১৫২ কোটি টাকা আত্মসাৎ

১৫৩ কোটি টাকা মওকুফ, কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদার বিরুদ্ধে মামলা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে চার মোবাইল কোম্পানির ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক শাহআলম শেখ মামলাটি করেন। দুদক সচিব খোর‌শেদা ইয়াস‌মিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অবৈধভাবে গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেলকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসাবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চারটি মোবাইল কোম্পানির স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা জানায় । কিন্তু তারা নির্ধারিত কর মেয়াদে ওই অর্থ পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা। আইন অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ দেন।

সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোনের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংকের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবির কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেলের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।