পাহাড়ের মন্দিরে ছদ্মবেশে ছিলেন আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবি হারুন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাহাড়ের মন্দিরে ছদ্মবেশে ছিলেন আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবির হারুন

পাহাড়ের মন্দিরে ছদ্মবেশে ছিলেন আনার হত্যার ২ আসামি: ডিবির হারুন

এমপি আনার হত্যার ঘটনায় পলাতক আসামি মোস্তাফিজুর রহমান ও ফয়সাল আলীকে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় দুই আসামিকে নিয়ে হেলিকপ্টারযোগে ৩০০ ফিটের পূর্বাচলে ১৮ নম্বর সেক্টরে বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ারে অবতরণের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

ডিবি হারুন বলেন, শিমুল ভূইয়ার সাথে থেকে ফয়সাল, মোস্তাফিজ, জিহাদ এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। এ ঘটনার মূল ঘাতক ছিলো শিমুল ভূইয়া। ফয়সাল ও মুস্তাফিজ নাম পরিবর্তন করে পলাশ দাস ও শিমুল রায় নাম ধারণ করে পার্বত্য এলাকায় ছদ্মবেশে সীতাকুণ্ডের পাথাল কালীমন্দীরে ২৩ দিন ছিলেন।

তিনি বলেন, তারা ১৯ তারিখ বাংলাদেশে আসে। তাদের দুইজনকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেয়।

তারা বিভিন্নভাবে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে। কলকাতার যে ফ্ল্যাটে এমপি আনারকে হত্যা করা হয় সেই কিলিং মিশনে ছিলেন সাতজন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত শিমুল ভূঁইয়ার পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তি হলো ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে মিলিয়ে মোট নয়জন গ্রেফতার হলেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান শাহীনকে গ্রেফতার করাই এখন মূল টার্গেট বলে জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেলিজেন্সকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভারতের সঙ্গে আমেরিকার চুক্তি রয়েছে, তারাও চেষ্টা করছে ধরার। আমরাও চেষ্টা করছি। এছাড়াও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে আমার আইনের আওতায় আনবো।

তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার খবর পাওয়া যায় খাগড়াছড়ি দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে রয়েছে পলাতক ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। খবর পেয়ে ডিবির একটি টিম আগেই পাহাড়ে গিয়ে অভিযান শুরু করে। পরে আজ আমরা গিয়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি।

হারুন অর রশীদ বলেন, অজ্ঞান করার জন্য এমপি আনারের নাকে ক্লোরোফোম দেন ফয়সাল। আর মোস্তাফিজ এমপি আনারকে উলঙ্গ করে চেয়ারে বেঁধে রাখে। কিলার শিমুল ভূঁইয়া মূল দুই সহযোগী ছিলেন আজকে গ্রেফতার ফয়সাল ও মোস্তাফিজ।

আজকে গ্রেফতার দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে আরও তথ্য-উপাত্ত বের করা হবে, যোগ করেন হারুন।

এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডিবির কোনো চাপ আছে কি-না জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, না এখন পর্যন্ত কোনো চাপ নেই। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট প্রমাণ আছে শুধু তাদেরকেই আমরা আইনের আওতায় আনছি। কোনো নির্দোষ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হবে না। আবার কোনো দোষী ব্যক্তিকে কেউ চাপ দিয়ে ছাড়াতে পারবে না।