বাড্ডায় লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম আরাফাত (৩৭)। তিনি নড়াইল সদরের বাহিরগাঁও গ্রামের আব্দুর রব শিকদারের ছেলে। এ ঘটনা ঘাতক লরি চলককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনায় ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিম আরাফাতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনবাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিন গাজী ।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করা হয়েছে। ঘাতক পরিবহনটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আরাফাত মোটরসাইকেলে বাড্ডা থেকে কুড়িলের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের সামনের ক্রসিং এ পৌঁছানো মাত্র একটি মালবাহী লং ভেহিকেল তার মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। পরে নতুন বাজারের দিকে চলে যায় ঘাতক পরিবহনটি। ঘটনাস্থলেই ভিকটিম মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মগজ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘাতক লং ভেহিকেলটি পালানোর সময় সুবাস্তুর সামনে অপর একটি বাসকে ধাক্কা দিয়ে আইল্যান্ডে উঠে পড়ে। এসময় ড্রাইভার কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আটক করে পুলিশ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংকটে শেবাচিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থোপেডিক্স, মেডিসিন আর জরুরি বিভাগে রোগীর চাপে হিমশিম ডাক্তার ও নার্স। ১০০০ বেডের বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) এই মুহূর্তে প্রায় ২৫০০ রোগী ভর্তি আছে। অথচ এই রোগীদের চিকিৎসা সেবায় রয়েছেন মাত্র ৮৭ জন চিকিৎসক।

তার ওপর ১০টি লিফটের ছয়টি অকেজো, নেই উন্নত পরীক্ষা নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি। যা আছে তাও নষ্ট, নয়তো অকেজো। এখানে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই এবং পর্যাপ্ত অত্যাধুনিক সরঞ্জামের অভাব স্বীকার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

সরেজমিনে শুক্রবার (২৮ জুন) বরিশালের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) ঘুরে দেখা গেছে অস্থির ও অমানবিক কিছু চিত্র। 

প্রবেশ পথের জরুরি বিভাগে রোগীর ছটফটানি ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ছুটোছুটি বলে দেয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়া তারা কতটা অসহায় এখানে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন খয়রাবাদ এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনার শিকার আহত দুজনকে নিয়ে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আসলাম জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের সিএনজিতে তুলে দিয়েছেন। বলেছেন হাসপাতালে পৌঁছে দিতে। এখানে এসে জরুরি বিভাগে যোগাযোগ করে তাদের সম্পর্কে জানানোর পরও আধাঘন্টা হয়ে গেছে কেউ আসেনি। নিজেই স্ট্রেচারে করে ভিতরে রেখে আসলাম এখন। স্ট্রেচারও দিতে রাজী নয় তারা। পরে হাসপাতালের একজন কর্মী অবস্থা দেখে দ্রুত স্ট্রেচার নিয়ে সাহায্য করেন। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসক ছাড়া কাউকে দেখা যায়নি জরুরি বিভাগে। 

সড়ক দূর্ঘটনায় আহত দুজনের একজনকে অর্থোপেডিক্স ও একজনকে ৫ নং ওয়ার্ডে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানালেন দায়িত্বরত ইন্টার্ন চিকিৎসক। তাদের দেখানো পথে পুরাতন ভবনের সিঁড়ি বেয়ে তৃতীয় তলার অর্থোপেডিক্স বিভাগে এসে দেখা গেল, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অপেক্ষা চলছে। বড় ডাক্তার না আসলে রোগীর অবস্থা নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা জানালেন, তাদের স্যার আসার অপেক্ষা করছেন তারা।

একই অবস্থা দেখা গেল নতুন ভবনের মেডিসিন বিভাগেও। বিছানা না পেয়ে ফ্লোরে রোগীদের জায়গা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এই মূহুর্তে ১৩৭৬ জন রোগী ভর্তি আছে বলে জানালেন হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা মাসুম ও এমি। 

এমি বলেন, এই হিসাব ২৫ জুন সকাল আটটা থেকে ২৬ জুন সকাল আটটা পর্যন্ত। এখন বেলা ১টায় যে রোগী এসেছেন, সে হিসাব আগামীকাল পাবেন। তবে আনুমানিক ৭০০ জন হবে। 

এমি ও মাসুমের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই মূহুর্তে শেবাচিমে রোগী ভর্তি প্রায় ২৫০০ জন। স্বাভাবিক কারণেই বেড সংকট তৈরি হয়েছে। ফ্লোরে রেখে হলেও চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছেন এখানের ডাক্তাররা।

এদিকে গত বছর জানুয়ারিতে শেবাচিম থেকে একযোগে আট চিকিৎসককে বদলি করার পর আজ পর্যন্ত কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আসেনি শেবাচিমে। মাত্র ছয়জন প্রফেসর, ৮৭ জন এসিসট্যান্ট দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। বিষয়টি জানিয়ে সয়ং হাসপাতাল পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ৫০০ শয্যার চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে চলছে এই হাসপাতাল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ৪০টি পদই শূন্য এখানে। ১২৯ জন সহকারী প্রফেসর এর দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ২৯ জন। এই হাসপাতালে তীব্র চিকিৎসক সংকট চলছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে এখান থেকে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বদলি হয়েছে। এরপর আর নতুন কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পায়নি এই হাসপাতাল। 

তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সব উপজেলার রোগীই এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এমনকি ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জের রোগীও পাবেন এখানে। একটি এমআরআই মেশিন ও ক্যান্সার চিকিৎসার উপকরণ খুবই জরুরি প্রয়োজন আমাদের। 

পরিচালক সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির পরিবর্তন ঘটেছে। বরিশাল ৫ আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এখন সভাপতি মনোনীত হয়েছেন। ২৮ জুন তিনি হাসপাতালের সমস্যা ও প্রয়োজন নিয়ে নগরবাসীর সাথে সরাসরি মতবিনিময় ও পরামর্শ করবেন। আশাকরি দক্ষিণাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এই হাসপাতালের পরিবেশ পুনরায় এশিয়ার অন্যতম চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে।

;

চুয়াডাঙ্গায় আরেক ইউপি চেয়ারম্যানকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
আহত অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

আহত অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোরে রেফার্ড করেছেন চিকিৎসক। 

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আলার মোড়ের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান। 

এর আগে গত ২৮ মে উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।

রেজাউল হক নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মনোহরপুর আলার মোড়ে চা খেতে আসেন। আজও একসাথে বসে চা খেলাম। পরে উনি মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। এক মিনিট পরেই এক নারীর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনতে পেয়ে আমরা দৌঁড়ে যায়। গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান সাহেবকে কে বা কারা পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক তাকে যশোরে রেফার্ড করেছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে হয়ত দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে। না হলে তারা চেয়ারম্যানকে মেরে ফেলত।’

মনোহরপুর গ্রামের জুলি খাতুন নামের ওই নারী জানান, ‘সন্ধ্যার পর আমার ছোট ছেলের সাথে আলার মোড়ে সুপারি কিনতে যাচ্ছিলাম। পথের মাঝে দেখি চেয়ারম্যান মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আর পাশ দিয়ে একটি মোটরসাইকেলে মুখোশ পরিহিত দুজন ব্যক্তি চলে যাচ্ছে। এসময় আমি চিৎকার-চেঁচামেচি করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে।’

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমার সুজন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের পিঠের ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের জখম পাওয়া গেছে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তিনি অ্যাজমা ও পেশারের রোগী, তাই ঝুঁকি এড়াতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোরে রেফার্ড করা হয়েছে।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে দুর্বত্তরা। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ জানান, ‘আমরা জেলা থেকে ডিবি টিম, সাইবার টিম নিয়ে এসেছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, কারা এ গুপ্ত হামলার সাথে জড়িত, তা দ্রুতই উন্মোচন করতে পারব।’

এর আগে গত ২৮ মে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নানকে একই স্টাইলে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় তাকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্ব্যুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়া হয়। তিনি বর্তমানে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ঘটনায় জীবননগর থানায় একটি মামলা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ওই ঘটনার এক মাসের মাথায় আবারও আরেক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল।

;

যশোরে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গলা কেটে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের মনিরামপুরে খানপুর ইউনিয়নের মাছনা মহল পাড়ায় তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। 

শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ৮টার দিকে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে নিহতের ঘরের তালা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত মোছা. মংগলী ওরফে পলি (৩৩) মাছনা গাজীপাড়া গ্রামের মৃত খালেক গাজীর সন্তান। 

স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৮টার দিকে পলি বাইরের কাজ শেষে বাসায় প্রবেশ করেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পাশের বাড়ির জনৈকা মাছুরা খাতুন বাড়ির বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে পার্শ্ববতী প্রতিবেশীদের জানান। প্রতিবেশীরা বিষয়টি মনিরামপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে মনিরামপুর থানা পুলিশ এসে পলির ঘরের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তার হাত বাঁধা ও গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান।

নিহত পলির পৈত্রিক বাড়ি একই ইউনিয়নের ঘুঘুদাহ গ্রামে। তিনি হিজড়া হওয়ার পর থেকে বিগত ১০-১২ বছর পূর্বে মাছনা মহল পাড়ায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে একাকী বসবাস করে আসছিলেন। পূর্বশত্রুতার জেরে একাকী থাকার সুযোগে রাতের কোনো এক সময় দূর্বৃত্তরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।  

মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের পলি নামে একজন খুন হয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে হিজড়া সম্প্রদায়ের সাথে কথা বলে পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।

;

বান্দরবানে সহায়তা পেলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা

ছবি: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা

  • Font increase
  • Font Decrease

রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে বান্দরবানে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ফলে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার ব্যক্তির মাঝে সহায়তা হিসেবে নগদ অর্থ এবং চাল দেয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককে ৫০ কেজি চাল এবং নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে ১ হাজার ৭০০ টাকা দেয়া হয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদ গেস্ট হাইজে এ সহায়তা তুলে দেন জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা।

জেলা পরিষদ সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, পর্যটন শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত গাড়িচালক, ইঞ্জিনবোট চালক এবং পর্যটন গাইডদের মাঝে চাল ও নগদ টাকা প্রদান করা হয়েছে।

এর মধ্যে বান্দরবান সদরের ২৭৯ জন, রুমা উপজেলার ৩৫৯ জন, রোয়াংছ‌ড়িতে ২০৫ জন এবং থান‌চিতে ২০৫ জন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের এ সহায়তা পান।

;