লিবিয়ায় অপহরণের শিকার রাজশাহীর যুবক, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লিবিয়ায় অপহরণের শিকার হয়েছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সায়বাড় গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে ওয়াসিম আলী নামে প্রবাসী যুবক। সেখানে নির্যাতনের পর তার কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে অপহৃত ছেলেকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসিমের মা পেমালা বেগম বলেন, পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমার ছেলে এক বছর আগে তাদের গ্রামের মিলনের মাধ্যমে চার লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে লিবিয়ায় যায়। সেখানে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ নেয়।

তিন মাস সেখানে কাজ করার পরে লিবিয়া প্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ইসমাইল সেখান থেকে তাকে ইতালিতে আরও ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। আর সেখানে যাওয়ার পর থেকে ছেলের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এর প্রায় ১৫ দিন পর ছেলে ফোন দিয়ে বলে, ‘মা আমাকে বাঁচাও, এরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে অপহরণের পর জিম্মি করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে প্রায় ছয় মাস থেকে অপহৃত। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, আমাকে ভিডিওকলে দেখায় ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে। ছেলে কান্না করে কিন্তু আমি কিছুই করতে পারি না। ওরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল আমি আট লাখ টাকা ইসমাইলের কাছে দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ছেলেকে তারা ছাড়েনি। তারা আরও টাকা দাবি করছেন।

ওয়াসিমের মামা আব্দুল জলিল বলেন, ওই মাফিয়া চক্র আমার ভাগ্নেকে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল। কিন্তু আমরা মনে করছি এ ঘটনায় ইসমাইল নিজেই জড়িত আছে। আমরা দুবারে আট লাখ টাকা দিয়েছি অনেক কষ্ট করে। কিন্তু এরপরও তাকে ছাড়েনি। আমরা দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করতে গেছি কয়েকবার। কিন্তু থানায় গেলে পুলিশ বলে বাইরের দেশে অপহরণ হয়েছে আমরা কী করবো। তারা অভিযোগ নেন না। আমরা ফিরে আসি।

সংবাদ সম্মেলনে লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার ওয়াসিমকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তার পরিবার এবং ইসমাইল ও নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের আরেকটি স্থানে ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪.কম

মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের আরেকটি স্থানে ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুহুরী নদীতে পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এবার সিলোনিয়া নদীতে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্যায় দুই উপজেলায় অন্তত ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষের জন্য সহায়তা কার্যক্রম চললেও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয় অনেকে।

বুধবার (৩ জুলাই) মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের আরেকটি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এতে নতুন এলাকা এলাকা প্লাবিত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গত তিনদিনে মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১০টি স্থান ভেঙেছে। তার মধ্যে ফুলগাজীর দৌলতপুর ও পরশুরামের শালধরের দুটি স্থানে ভাঙনের মাত্রা বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজীর দৌলতপুরে ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ কমলেও পরশুরামে শালধরে ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামতে শুরু করেছে। তবে বেড়িবাঁধের ভাঙা স্থান দিয়ে এখনো নদীর পানি গ্রামের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে নতুন করে আর ভাঙার সম্ভাবনা নেই। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় হতে দুর্গত এলাকায় মানুষদের সহায়তার জন্য ২০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা ও ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম। বন্যার্তদের মাঝে তা বিতরণের কাজ চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া জানান, বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নে ৮টি, দরবারপুরে ৩টি, আমজাদহাট ৫টি ও মুন্সিরহাট ৫টি সহ মোট ২১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ১ হাজার ৮শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৯০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

ফুলগাজীতে নতুন করে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউনিয়নের আমজাদ হাট, দরবারপুর, বসন্তপুর, জগতপুর, নিলক্ষী, গোসাইপুর, করইয়া, গাবতলা। এছাড়া উপজেলার পশ্চিমে প্রবাহিত সিলোনীয়া নদীর তারালিয়া অংশের ভাঙনে নোয়াপুর, বসন্তপুর, দরবারপুর, শ্রীপুর, জয়পুর দেড়পাড়াসহ নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম জামমুড়া, ফকিরের খিল, পৈথারা এবং কামাল্লা গত কয়েক দিনের উজানের পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে।

এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরামের শালধর ভাঙন অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ফুলগাজীর নিলক্ষী গ্রাম দিয়ে নামছে। এতে করে নতুন নতুন গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়ছে। এসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে পরশুরামে মুহুরী নদীর শালধর অংশে ভাঙা বাঁধ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পরশুরামের দক্ষিণ শালধর, মালিপাথর, গোসাইপুর, বাঘমারা, টেটেশ্বর, চাড়িগ্রাম, গদাগ্রাম, মনিপুর, উত্তর গাবতলী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।


এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা জানান, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধের দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন একটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। বন্যায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের মাঝে ৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পাউবো ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, মুহুরী নদীর পানি বুধবার থেকে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। নদীর পানি কমলে ভাঙন এলাকা মেরামত করা হবে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম। এসময় আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, টেকসই বাঁধ নির্মাণ হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্লাবন হবে না বলে আশা করছি।

এ ব্যাপারে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম বলেন, টেকসই বাঁধ নির্মাণে দাপ্তরিক কাজ দ্রুততার সাথে চলছে। এই প্রকল্প ব্যয় প্রায় ৯শ কোটি টাকা হবে। এর দ্রুত বাস্তবায়ন হলে স্থায়ী সমাধান হবে। এতে মানুষের কষ্ট এবং ফসলহানি রোধ হবে। মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া নদীতে স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণ এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সমীক্ষা করা হয়েছে এবং এজন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা করা হচ্ছে।

মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যায় নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ চিহ্নিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মুহুরী- কহুয়া-সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৬৭ স্থানে ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। এতে গত ৬ বছরে বাঁধ সংস্কারে ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, জলের টাকা জলেই গেছে। এতে বাঁধ ভাঙন রোধ হয়নি, স্থানীয়দের দুর্দশাও মেটেনি। বরং বর্ষা মৌসুমে বাঁধের যেকোন স্থান যেকোন সময় ভাঙতে পারে, এ নিয়ে আমাদের শঙ্কা আজও দূর হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবার একই জায়গা বারবার ভাঙে। তা সংস্কারের জন্য বরাদ্দও দেওয়া হয়। একই ঠিকাদার বাঁধ মেরামতের কাজ করে। বন্যা হলে কিছু অসাধু কর্মকর্তার কপাল খুলে যায়।

;

বগুড়ায় বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
যমুনার ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪.কম

যমুনার ভাঙন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বুধবার (৩ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এখন যমুনায় ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৬ দশমিক ২৫ মিটার। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পানির উচ্চতা ছিল ১৫ দশমিক ৬৯ মিটার। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত তা ৬৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন পানির উচ্চতা ১৬ দশমিক ৩৭ মিটারে দাঁড়িয়েছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, পানি বৃদ্ধির কারণে সারিয়াকান্দির চরগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি ও চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে।

তিনি জানান, পানি বৃদ্ধি পেলেও ৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে এখনও কোনো ঝুঁকি দেখা দেয়নি। যমুনার ছয়টি পয়েন্টে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে ইছামারা অংশে ভাঙন প্রবল। সেখানে নদী থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দূরত্ব মাত্র ৩০০ মিটার। গত বছর সেখানে এক হাজার ৭০০ মিটার ভেঙে ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ ওই এলাকা রক্ষায় কাজ করা হচ্ছে।

বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ইতিমধ্যে সারিয়াকান্দী, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, জনগণের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

;

সন্ধ্যার মধ্যে রাজধানীসহ ২০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সন্ধ্যার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

;

সরকারি চাকরিতে আপাতত বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারি চাকরিতে আপাতত বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি চাকরিতে আপাতত বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল থাকছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশে বলেন, আপাতত হাইকোর্টের রায় যেভাবে আছে, সেভাবে থাকুক। রায় প্রকাশ হলে আপনারা নিয়মিত আপিল দায়ের করেন। আমরা শুনব।

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্দোলন হচ্ছে হোক। রাজপথে আন্দোলন করে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।

আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, আপিল বিভাগে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে।

এর আগে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৯ জুন এ আবেদনটি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহাল করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান।

নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকার পরিপত্র জারি করে। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা এমন পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে রিট দায়ের করেন অহিদুল ইসলামসহ সাত শিক্ষার্থী। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে চলতি বছরের ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী জানান, পুরো কোটা বাতিল না করে কেবল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের কোটা বাতিল করেছিল। এটা অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এখন থেকে এসব গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় তাদের সন্তানদের নিয়োগে আর কোনো বাধা নেই।

এরপর ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।

;