সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হয়নি চামড়া, লোকসানে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

যশোরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিকিকিনি হচ্ছে না পশুর চামড়া। শনিবার (২২জুন) ঈদ পরবর্তী ১ম হাটে গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ টাকা ফুট দরে। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে পিচ প্রতি ১৫/২০ টাকায়। এতে এবারো লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশু চামড়ার হাট যশোরের রাজারহাটে খুলনা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অন্তত ১৫ জেলার বিক্রেতা এসেছেন। টানা কয়েক বছরের মন্দা কাটিয়ে কিছুটা লাভের আশায় হাটে এসেছিলেন তারা। কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।

বিজ্ঞাপন

মৌসুমি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, হাটে ৮/১০ মণ ওজনের লবণযুক্ত গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকায়। আর ছোট ও মাঝারি গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩শ' থেকে ৬শ' টাকায়। মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। এতে খরচ-খরচা দিয়ে লাভ থাকছে না বলে দাবি বিক্রেতাদের।

খুলনার কয়রা থেকে আসা চামড়া বিক্রেতা আব্দুল মমিন বলেন, ব্যবসায়ী ছোট আকারের গরুর ২২ পিস চামড়া তিনি বিক্রি করেছেন মাত্র এক হাজার দুই শ’ টাকায়। অথচ ওই চামড়ার কেনা দামই ছিল চার হাজার চার শ’ টাকা। তার উপর লবণ, মজুরি ও পরিবহন খরচ রয়েছে। এভাবে একজনও ক্ষুদ্র বিক্রেতা পাওয়া যায়নি, যিনি লোকসানের কথা বলেননি।

অপর চামড়া বিক্রেতা অভয়নগরের মুকুন্দ বিশ্বাস বলেন, তার প্রতি পিস চামড়ায় গড়ে দুই শ’ টাকা করে লোকসান হয়েছে। তিনি বলেন গরুর চামড়া বড় পিস ৯০০ টাকা করে ও মাঝারিগুলো ৫০০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। এছাড়াও ছাগলের চামড়া বিক্রি করেছেন ১০ টাকায়। অথচ একটি চামড়ায় লবণ গেছে ৩০ টাকার।


রাজারহাটের আড়তদার শেখ হাসানুজ্জামান হাসু বলেন, ভালো চামড়ার ভালো দাম। এবার আবহাওয়ার কারণে চামড়ার মান খারাপ। তাছাড়া, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া ঠিকমতো কিনতে পারে না। অনেক সময় তারা চামড়া বেশি দামে কিনে ফেলেন।

বৃহত্তর যশোর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর বলে লোকসান হচ্ছে। এবার দাম ভালো। আর লোকসান এড়াতে বিদেশে সরাসরি কাঁচা চামড়া রপ্তানি করতে হবে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবে, সরকারও মোটা অঙ্কের রাজস্ব আদায় করতে পারবে। যশোরে এবার দেড় লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ব্যবসায়ী সমিতি।