ভূমি কর: বিলুপ্ত হলো চারশো বছর আগে তৈরি মুঘলদের নিয়ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূমি কর: বিলুপ্ত হলো চারশো বছর আগে তৈরি মুঘলদের নিয়ম

ভূমি কর: বিলুপ্ত হলো চারশো বছর আগে তৈরি মুঘলদের নিয়ম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। ফলে বাংলা সাল অনুযায়ী ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ৪৪০ বছরের পুরোনো মুঘল প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে।

এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কৃষি ফসল ওঠার উপর নির্ভর করে মুঘল আমলে খাজনা আদায় করা হতো। সেই কৃষির ফলনের ঋতু পরিবর্তন হয়েছে।

একইসাথে আর্থিক কাঠামোর সাথে সঙ্গতি রেখে হিসাব ব্যবস্থাপনা সহজ করার লক্ষ্যে অর্থবছর অনুযায়ী ভূমি কর আদায়ের উদ্দেশ্যেই শতশত বছরের পুরোনো এ রীতি পরিবর্তন করা হয়েছে।

মুঘল আমলে যেভাবে ভূমির খাজনা আদায় প্রবর্তন হয়

মুঘল বাংলায় ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সাল থেকে (পূর্বের তারিখে দেখিয়ে)। কালক্রমে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমল হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশেও বাংলা সনের হিসাবেই জমির খাজনা তথা ভূমি কর নেয়া হত। ১৫৮৪ প্রায়োগিক সাল ধরলে সময়ের প্রয়োজনে প্রায় ৪৪০ বছর পর ভূমি কর আদায়ের সময় পরিবর্তন হচ্ছে।

যেভাবে ভূমি কর পরিশোধ করতে হয়

ভূমি উন্নয়ন কর হালসনের হিসাব অনুযায়ী পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ, প্রতি বছরের ভূমি উন্নয়ন কর উক্ত বছরের ৩০ জুনের মধ্যে জরিমানা ব্যতীত আদায় করা যাবে। কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা পরিবারভিত্তিক কৃষি জমির মোট পরিমাণ ৮ দশমিক ২৫ একর বা ২৫ বিঘা পর্যন্ত হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না। তবে এই জমির পরিমাণ ২৫ বিঘার বেশি হলে সম্পূর্ণ কৃষি ভূমির ওপর ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে।

অন্যদিকে, অকৃষি ভূমিকে ব্যবহার ভিত্তিক বাণিজ্যিক, শিল্প এবং আবাসিক ও অন্যান্য শ্রেণিতে বিভাজন করে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর হার নির্ধারণ ও পুনঃনির্ধারণ করে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে থাকে। এছাড়া, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, যেকোনো ব্যক্তি বা যেকোনো শ্রেণির ব্যক্তিবর্গ অথবা কোনো সংস্থাকে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত শ্রেণি ও পরিমাপের কৃষি বা অকৃষি ভূমির ভূমি উন্নয়ন কর মওকুফ করতে পারবে।

ডুমুরিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনার ডুমুরিয়ায় শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রনিকে গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। শনিবার (৭ জুলাই) রাত ১০টার দিকে গুটুদিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শেখ রবিউল ইসলাম রনি তৃতীয়বারের মতো ওই ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

জানা যায়, শনিবার বিকেলে ডুমুরিয়ায় আওয়ামী লীগের একটি সভা ছিলো। সভা শেষে সন্ধায় খুলনার উদ্দেশ্য রওনা হলে গুটুদিয়া নামক স্থানে গতি রোধ করে গুলি করে দুবৃত্তরা। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে করে ডুমুরিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করলে সেখানকার দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

;

সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো জুবায়ের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)/ ছবি: সংগৃহীত

নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীর হাতে নিহত অপর শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো। সকালে কোচিং করতে বের হয়ে আর না ফেরায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। সন্ধ্যায় তারা এক শিক্ষলের মাধ্যমে জুবায়েরের হত্যার খবর পান।

এ দিকে জুবায়েরকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে তারই সহপাঠী রাজিন ওরফে সামি বিরুদ্ধে। সামি কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম ইকবাল হোসেন।

জুবায়েরের নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর মামা মো. নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, সকালে কোচিং করার জন্য জুবায়ের বাসা থেকে বের হয়। পরে সে আর বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় আমার ভাগিনার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেয়। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।

জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ির নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবার নাম আবুল বাশার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। মিরপুর কমার্স কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

এ দিকে শিক্ষার্থী হত্যার বিষয়টি জানলেও রহস্যজনকভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কমার্স কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এমন কি হত্যার বিষয়টি জানলে এ বিষয় মুখ খুলছেন না শিক্ষার্থী উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকরা।

;

জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। কিছুটা পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিস্তীর্ণ জনপদে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসন বলছেন ২৩ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২১৪টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ইসলামপুর উপজেলায় ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৫টি, মাদারগঞ্জে ৭টি ও বকশীগঞ্জে ১টি।

সদর উপজেলা ছাড়া জেলার চারটি উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকায় সরেজমিনে বানভাসি মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। এসব অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ হতদরিদ্র। যমুনার ঢলে অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে থাকায় অনেক দিনমজুরের আয়রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

দুর্গম প্রজাপতিরচর এলাকার হতদরিদ্র আবু সাইদ বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে ঘরের মেঝেতে উঠে। পরের দিন চারদিকে অথৈ পানি আর পানি। আমি পরের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই। এখন জমিসহ ঘরবাড়ি পানির নিচে থাকায় সকল আয়রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

তার মতো অনেক হতদরিদ্র দিনমজর রয়েছেন, সবারই একই অবস্থা।

শরিফ নামে একজন বলেন, দিন কাজ করে সংসার চালাই। বানের পানি উঠায় সকল ইনকাম বন্ধ। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছি কেউ খোঁজ খবরও নিতে আসে না।

এদিকে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় এখনো বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টয় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এখন জেলার বানভাসিদের জন্য ৬ উপজেলায় ১৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

;

মিরপুরে সহপাঠীর হাতে ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমার্স কলেজ

কমার্স কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের এক শিক্ষার্থীর হাতে অপর এক শিক্ষার্থী খুন হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় কমার্স কলেজের পাশেই লাল বিল্ডিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. জুবায়ের কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, ঢাকা কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্বের জেরে হত্যা ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এই বিষয় কাজ করছি। কি কারণে হত্যা জানতে চাইলে ওসি বলেন, আমরা এখনো কারণ সম্পর্কে জানি না। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাজিন চৌধুরী পলাতক। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, নিহত রাজিন চৌধুরীর বাবার নাম ইকবাল চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী। রাজিনের মা ঢাকার বাইরের একটি কলেজের শিক্ষিকা।

সহপাঠীর হাতে জুবায়েরের হত্যার বিষয় জানতে চাইলে হত্যার ঘটনা জানলেও কারণ জানেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ আবু মাসুদ।

তিনি বলেন, ঘটনা জানার পরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে। তবে তারাও হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে পারেন নি।

;