পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ দেশের ৯ জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে নতুন করে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে হবে।
রোববার (২৬ মে) সকালে ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে দেওয়া ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে রেমাল আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
এদিকে এর প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
ঈদে পশু কোরবানির পর ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণে জোর তৎপরতা শুরু করেছে ঢাকা উওর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুরের পর থেকে ডিএনসিসির আওয়াতীন বিভিন্ন ওয়ার্ডে ডিএনসিসির পরিচন্নতা কর্মীরা এই বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করে।
সরজমিনে রাজধানীর ফার্মগেট, আগারগাঁও মিরপুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ইতিমধ্য মিরপুর এলাকার প্রধান সড়কগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ শেষ হয়েছে। ময়লাবাহী বড় বড় ট্রাকে করে বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এসময় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বর্জ্য অপসারণ করে রাস্তায় ব্লিচিং পাউডার দিতে দেখা যায়।
এর আগে, সকালে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ঈদের নামাজ শেষে ৬ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দেন।
আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। কর্মব্যস্ত রাজধানী ছেড়ে অনেকেই ছুটে গেছেন নাড়ির টানে আপন ঠিকানায়। ফলে রাজধানীজুড়ে নেমে এসেছে নিরবতা। নেই আগের মতো কর্ম ব্যস্ততা। আর এই নিরব ঢাকার নিরাপত্তা ও সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরা।
সোমবার (১৭ জুন) রাজধানীজুড়ে এমন চিত্র দেখা যায়। থানা পুলিশের মতো সমান তালে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। যদিও আগের সেই ব্যস্ততা নেই। তবে ফাঁকা সড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর রাখছে ট্রাফিক পুলিশ।
রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবু সালেক।
এই ঈদ নিয়ে টানা তৃতীয় ঈদ কাটছে পরিবারের বাইরে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই নিয়ে তৃতীয় ঈদ, ছুটি পাইনি। এমন কি পায়ে ব্যথা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ট্রেনিংয়ে থাকায় ঈদের ছুটিতে যেতে পারিনি। আর শেষ সময়ে ছুটি পেলেও টিকিট না পাওয়ায় বাড়িতে যেতে পারিনি। কারণ আগে থেকে ছুটি দেওয়ার ঘোষণা আসে না। ফলে শেষ সময়ে এসে ছুটি পেলেও সেটা আর নেওয়ার উপায় থাকে না। আমাদের তো নিজস্ব গাড়ি নেই। বাস ট্রেনের টিকিট না পেলে তো যাওয়ার উপায় থাকে না। আবার মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি আছে।
তিনি আরও বলেন, ট্রেনিং করতে গিয়ে পায়ে ব্যথা পেয়েছি। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ নেই। ঈদের ছুটি শেষ না হলে নতুন ছুটিতেও যেতে পারবে না। শুধু আমি না, যে কেউ অসুস্থ হলে তাকেও দায়িত্ব চালিয়ে যেতে হবে। এটাই পুলিশের দায়িত্ব। আমাদের সব সময় দায়িত্বের মাঝে থাকতে হয়। এতেই আমাদের ঈদের আনন্দ।
পরিবারের জন্য মন খারাপ হলেও দায়িত্বের মাঝেই আনন্দ খুঁজে নেন ট্রাফিক কনস্টেবল লুৎফর রহমান।
তিনি বলেন, বাবা-মা বেঁচে নেই। স্ত্রী ও তিন সন্তান ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিজ বাড়িতে থাকে। গত ঈদে ছুটিতে গিয়েছিলাম। তাই নিয়ম অনুযায়ী এবার ছুটি পাবো না। পরিবারের জন্য মন খারাপ হলেও কাজের মাঝেই আনন্দে আছি। সবার ছুটে চলা দেখার মাঝেই আমাদের আনন্দ।
জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান ঈদ উপলক্ষে ডিএমপির দায়িত্বরত প্রত্যেক সদস্যের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছেন। ঈদের দিন দুপুরে ডিএমপির পক্ষ থেকে পোলাও, মাংস, ফিরনি, কোমল পানীয় সরবরাহ করা হয়েছে।
চলছে ঈদুল আজহা। ঈদে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত, গরুর লাথি এবং মাংস কাটতে গিয়ে ৯৪ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুর সাড়ে বারোটার টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক ) হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক সার্জন ডা. আমান।
তিনি বলেন, কোরবানি দিতে গিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত আহত অবস্থায় আমাদের এখানে ৯৪ জন এসেছে। আহতদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে সেলাই এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ডেমরার সারুলিয়া থেকে গরুর শিংয়ের আঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় মো. বাবুল (৫৫) নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে ১০২ নং ওয়ার্ডের ভর্তি দেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানি দিতে গিয়ে আহত অবস্থায় ৯৪ জন জরুরি বিভাগে এলে হাসপাতালের জরুরিভাবে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বগুড়ার আদমদিঘীতে বাবার সঙ্গে কোরবানির গরু আনতে গিয়ে ভটভটি উল্টে আহোনা আবিদ দোহা (১৪) নামের এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন সকাল ৭ টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে আদমদীঘি থানার বাবলা তলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দোহা আদমদিঘী থানার তেঁতুলিয়া গ্রামের সাইদুজ্জামান তোতার ছেলে এবং নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আদমদিঘী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সাইদুজ্জামান তোতা তার ছেলেকে সাথে নিয়ে খামারে রেখে আসা কোরবানির গরু আনতে ভটভটি যোগে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বাবলাতলা নামক স্থানে মোড় ঘোরার সময় ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে ভটভটির নিচে চাপা পড়ে সাইদুজ্জামান ও তার ছেলে আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে আদমদিঘী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দোহাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ভটভটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই চালক পালিয়ে গেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।