নওগাঁয় বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজি, আটক ৩৩ 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজি, আটক ৩৩ 

নওগাঁয় বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজি, আটক ৩৩ 

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় পৃথক অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের ৩৩ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৫।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রোববার (২৬ মে) দুপুরে র‌্যাব-৫ রাজশাহী কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।

এর আগে শনিবার (২৫ মে) দুপুরের দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় র‌্যাবের বিশেষ দল যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে শনিবার দুপুরের দিকে র‌্যাব-৫, রাজশাহীর সদর কোম্পানি ও সিপিএসসি যৌথভাবে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালায়। অভিযানে শহরের বালুডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড থেকে জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ধঞ্জইল বরুজান গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে মূলহোতা সোহেল মৃধা (৩৫), হর্শিউজানি গ্রামের মাজেদ আলী মণ্ডলের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৩৫), দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের মৃত-নরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে সুর্যকান্ত সরকার (৩৮), বাগধানা দক্ষিণ পাড়ার মত- মশর উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আতোয়ার (৪৫), সদর থানার হাঁপানিয়া একডালা এলাকার আবু জাকির হোসেনের ছেলে শিপন (৩২), বরুনকান্দি এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে আতোয়ার হোসেন (৩৪), আত্রাই থানার রসুলপুর গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মামুন হোসেন (৪২), সদর থানার দিঘা এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন (৪৫), চকপাথুরিয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন (৩২), হাপানিয়া একডালা এলাকার মৃত হায়দার আলী সরকারের ছেলে পিন্টু রহমান (৪৪), চক বিরাম এলাকার মৃত অভির সরদারের ছেলে মজিদ সরকার (৫৮) ও শহরের তাজের মোড় হতে সদর থানার ভবানীপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে আরিফ হোসেন (৩৫), তার সহযোগী শিমুলিয়া এলাকার মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে মুকুল হোসেন (৪৪), ভবানীপুর গ্রামের মৃত নছির উদ্দিনের ছেলে হারুন অর রশিদ (৬৪), হাট-নওগাঁর মোশারফ হোসেনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৪২), বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার বশিপুর এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে জুয়েল হোসেন (৪০), সদর থানার শিমুলিয়া এলাকার নাছিরের ছেলে সাজু (২৮), আরজি নওগাঁ (মন্ডলপাড়া) এলাকার মৃত আমজাদ মণ্ডলের ছেলে ঠান্ডু মন্ডল (৪৫), হাট-নওগাঁর মঈন উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা (৩৮), বর্ষাইল শামছুল হকের ছেলে শাহিন আলম (৪৬), পার নওগাঁ (পুরাতন রেজি অফিস পাড়া) এলাকার রতনের ছেলে রাকিব শেখ (২৮), পার নওগাঁ (ধোপাপাড়া) এলাকার মৃত সুবোধ রায়ের ছেলে সুমিত রায় (৩২), রামরায়পুর (ঋষিপাড়া) এলাকার গনেশ চন্দ্রের ছেলে সুজন কুমার (২২), হাট-নওগাঁ (কালিতলা) এলাকার মৃত ফনির ছেলে গোপাল দাস (৫২), আত্রাই উপজেলার শাহাগোলা এলাকার মৃত শরিফ উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ (৫২)। অপরদিকে সদর থানার পাহাড়পুর গুড়ির মোড় হতে শহরের দয়ালের মোড় এলাকার জয়নুদ্দিনের ছেলে টিপু সুলতান (৫২), তাহার সহযোগী বরুনকান্দীর মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে মন্ডল ফিরোজ (৪০), উকিলপাড়া মৃত বাছের মিয়ার ছেলে মোস্তাক আহমদে (৫৩), পার নওগাঁর মৃত হোসেন আলীর ছেলে সুলতান আলম মিলন (৫০), বাছারী গ্রাম আয়াতুল ফকিরের ছেলে মঞ্জু (৫৯), পাহাড়পুর এলাকার মৃত জহির সরদারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫৪), চকদেবপাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে পলাশ (৪৪) এবং খাসনওগাঁর মৃত মাহবুবুল হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (৩৫) কে আটক করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি চাঁদা আদায়ের রশিদ বই, ২টি টালী খাতা এবং আদায়কৃত চাঁদার নগদ ১৫ হাজার ৯২৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আটককৃতরা রশিদ বই -এর মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে থাকে এবং টালী খাতায় চাঁদার টাকার পরিমাণ ও চালকের নাম লিপিবদ্ধ করে রাখে। আটককৃত আসামিরা দীর্ঘদিন বিভিন্ন ভাউচারের (রশিদ, টোকেন) মাধ্যমে সিএনজি, অটোরিক্সা এবং লেগুনাসহ বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করে আসছিল। যদি কোনো চালক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়া বিভিন্ন সময় মারধর ও গাড়ি ভাংচুরও করে থাকে তারা। ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানায় পৃথক ৩টি চাঁদাবাজি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

জানতে চাইলে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হক বলেন, আসামিদের গতকালই আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৫ রাজশাহী ক্যাম্পের অধিনায়ক লে: কর্নেল মুণীম ফেরদৌস এসজিপি, পিএসসি, এসি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত এক মাস যাবৎ তাদের উপর নজরদারি রাখা হয়েছিল। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।

   

চল্লিশ বছর ধরে ঈদে ডিউটি করে আসছেন তিনি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চল্লিশ বছর ধরে ঈদে ডিউটি করে আসছেন ফায়ার ফাইটার ভবেশ চন্দ্র। এটাই তার চাকরি জীবনের ঈদের শেষ ডিউটি, কারণ আর দুই মাস পরেই অবসরে যাবেন তিনি।

সনাতন ধর্মের অনুসারি হওয়ায় স্বভাবতই ঈদে তাকে ডিউটি দেওয়া হতো। তিনিও হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। ১৯৮৪ সালে যোগদানের পর থেকেই প্রত্যেকটি ঈদে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি।

গাবতলী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয়ে বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে আলাপে নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন তিনি। ভবেশ চন্দ্র বলেন, একটা সময় ছিল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হামলার শিকার হতে হতো। আমার মনে হয় ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে উৎসুক জনতার হামলার শিকার হতে হতো। এখন সেই অবস্থা বদলে গেছে।

এই বদলে যাওয়ার প্রধান কারণ কি বলে আপনার ধারণা। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে যদি বলতে হয় ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন, এখন লজিস্টিক সাপোর্ট বেড়েছে, আবার মানুষের মধ্যেও অনেক সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। আগে প্রধানত জেলা সদর কেন্দ্রীক ছিল ফায়ার স্টেশন। প্রত্যন্ত এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের স্থলে পৌঁছাতে হলে অনেক সময়সাপেক্ষ ছিল। এখন বেশিরভাগ উপজেলা পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন রয়েছে। যে কারণে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারছে। সে দিক থেকেও অনেকটা উন্নতি হয়েছে।

চাকরির শেষ পর্যায়ে এসে ভবেশ চন্দ্র বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকে সাইড দিতে অনেকে গড়িমসি করেন। আমরা যদি সুষ্ঠুভাবে চলতে পথ চলতে পারি, তাহলে আরও জানমালের ক্ষতি কমানো সম্ভব, এখানে জনসচেতনতা প্রয়োজন। অন্যদিকে উৎসুক জনতার ভিড় অনেক সময় কাজকে বাঁধাগ্রস্ত করে, সেদিক থেকেও নাগরিকদের সচেতন হতে হবে।

আর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে, বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা জরুরি। সামান্য স্বার্থের কারণে আপনার জীবন ও সম্পদকেই ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে। সে কারণে আগে নিজেকে সচেতন হতে হবে।

মানিকগঞ্জ সদরের বাসিন্দা ভবেশ চন্দ্র, চাকরি জীবনে তেমন ঘোরাফেরা করতে পারেননি। অবসর জীবনে দেশটাকে ঘুরে দেখতে চান তিনি। সঙ্গে ধর্মীয় নানা তীর্থ দেখার আগ্রহ রয়েছে। লালন ভক্ত ভবেশ চন্দ্র ধর্ম-বর্ণ ও জাত বৈষম্যের বিরোধী। ছোট বেলায় দেখেছেন সনাতন ধর্মের এক শ্রেণির লোকজন অন্যদের সঙ্গে ছোঁয়া লাগলে গোসল করে পবিত্র হতো। আবার অনেক জাতের লোককে বাড়িতে ঢুকতে দিতো না। এই ধরণের মানসিকতাতে চরমভাবে ঘৃনা করেন তিনি। মানুষের কল্যাণ ও মানুষের উপকারে আসাটাকেই সবচেয়ে বড় মনে করেন তিনি।

;

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

কক্সবাজারে গোসলে নেমে তরুণ নিখোঁজ

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ কিশোরের নাম মোহাম্মদ তারেক (১৫)। ৭ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তাঁকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে কলাতলী পয়েন্টে বন্ধুদের সাথে গোসল করতে নেমেছিল তারেক। কিন্তু অন্যান্য বন্ধুরা ফিরে এলেও সে আর ফেরেনি। রাত আটটা পর্যন্ত তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানান, “লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা তারেককে খুঁজতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পরিবারকেও বিষয়টি অবগত করে হয়েছে।”

তারেকের বাড়ি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার শাহ ফকির বাজার এলাকায়। সে মোহাম্মদ জয়নালের ছেলে। ঈদের ছুটিতে ৬ বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিল।

তারেকের বন্ধুর বরাতে বিচকর্মীদের সুপারভাইজার মাহবুবুর রহমান বলেন, দুপুর একটার দিকে তারা গোসলে নামে। দেড়টার দিকে ৫ বন্ধু উঠে এলেও তারেক উঠেনি। এরপর থেকেই তাকে খোঁজা শুরু হয়।

ঈদের দিন হওয়ায় সৈকতে স্থানীয় ও পর্যটকের কিছুটা ভিড় থাকলেও ছিলেন না লাইফগার্ড কর্মীরা।

;

এবার আশা দেখাচ্ছে চামড়ার দাম, তবে নেই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

পোস্তায় কাঁচা চামড়া আনছেন ব্যবসায়ীরা/ছবি: নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে চামড়া বড় বাজার। কিন্তু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ব্যে গত কয়েক বছর ধরে চামড়া নিয়ে কাঁদছেন শতশত মৌসুমী ব্যবসায়ী। ফলে চামড়া কেনা নিয়ে পুরোই সেই চেনা দৃশ্যের দেখা মেলেনি। স্থানীয় তরুণদের চামড়া কেনার তোড়জোড়ও চোখে পড়েনি।

তবে টানা কয়েক বছর ধরে চলা চামড়ার বাজারের আক্ষেপ এবার এসে কিছুটা আশার আলো দেখাচ্ছে।

সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বিকেলে রাজধানীর লালবাগের পোস্তায় দেখা গেছে, মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে এসে ফিরছেন হাসিমুখে। তাদের একজন মো. আমির হোসেন।


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ী মো. আমির হোসেন এক ট্রাক চামড়া নিয়ে এসেছেন পোস্তায়। এবার গরুর চামড়া বিক্রি করে হতাশা নিয়ে ফিরতে হয়নি।

চামড়ার দাম কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে আমির বলেন, 'দাম ঠিক আছে। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত দাম দিতাছে। সাইজ যেইটা ভালো, সেটা আর একটি বেশি দিতাছে।'

আমির হোসেন ছাড়াও বেশ কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী গরুর চামড়া বিক্রি করে প্রত্যাশিত দাম পেতে দেখা গেছে।


এদিকে আড়ৎদারদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, এবার মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম। ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মাদ্রাসা থেকেই আসছে বেশির ভাগ চামড়া। পোস্তায় বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চামড়াবাহী ট্রাকের বেশির ভাগই বিভিন্ন এলাকার মসজিদ মাদসাসার। হাতে গোনা কয়েকজন মৌসুমী ব্যবসায়ী এসেছেন।

চামড়ার আকার ও অবস্থা দেখে দাম নির্ধারণ করছেন আড়ৎদাররা। সেক্ষেত্রে ছোট আকার ও কাটাছেঁড়া চামড়া কেনা হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেনা হচ্ছে মাঝারি আকারের চামড়া। বড় আকারের চামড়া কিনতে আড়ৎদাররা ৯০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত গুণছেন।


আড়ৎদার ও বিক্রেতাদের মতে, এই দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় বেশি।

প্রসঙ্গত, এবার সরকারিভাবেও চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে। লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। যা গত বছর ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

;

৬ ঘণ্টায় শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ, দাবি আতিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির বর্জ্য ছয় ঘণ্টায় অপসারণের ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন করপোরেশন জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন।

তিনি জানান, ডিএনসিসির যে ৫ টি ওয়ার্ড রয়েছে তার সবগুলোতে শতভাগ কোরবানির বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে।

জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন বলেন, সোমবার সকালে পশু কোরবানির পর দুপুর ২টায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়ে রাত ৮টায় কার্যক্রম শেষ হয়। অর্থাৎ ৬ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করেছেন। মেয়রের সরাসরি তত্ত্বাবধানে অপসারণের পুরো কাজ সম্পন্ন হয়।

এর আগে, দুপুরে বর্জ্য অপসারণের কাজ উদ্বোধন করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ছয় ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন হবে। বর্জ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের ১০ হাজার পরিষ্কারক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। এবং বর্জ্য নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণের জন্য বাসা বাড়ি ১০ লাখ পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হয়েছে।

মেয়র আতিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আস্তে আস্তে নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানির ব্যবস্থা করছি। তার ধারাবাহিকতায় মিরপুর ৭ নাম্বার ওয়ার্ডে চারটি নির্দিষ্ট স্থানে ১২০০ টি গরু কোরবানি হয়েছে। ফলে বর্জ্য অপসারণ সহজ হচ্ছে আমাদের।

এদিকে উত্তর সিটি কর্পোরেশন ছয় ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিলেও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য অপসারণ করা হবে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দক্ষিণ সিটির ৭২ ওয়ার্ডের মধ্য প্রায় ৪০ টি ওয়ার্ডের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

;