নওগাঁয় কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৭ লক্ষাধিক পশু



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য ৭ লাখেরও বেশি গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা। চাহিদার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার কারণে জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলাতে বিক্রির জন্য চলে যাবে এসব পশু। নওগাঁয় এবার অন্তত ২ হাজার ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি পশু বিক্রির আশা করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।

নওগাঁ জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৯টি। এই চাহিদা মিটিয়ে ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৫৯টি পশু বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য চলে যাবে। জেলায় এবছর স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় ৪০টি হাটে কোরবানির পশু বেচা কেনা হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলার ১১টি উপজেলায় ৩৪ হাজারের বেশি ছোট-বড় খামারি ও কৃষক ৭ লাখ ২৮ হাজার ১১০টি বিভিন্ন জাতের গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া পালন করছেন। এর মধ্যে ষাঁড় ৯১ হাজার ৪৭টি, বলদ ২৯ হাজার ১১১টি, গাভী ৬৫ হাজার ৬৮টি, মহিষ ২ হাজার ৪০৩টি, ছাগল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৯টি ও ভেড়া ৭৫ হাজার ৫৫২টি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে প্রতিটি খামারেই ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিক-কর্মচারীরা। গরুকে নিয়মিত গোসল করানো, সময় মতো খাবার দেওয়া, ঘর পরিষ্কারসহ বিভিন্ন কাজ করছেন তারা। কোনো রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক প্রক্রিয়া ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে পশু মোটাতাজাকরণে নিচ্ছেন বাড়তি যত্ন যাতে করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন। তবে এবছর গো-খাদ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে গরু লালন-পালনে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে দাম কিছুটা বাড়তে পারে। এছাড়াও ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবে কি না তা নিয়েও রয়েছে দুচিন্তা। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলা হওযায় সীমান্ত পথে অবৈধভাবে গরু প্রবেশও ভাবিয়ে তুলছে খামারিদের।


নওগাঁ এলাকার খামারি আজিজ বলেন, এবার গোখাদ্যের দাম বেশি তাই গবাদিপশু পালনে খরচ বেড়েছে। প্রতিবছর কোরবানি উপলক্ষে ৩৫ থেকে ৪০টি গরু প্রস্তুত করা হলেও এবছর ২৫টি মতো গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও এসব গরু দেখাশুনার জন্য কাজের মানুষ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবছর গরু লালন-পালনে খরচ অনেক বেশি। এজন্য স্বভাবিকভাবেই গরুর দাম বেশি হওয়ার কথা।

তিনি আরও বলেন- নওগাঁ সীমান্তবর্তী জেলা। তাই একটা ভয় থেকেই যায় ভারতীয় গরু প্রবেশের। সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ করলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তার আশা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু না ঢুকলে কিছুটা ভালো দাম পাওয়া যাবে। এজন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারি দাবি করেন তিনি।

বরুণকান্দি এলাকার খামারি লুৎফর রহমান বলেন, তার খামারে ১৫টি গরু আছে। ১৫টি গরুই কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক সবুজ ঘাস ও দানাদার খাবার দিয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিদিন গরুকে গোসল, খাবার ও পরিচর্যা করা হয়। দিনে ২ বার গোসল করানো হয়। তবে এ বছর দানাদার খাবারের দাম বেশি হওয়ায় পশু লালন-পালন করতে খরচ পড়েছে বেশি। গত বছরের তুলনায় দানাদার খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এখন দাম ভালো পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব। নাহলে খামারিদের লোকসান হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু তালেব বার্তা২৪.কমকে বলেন, এবার নওগাঁয় ৭ লাখ ২৮ হাজারের বেশি পশু প্রস্তত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৫৯টি। উদ্বৃত্ত পশু বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয়ে থাকবে। এবার অন্তত ২ হাজার ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকার বেশি পশু বিক্রির আশা করা হচ্ছে।

   

চীন-ভারতসহ উন্নত দেশ থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত দেশগুলো থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।

সরকার প্রধান বলেন, বাহিনীগুলোর গঠন ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। বর্তমানে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নকল্পে ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর আলোকে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, ভারতসহ সমরাস্ত্র শিল্পে উন্নত বিভিন্ন দেশ থেকে সমরাস্ত্র ক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের লক্ষ্যে যথাসম্ভব সকল বাস্তবমুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। অদ্যাবধি সেনাবাহিনীর জন্য ক্রয়কৃত বিভিন্ন উন্নত সরঞ্জামাদির মধ্যে কাসা ইউটিলিটি বিমান, ডওফিন ইউরোকপ্টার, ডায়মন্ড প্রশিক্ষণ বিমান, এমবিটি-২০০০ ট্যাংক, ভিটি-ফাইভ লাইট ট্যাংক, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিক্যাল, সেলফ প্রপেল্ড (এসপি) কামান, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, শর্ট রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, মাইন রেজিস্ট্যান্ট অ্যাম্বুশ প্রটেক্টেড ভেহিক্যাল, আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল, সার্ফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, র‍্যাডার কন্ট্রোল এয়ার ডিফেন্স গান সিস্টেম, নাইট ভিশন মনোকুলার, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, আধুনিক যোগাযোগ সরঞ্জামাদি উল্লেখযোগ্য।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সমুদ্র নিরাপত্তা এবং সম্পদ রক্ষার বিষয়ে সরকারের প্রথম মেয়াদ থেকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবিলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক/অস্ত্র/মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি শক্তিশালী নৌশক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ক্যাসল ক্লাস জাহাজ, ফ্রিগেড, করভেট, সমুদ্র জরিপ জাহাজ, লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টারসহ অত্যাধুনিক নৌযুদ্ধ সরঞ্জাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে।

একইসঙ্গে নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের জন্য ডাইভিং বোট, ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি, রিমোট কন্ট্রোল গান, আনম্যানড এয়ারক্রাফট সিস্টেম ইত্যাদিসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি, নেটওয়ার্ক হাব স্টেশন, টেকটিকেল ফায়ারিং রেঞ্জ, লং রেঞ্জ এয়ার ডিফেন্স ও সার্ভিলেন্স র‍্যাডার, বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে। এছাড়াও, সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আইএফএফ সেন্টার গঠনের প্রক্রিয়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

;

সমাজ পরিবর্তনে সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, সমাজ উন্নয়ন ও পরিবর্তনের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই।

‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে বুধবার (২৬ জুন) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আনুষ্ঠানিক শিক্ষার মূলভিত্তিই হলো প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষা দিয়েই একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবনের শুরু। সুশিক্ষিত ও মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনে শিক্ষাই মূল চাবিকাঠি।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উদ্যাপন ও ‘প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এ উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অকৃত্রিম ভালোবাসা জানান।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক ঘোষণা, প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, ড. কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন, ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল-কলেজ পুনর্নির্মাণ ও বাজেটে শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দসহ বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা দর্শনকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার হ্রাস, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি হার বৃদ্ধি ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাব্বিশ হাজারের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং শিক্ষকের সংখ্যাও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশে পাঠদান একটি আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন চৌকস প্রজন্ম গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার এমন পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে- যাতে শিশুরা স্কুলে যেতে উৎসাহী হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবক ও স্কুল পরিচালনা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য- ‘শিশুবান্ধব শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন।
একটি সুশিক্ষিত, মেধাবী ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গঠনের মাধ্যমে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসতে রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জিত হবে এবং অচিরেই আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও বিজ্ঞানমনস্ক স্মার্ট জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।

প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ প্রাপ্ত সকলকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

;

`অবসরের ছয় মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা দেওয়া অসম্ভব'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, অবসরের ছয় মাসের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবসরভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে, বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেরি হওয়ার সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক রয়েছে।

বুধবার (২৬জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোসা. তাহমিনা বেগমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থ সংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে এবং সমস্যা তৈরি হচ্ছে। অনিষ্পন্ন আবেদনের সংখ্যা বিবেচনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের অনুকূলে ৩০১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। তাই এখন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ সব শিক্ষকদের অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসরভাতা দেওয়া সম্ভব নয়।

ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৮৪টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

আরেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মুহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা ৮ হাজার ৩১৪টি, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত মাদ্রাসা ১৬ হাজার ১৭৯টি, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ৬ হাজার ৮৮৯টি, দাখিল ও আলিম মাদ্রাসা ৯ হাজার ২৯০টি, এমপিওভুক্ত দাখিল মাদ্রাসা ৮ হাজার ২২৯টি এবং এমপিওভুক্ত আলিম মাদ্রাসা ৮৫টি।

সরকারি দলের সদস্য আফজাল হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ভোলা পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চলের ভৌত, রাসায়নিক, সামুদ্রিক পরিবেশ ও ভূ-তাত্বিক গবেষণা সম্পন্ন করা হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিদ্যমান ৬০ প্রজাতির সামুদ্রিক প্রবাল চিহ্নিত করা হয়েছে। যা মাছের ডিম পাড়া ও বসবাসের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করে। এছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপে জন্মানো ১৪৭ ধরনের সি-উইড বা সামুদ্রিক শৈবালের প্রজাতি চিহ্নিত করা হয়েছে।

;

আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬.৬ শতাংশ: আইএমএফ



বাসস
আইএমএফ

আইএমএফ

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৬ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), যা বাংলাদেশ সরকারের প্রক্ষেপণের খুব কাছাকাছি।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬.৭৫ শতাংশ। বাংলাদেশের আইএমএফ মিশন চিফ ক্রিস পাপেজর্জিউ সংস্থাটির এই প্রক্ষেপণের কথা তুলে ধরেন।

ক্রিস পাপেজর্জিউ বলেন, অর্থনীতিতে বৈশ্বিক ধাক্কা ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা দুর্বল করছে, যা মূলত বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।

তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় কঠোর রাজস্ব ও মুদ্রানীতির প্রয়োগ এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি ও সামগ্রিক চাহিদাকে সীমিত করার লক্ষ্যে আমদানি বিধিনিষেধের কারণে গত দেড় বছরে প্রবৃদ্ধির গতি হ্রাস পেয়েছে। তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক- রফতানি তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়ে গেছে। তিনি মনে করেন, ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির গতিপথ ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি এবং বৈশ্বিক ভারসাম্যহীনতার মতো সমস্যার সময়মত সমাধানের ওপর নির্ভর করছে।

চলতি অর্থবছরের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে ক্রিস পাপেজর্জিউ বলেন, আমদানি সংকোচন নীতির কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৪ শতাংশ। তবে, দেশীয় সামষ্টিক অর্থনীতির দৃষ্টিভঙ্গি এবং বাহ্যিক অবস্থান ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হওয়ার কারণে, আমরা আগামী অর্থবছরে ৬.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি। তবে দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারবাহিকতা ব্যবসায় পরিবেশের উন্নতি এবং কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবে।

তাই সংস্কার এজেন্ডায় অগ্রাধিকারের মধ্যে বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র আনায়ন, বিদেশি বিনিয়োগ আর্কষণ, আর্থিক খাত শক্তিশালী করা, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়ে জোরারোপ করেন তিনি।

ক্রিস পাপেজর্জিউ অবশ্য এও বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ উচ্চহারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক সূচকের অনেক উন্নতি করেছে। একইসাথে দারিদ্র্য হ্রাস এবং এসডিজি সূচকের স্থিতিশীল অগ্রগতি অর্জন করেছে। এই পটভূমির পরিপ্রেক্ষিতে, স্বল্পমেয়াদি অগ্রাধিকার বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য একটি সক্ষম পরিবেশ তৈরি করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে তুলনামূলকভাবে উচ্চ অশুল্ক বাধা কমানো, বাণিজ্য-সম্পর্কিত ভৌত অবকাঠামো উন্নত করা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহের সেবা সহজ করা।

;