবং গর্ত খুড়ে একটি প্রাপ্তবয়স্ক গোখরা ও ৩৪টি গোখরার বাচ্চা উদ্ধার করেন। ওই গর্ত থেকে ৪২টি সাপের ডিমও উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা ৩৫টি সাপকেই পিটিয়ে মেরে ফেলে।

ওই বাড়ির মালিক মিলন মিয়া জানান, ‘বিকেলে আমার মেয়ে ঘরে গিয়ে দেখে চৌকির নিচে একটি মুরগী, সেটি তাড়িয়ে দিতে গেলে সাপের বাচ্চাটি তার চোখে পড়ে। এসময় আমরা সাপটি মেরে ফেলি। পরবর্তীতে ঈসা সাপুড়ে গর্ত খুড়ে আরও ৩৪টি গোখরার বাচ্চা খুঁজে পায়। সেখানে ৪২টি ডিমও ছিল।’

পার্শ্ববর্তী গ্রামের হিজলগাড়ীর ঈসা সাপুড়ে বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেশি হয়, এসময় সবাইকে সতর্ক থাকা উচিত।

তিনি উদ্ধারকৃত প্রাপ্তবয়স্ক সাপটি নিরাপদ ও নির্জন স্থানে ছেড়ে দিবেন বলেন জানান।

;

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ২। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ২। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুই জন।

রোববার (৩০ জুন) রাত ১১টায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, প্রান-আরএফএল গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও বেলাল হোসেনের ছেলে বায়েজিদ (৩)। হতাহতরা কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা।

হাইওয়ে থানার ওসি জানান, প্রান-আরএফএল গ্রুপের কাভার্ড ভ্যান নাটোর থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। এর কেবিনে ড্রাইভারের পাশের আসনে যাত্রী ছিলেন প্রান-আরএফএল গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, তার স্ত্রী ও শিশু পুত্র। রাত ১১টার দিকে রনবাঘা এলাকায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয় কাভার্ড ভ্যানটি। এতে কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম মারা যান।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বায়েজিদ নামের শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেলাল হোসেনের স্ত্রীর নাম জানা যায়নি।

হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকটি পালিয়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানের চালকও আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। কাভার্ড ভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

;

২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড কক্সবাজারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ফাইল ছবি। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ফাইল ছবি। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ মিটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে সারাদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত এর রেকর্ডসমূহে দেখা যায়, কক্সবাজারে ১৩৪ মিলিমিটার, তেঁতুলিয়ায় (পঞ্চগড়) ১২৯ মিলিমিটার, মংলায় (বাগেরহাট) ১১২ মিলিমিটার, বরগুনায় ৭১ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৬৭ মিলিমিটার, মাদারীপুরে ৬০ মিলিমিটার, বদলগাছী (নওগাঁ) ৫৯ মিলিমিটার, বান্দরবানে ৫৭ মিলিমিটার, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) ৫৫ মিলিমিটার এবং নাটোরে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।

এর আগে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মাল্লিক, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার ফলে গত শনিবার থেকে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত টানা অতি বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম জানিয়েছে, এ বৃষ্টিবলয়ের নাম 'রিমঝিম'। এটা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে ৩০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত। এই বৃষ্টিবলয় গতকাল চট্টগ্রাম ও বরিশাল দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।

আগামী সাত দিনে ঢাকায় গড়ে ১৮০-২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম ৪০০-৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। খুলনা বিভাগে গড়ে ২০০-২৫০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগে গড়ে ২৫০-৪০০ মিলিমিটার, সিলেট বিভাগে গড়ে ৩৫০-৫০০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহ ২৮০-৪০০ মিলিমিটার, রাজশাহী ১৫০-২২০ মিলিমিটার, রংপুর ৩৫০-৪৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

;

ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ

ফুটপাতে ভবঘুরের মরদেহ, এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে লাশ পাঠালো পুলিশ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক ভবঘুরের মরদেহ উদ্ধার করে শেষ গোসলসহ আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাফনের কাপড় পড়িয়ে এম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়েছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

রোববার (৩০ জুন) সকালে মোহাম্মদপুর থানার গজনবী রোড এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর পরিচয় শনাক্তের পর নিহতের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ পাঠানো হয়।

নিহতের নাম- গোলাম মোস্তফা (৪৯)। তিনি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার সুখান দিঘী গ্রামের মৃত আকুল মোল্লার সন্তান।

নিহতের ভাতিজা সাইদুল মোল্লা জানান, তার চাচা দীর্ঘদিন যাবৎ মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন অবস্থায় ছিলো। বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজকে সকালে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি মোহাম্মদপুর গজনবী রোডে পাঁকা রাস্তার মাথায় ফুটপাতে ওপর অজ্ঞাত অবস্থায় আমার চাচার মরদেহ পড়ে আছে। পরে আমরা খবর পেয়ে থানা পুলিশের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বুঝে নেই। আমরা গ্রামে দিন মজুরির কাজ করে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করি। এখান থেকে আমার চাচার মরদেহ নেওয়া এবং মরদেহের জন্য কাফনের কাপড় কেনার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। বিষয়টি থানা পুলিশকে বুঝিয়ে বললে তারা ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। পরে তিনি এসে আমাদের এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ও কাফনের কাপড়ের টাকাসহ খরচের জন্য টাকার ব্যবস্থা করে দেন। পুলিশের সহায়তায় আমার চাচার মরদেহ আমরা গ্রামে নিয়ে দাফন করতে পারবো।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা বলেন, আজ সকালে আমরা খবর পেয়ে গজনবী রোডের ফুটপাত থেকে অজ্ঞাত ভবঘুরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সিআইডি ফরেনসিক টিমকে খবর দিলে তারা এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করলে আমরা তার গ্রামের বাড়িতে খবর দেই। ওনার ভাতিজা আসার পরে আমাদের জানায় তাদের পরিবার আর্থিকভাবে খুবই অস্বচ্ছল। তাদের কাছে কাফনের কাপড় কেনার টাকাও নেই।

পরে মানবিক দিক থেকে আমি স্ব-উদ্যোগে আমাদের অন্যান্য অফিসাররাসহ মিলে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া, কাফনের কাপড় এবং খরচের জন্য কিছু টাকা জোগার করে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ পাঠাই। আমরা চাই মানবিক দিক বিবেচনা করে সবাই সবার পাশে দাঁড়াক।

;