ফেনীতে বাড়ছে অনলাইন জুয়ার আসক্তি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিদিন সন্ধ্যা হলেই ফেনীর একটি প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন কর্মচারী এক সাথে মেতে ওঠেন জুয়া খেলায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাদেরই একজন জানান, এ মাসের বেতনের ১০ শতাংশ পরিবারের জন্য খরচ করতে পারিনি। অধিকাংশই জুয়া খেলায় ব্যয় হয়েছে।

এভাবে সন্ধ্যা হলে সকল কাজ স্থগিত করে ফেনীর বিভিন্ন মার্কেট ও বাজারের দোকান কর্মচারীরা আইপিএলসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছোটখাট জুয়ায় মেতে ওঠেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে আড্ডার স্থান সবজায়গায় চলে জুয়া নিয়ে মাতামাতি। প্রতি বল, ওভার, কোন দল জিতবে, কোন খেলোয়াড় কত রান করবে, কোন বোলার কয়টা উইকেট নেবে- এমন অনেক বিষয় নিয়ে বাজি ধরা হয়। বর্তমানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে মোবাইলে বিভিন্ন এ্যাপসের মাধ্যমে অনলাইন জুয়ায় বাজি ধরা হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগই উঠতি বয়সী তরুণেরা। অনলাইন জুয়া নিয়ে অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ফেনীতে কতজন এ অনলাইন জুয়া জড়িত হয়েছেন তার নির্দিষ্ট করে না জানা গেলেও জানা গেছে এর বিস্তার ফেনীর প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে।

অনুসন্ধানে ও সম্পৃক্ত একাধিক ব্যক্তির দেওয়া। তথ্যে জানা গেছে, লোভে পড়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ, বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা এই জুয়ায় বেশি আসক্ত হচ্ছেন। পৌর এলাকা থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় এই জুয়া বিস্তার লাভ করছে। তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত এই খেলা শুরুর পরেই নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হয়ে পরবর্তী সময় খোয়া যাচ্ছে হাজার হাজার টাকা।

ফেনীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দশম শ্রেণির ছাত্র রবিন (ছদ্মনাম)। পাড়ার বড় ভাইদের দেখাদেখি আইপিএল ঘিরে চলা জুয়ার ব্যাপারে কৌতূহলী হয়ে পড়ে সে। কৌতূহল মেটাতে বড় ভাইদের সাহায্য নিয়ে সেও নাম লিখায় অনলাইন জুয়ার খাতায়। প্রতিদিনই বাবা-মা এমনকি বন্ধু বান্ধবদের কাছ হতে টাকা ধার করে ছোটখাট জুয়া খেলতে শুরু করে সে। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে তার জুয়ায় আসক্তি। প্রথমে ছোটখাট অংকের বাজি ধরলেও ক্রমেই বাড়তে থাকে তার পরিমাণ। বেশির ভাগ সময় লাভের অংক শুণ্যই থাকে তার, তবে জুয়ার আসক্তি কোনভাবেই পিছু ছাড়ছে না তাকে। সন্ধ্যা হলেই মোবাইল হাতে পাড়ার মোড়ে বন্ধুদের সাথে অথবা ঘরে বসে অনলাইনে চোখ থাকে তার মোবাইল অথবা টিভির স্ক্রীনে।

রবিনের মত এমন অনেক জনের সাথে কথা হয় এ বিষয়ে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে ফেনীতে আইপিএল ঘিরে জুয়ায় খেলায় যুক্ত রয়েছে প্রায় ২০ হাজারের বেশি তরুণ। যাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ফেনীর বাইরেও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এতে যুক্ত রয়েছে। জুয়া খেলতে কি পরিমাণ টাকা লগ্নি করছে এ ব্যাপারে কোন নির্দিষ্টতা নেই। তাদের ধারণা মতে টাকার অংকের পরিমাণ অকল্পনীয়। তবে বিশ্বব্যাপী অনলাইন জুয়ার কাছে এ পরিমাণ কিছুই না।

জানা গেছে, অনলাইন জুয়ায় শুরুর দিকে ভালো লাভ হতে থাকে। কিন্তু তার পরেই লোকসানের পাল্লা বাড়তে থাকে। তাতে লগ্নি করতে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ সংগ্রহ করতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন অনেকে। জেনে-শুনে এমন পথে কেন জড়ালেন এ প্রশ্নের জবাবে উত্তর মেলে, এটি নেশার মতো। খেলা শুরু করলে যতক্ষণ টাকা থাকে, ততক্ষণ খেলতে ইচ্ছা করে।

ফেনীর জেল রোডে এলইডি স্কিনের সামনে প্রায় সময় বিভিন্ন খেলা দেখানো হয়। সেখানে দেখা মিলে কয়েকজন যুবক মোবাইল হাতে ব্যস্ত। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, অনলাইন জুয়ার সাইটে বেটিং করতে ব্যস্ত তারা। বল টু বল কিংবা ওভার টু ওভার বেট করছেন তারা। এভাবেই প্রতিনিয়ত জুয়া খেলেন বলে জানান তারা।

অনলাইনের বিভিন্ন সাইট ঘুরে দেখা যায়, নামে বেনামের প্রায় ১০ থেকে ১২টির মতো অ্যাপসে সবচেয়ে বেশি জুয়া খেলা হয়। এসব অ্যাপসে ১০ টাকা থেকে শুরু করে যেকোনো অঙ্কের টাকা দিয়ে শুরু করা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রলোভনে প্রচার করা বিজ্ঞাপনে এসব জুয়া বা বেটিং সাইটে ঢুকে পড়ে তারা। বুঝে না বুঝে কেউ একটি ক্লিক করলেই অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। শুরুতে সদস্য টানতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন কৌশল। অল্প টাকায় লাখপতি হওয়া বা দ্বিগুণ মুনাফার লোভে অন্ধকার এ জগতে পা বাড়াচ্ছেন সব শ্রেণীরপেশার মানুষ।

এ বিষয়ে ফেনীর একটি কলেজের শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুব সমাজের অধঃপতনের আরেকটি মাধ্যম অনলাইন জুয়া। উঠতি বয়সী প্রায় অধিকাংশ তরুণের মোবাইল ফোনে অনলাইন জুয়ার সাইটের দেখা মিলে। এটি পারিবারিক ভাবে সতর্কতার পাশাপাশি সরকারের জাতীয়ভাবে প্রদক্ষেপ নিতে হবে। সরকার এসব সাইট বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।


এদিকে দেশের ৫০ লাখ মানুষ অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, অনলাইন জুয়া থেকে জনগণকে দূরে রাখার জন্য সচেতনতা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জুনাইদ আহমেদ বলেন, 'আমরা অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোকে ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একটা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন। আমাদের দেশের মুদ্রা যাতে বিদেশে পাচার না হয়। একটা সচেতনতা আর একটা প্রযুক্তিগত প্রয়োগ, পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগ। তিনি জানান, আমরা মোট ২ হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত ব্লক করছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।'

বিষয়টি নিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি সবাইকে নিয়ে বসেছিলেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, 'যার যতটুকু সক্ষমতা আছে, পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স- সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি। আরও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা অবিরাম এটা ব্লক করতে থাকব। মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা ব্লক করার চেষ্টা করছি।'

সচেতন মহল বলছেন, এখনই অনলাইন জুয়ার বিস্তার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি হবে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের একেবারে নিম্ন পর্যায়ের মানুষও এতে জড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত এসব সাইট বন্ধ করা দরকার।

গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বাকশাডাঙ্গী গড়াই নদীর মাঝ খানে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগে ড্রেজার মালিক মো: আজমল বিশ্বাসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে নারুয়া বাকশাডাঙ্গী গড়াই নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের সময় এই জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসান।

তিনি জনান, নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালু তোলায় ড্রেজার মালিক মো: আজমল বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তিকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি বালু তোলায় ব্যবহার করা ড্রেজার মেশিন ও বাল্ক হেডের ব্যাটারি ডায়নামা, ২০ ফুট পাইপ জব্দ করে করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।

;

১৯ শর্তে আলোচনা সভার অনুমতি পেল আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: আওয়ামী লীগ

ছবি: আওয়ামী লীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বরাবর পাঠানো চিঠিতে একথা জানায় ডিএমপি উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোঃ আবু ইউসুফ।

এর আগে, একইদিন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

চিঠিতে ডিএমপি কমিশনার জানায়, আলোচনা করার জন্য (২৮ জুন) দাখিলকৃত আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে শনিবার (২৯ জুন) বিকাল ৩টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার অনুমতি প্রদান করা হলো।

শর্তাবলী গুলো হচ্ছে -

১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।

৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না (৬) অনুমোদিত স্থানের বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।

৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০.অনুমোদিত স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোন অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

১১. সমাবেশ স্থলে পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।

১২. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না (১৩) রাষ্ট্র বিরোধী কোন কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।

১৫. জন দুর্ভোগ সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশ স্থলে আসা যাবে না।

১৪. উস্কানীমূলক কোন বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৬. পার্কিং এর জন্য নির্ধারিতস্থানে গাড়ী পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোন গাড়ী পার্কিং করা যাবে না।

১৭. সমাবেশ স্থলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

১৮. উল্লিখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষনিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

১৯.জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

;

বগুড়া কারাগার থেকে ৪ আসামির পলায়ন, ডেপুটি জেলার-প্রধান কারারক্ষী বরখাস্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বগুড়া জেলা কারাগার

ছবি: বগুড়া জেলা কারাগার

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া কারাগারের ছাদ ফুটে করে ৪ আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ডেপুটি জেলার ও প্রধান কারারক্ষীসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আবদুল মতিনসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।’

সম্প্রতি বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যান মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি।

বুধবার(২৬ জুন) ঘটনার পর সকালেই জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ডিআইজি প্রিজনসহ একাধিক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন বগুড়া জেলা প্রশাসক।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘কারাগার থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার ও প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আসলে বগুড়া কারাগার অনেক পুরাতন। এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা গেছে ভবনের অনেক স্থান নাজুক। ওই চার আসামিকে এ বছরের ১ জুন এখানে নিয়ে আসা হয়। তাদের রাখা হয়েছিল একই সেলে। তারা আসার পর আমি পরিদর্শনেও গিয়েছিলাম। আজকে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ওরা ছাদের যে অংশে ফুটো করেছে সেখানে কোনো রড ছিল না। তারা ছাদে গামছা বেঁধে ছাদ ফুটো করে। আমরা এসব স্থান সংস্কারের কথা বলেছি।

;

নরসিংদীতে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙায় হুমকিতে কয়েক’শ পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
বাঁধ ভাঙন / ছবি: বার্তা২৪

বাঁধ ভাঙন / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরায় মেঘনা বেষ্টিত চরমধুয়ায় গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের এক বছরের মধ্যে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। দেড় ঘন্টায় ৭০ মিটার নির্মাণাধীন বাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে স্থানীয়রা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের চরমধুয়া ইউনিয়নে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাঁধ ভাঙন শুরু হয়। এই ভাঙন একটানা সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে। খবর পেয়ে ওই দিন বিকেলে বাঁধ এলাকা পরিদর্শনে আসেন সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড ও নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামতের নিদের্শনা দেন।

স্থানীয়রা জানান, মেঘনায় বর্ষার পানি বৃদ্ধি প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের ৭০ মিটার অংশ মেঘনা নদীগর্বে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে রয়েছে বাঁধসংলগ্ন সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা, বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বেশ কয়েক'শ পরিবার।

স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, বাঁধ নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্ষার পানি বৃদ্ধি প্রবল স্রোতে এক বছর আগে শেষ হওয়া নির্মিত বাঁধের তিন বিঘা অংশ মেঘনা নদীগর্বে বিলীন হয়ে গেছে। এতে হুমকিতে রয়েছি। 

নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের  সহকারি প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন আহমেদ জানান, 'বাঁধটি নির্মাণ করেন সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। আগামী এক বছরের মধ্যে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তারাই মেরামত করবে। নির্মাণাধীন ৭০ মিটারের মতো বাঁধ নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। খবর পেয়ে নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনা বাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শন শেষে মেরামতের নির্দেশনা দেন।'

চরমধুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আহসান শিকদার জানান, 'গত বছর ওই এলাকায় বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বৃহস্পতিবার সকালে প্রবল স্রোতে জিওব্যাগ, সিসি ব্লকসহ বাঁধের তিন বিঘার মতো অংশ ভেঙে নদীগর্বে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসী ভীত সন্তস্ত হয়ে পড়েন। মূলত পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতের কারণে নিচের বালু সরে যাওয়ায় এমন ভাঙন দেখা দিয়েছে।’

ভাঙনের কারণে চরমধুয়া এলাকার বসতভিটা, ফসলি জমিসহ কয়েক শত পরিবার হুমকির মধ্যে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি দ্রুত নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানান তিনি।

 

;