লিবিয়ায় অপহরণের শিকার রাজশাহীর যুবক, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লিবিয়ায় অপহরণের শিকার হয়েছেন রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সায়বাড় গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে ওয়াসিম আলী নামে প্রবাসী যুবক। সেখানে নির্যাতনের পর তার কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে অপহৃত ছেলেকে ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়াসিমের মা পেমালা বেগম বলেন, পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় আমার ছেলে এক বছর আগে তাদের গ্রামের মিলনের মাধ্যমে চার লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে লিবিয়ায় যায়। সেখানে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ নেয়।

তিন মাস সেখানে কাজ করার পরে লিবিয়া প্রবাসী চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ইসমাইল সেখান থেকে তাকে ইতালিতে আরও ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে নিয়ে যায়। আর সেখানে যাওয়ার পর থেকে ছেলের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এর প্রায় ১৫ দিন পর ছেলে ফোন দিয়ে বলে, ‘মা আমাকে বাঁচাও, এরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে অপহরণের পর জিম্মি করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে প্রায় ছয় মাস থেকে অপহৃত। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে, আমাকে ভিডিওকলে দেখায় ছেলেকে মারধর করা হচ্ছে। ছেলে কান্না করে কিন্তু আমি কিছুই করতে পারি না। ওরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছিল আমি আট লাখ টাকা ইসমাইলের কাছে দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ছেলেকে তারা ছাড়েনি। তারা আরও টাকা দাবি করছেন।

ওয়াসিমের মামা আব্দুল জলিল বলেন, ওই মাফিয়া চক্র আমার ভাগ্নেকে অপহরণ করেছে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল। কিন্তু আমরা মনে করছি এ ঘটনায় ইসমাইল নিজেই জড়িত আছে। আমরা দুবারে আট লাখ টাকা দিয়েছি অনেক কষ্ট করে। কিন্তু এরপরও তাকে ছাড়েনি। আমরা দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ করতে গেছি কয়েকবার। কিন্তু থানায় গেলে পুলিশ বলে বাইরের দেশে অপহরণ হয়েছে আমরা কী করবো। তারা অভিযোগ নেন না। আমরা ফিরে আসি।

সংবাদ সম্মেলনে লিবিয়ায় নির্যাতনের শিকার ওয়াসিমকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তার পরিবার এবং ইসমাইল ও নির্যাতনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

মেহেরপুরে সবজির দাম আকাশচুম্বি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,মেহেরপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিন আগেও এক কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। আকস্মিক সেই বেগুনের কেজি এখন ৯০ টাকা। সব সময় উচ্চমূল্যের তালিকা নাম লেখানো এই বেগুন এবার সাথে করে নিয়ে গেছে ঝিঙ্গে, কলা, ফুলকপি, কচুসহ প্রায় সব শাক সবজিকে। শনিবার (২৯ জুলাই) থেকে হঠাৎই মেহেরপুর জেলায় সবজির দর আকাশচুম্বি। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ ক্রেতাদের। 

অনাবৃষ্টিতে সবজি উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি এবং সবজি উৎপাদন কমে যাওয়ায় দর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। শনিবার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজি প্রতি বেগুন ৯০ টাকা, কচুমুখী ৮৫ টাকা, করলা (উস্তে) ৯০-১০০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, পালংশাক ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, ঝিঙ্গে ৪০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা, ঢেড়স ৬০ টাকা ও পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

এছাড়া শুধুমাত্র মিষ্টি কুমড়া, পুঁইশাক ও পটলের দাম রয়েছে ৩০ টাকার মধ্যে। বাকি সব সবজির দর ৬০ টাকার উপরে।
আকস্মিক এ দর বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

গাংনী হাটে সবজি কিনতে এসে জোড়পুকুরিয়া গ্রামের কৃষক হারান বলেন, 'আলু, পেঁয়াজ, রসুন আর কাঁচা মরিচের দাম বেশ চড়া। সবজির দাম এত বেশি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মত পরিবারের পক্ষে সবজি কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। হাটের এ মাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত ঘুরেও কাঙ্খিত পরিমাণ সবজি কেনা যায়নি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারী জানান, পেনশনের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে সংসারই চলে না। তার উপরে সবজির দর
যেভাবে বেড়েছে তাতে সবজি কিনতে পারছি না। শুধুমাত্র এক কেজি পটল কিনে বাড়ি ফিরে গেলেন তিনি।

গাংনী কাঁচা বাজারের (পাইকারী আড়ত) আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, 'চলতি মৌসুমে একটানা তাপ প্রবাহ বিরাজমান। এতে সবজির ফলন বিপর্যয়
দেখা দিয়েছে। তাই যে পরিমাণ সবজির চাহিদা তা বাজারে উঠছে না। ফলে দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।'

সবজিচাষের গ্রাম সাহারবাটির আমিনুর রহমান বলেন, 'বর্ষার সময়ে সব সময় সবজির সংকট হয়। তবে এবারের সংকট খুবই বেশি। অনাবৃষ্টির কারণে
পোকামাড়কের আক্রমণ অনেক বেশি। যা সামলাতে গিয়ে সবজি চাষের খরচ বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু মিলছে না কাঙ্খিত ফলন।'

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, 'আষাঢ় মাস প্রায় শেষ। আগামি মাস থেকে বর্ষা হতে পারে বলে
আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে সবজি উৎপাদনও বেড়ে যাবে।'

;

কুমিল্লায় দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন তরুণী!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় দাফনের ৯ দিন পর বাড়ি ফিরলেন নিখোঁজ এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লভপুর গ্রামে। এ নিয়ে পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ফিরে আসা নারীর নাম রোকসানা আক্তার (৩০)। তিনি রাজবল্লভপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের মেয়ে।

এলাকাবাসীর প্রশ্ন, দাফন করা নারী তাহলে কে? অপরদিকে ফিরে আসা তরুণীকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ তার বাড়িতে ভিড় করছেন।

জানা গেছে, মে মাসের শেষে রোকসানা আক্তার চৌদ্দগ্রামে নিজ বাড়ি থেকে ছোট ভাই সালাহ উদ্দিনের চট্টগ্রামের ষোলশহরের বাসায় বেড়াতে যান। ১ জুন ভোরে কাউকে না জানিয়ে রোকসানা বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন আত্মীয়স্বজনসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

গত ১৭ জুন ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ফেনী শহরে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত রোকসানার খালাতো বোন হাজেরা আক্তার ও খালাতো ভাই শাহজাহান খবর পান, ফেনী শহরের জিয়া মহিলা কলেজের সামনে ড্রেনে একজন নারীর মরদেহ পড়ে আছে। তারা সেখানে গিয়ে মরদেহের চেহারা রোকসানা আক্তারের চেহারার সঙ্গে মিল দেখে ভাই এবায়দুল হককে জানান। এর মধ্যে ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ি লাশটির সুরতহাল শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। রাতেই এবায়দুল হক জিয়া মহিলা কলেজের ড্রেন এলাকায় পৌঁছে স্থানীয়দের রোকসানার ছবি দেখিয়ে মরদেহটি একই রকম কি না জিজ্ঞেস করলে সবাই ছবির সঙ্গে মিল রয়েছে বলে জানান।

পরে এবায়দুল হক ও স্বজনরা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে রোকসানার মরদেহ শনাক্ত করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ এবায়দুল হকের হাতে বোন রোকসানা আক্তারের মরদেহ হস্তান্তর করে। ওইদিন বাদ আছর গুণবতী ইউনিয়নের রাজবল্লবপুর মধ্যমপাড়ায় সামিশকরা দিঘির দক্ষিণ পাড়ে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

দাফনের ৯ দিন পর গত বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে বাড়িতে হাজির হন রোকসানা। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়িতে উৎসুক মানুষ তাকে দেখতে ভিড় জমায়। এ সময় এলাকাবাসী তাকে জিজ্ঞেস করলে রোকসানা বলতে থাকে, কে বলছে আমি মারা গেছি? আমি চাকরির খোঁজে ঢাকায় গিয়েছি। শরীর খারাপ থাকায় কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।

বিষয়টি নিয়ে রোকসানা আক্তার বলেন, আমি চট্টগ্রাম ভাইয়ের বাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমি একটি চাকরি পেয়েছি। যেহেতু আমি বাড়ি থেকে কোনো কাপড় নিয়ে যাইনি, তাই কাপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে এসে দরজা নক করলে আত্মীয়স্বজনরা আমাকে দেখে হতবাক হয়েছেন। তখন আমি জানতে পারি, আমি নাকি মারা গেছি এবং আমার লাশও দাফন করা হয়ে গেছে। আমি তো জীবিত ফিরে আসলাম।

রোকসানার ভাই এবায়দুল হক বলেন, ছবিতে কিছুটা মিল থাকার কারণে বোনের মরদেহ মনে করে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি এনে দাফন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে রোকসানা জীবিত বাড়ি ফিরলে ফেনী মডেল থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধার করা ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক প্রতুল দাস বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমি মরদেহটি বিকৃত অবস্থায় উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠাই। পরে স্বজনরা মরদেহটি রোকসানার বলে শনাক্ত করে নিয়ে যায়।

;

স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারী, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলক্ষেত থানার বনরূপা আবাসিক এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। স্বামীকে মুক্তিপণের টাকা আনতে পাঠিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মূলহোতা সুমন, তার সহযোগী পার্থ, হিমেল, রবিন, টুটুল, হৃদয় ও নুরু।

শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সাজ্জাদ ইবনে রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ঘটনার পর টানা অভিযান চালিয়ে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।

খিলক্ষেত থানায় ভুক্তভোগীর করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, সাভারের বলিয়াপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ওই গৃহবধূ বেসরকারি চাকরিজীবী। শুক্রবার সন্ধ্যায় তার স্বামীকে নিয়ে বিমানবন্দর থানাধীন কাওলা বাজারে এক পরিচিত বোনের বাসায় যান।

বোনের বাসা থেকে রাত সাড়ে ৮টায় বের হয়ে স্বামীর সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা যাত্রী ছাউনির সামনে যান। রাত সাড়ে ৯টায় তাদের পূর্ব পরিচিত সুমনসহ অজ্ঞাতনামা ৩ জন রাস্তা পার হয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জন অটোযোগে এসে ভুক্তভোগীকে বলে ‘আপনার সঙ্গে কথা আছে। এখানে কথা বললে অন্য ছেলেরা আপনাদের মারপিট করতে পারে, আপনারা আমাদের সঙ্গে আসেন’। তখন ভুক্তভোগী স্বামীকে নিয়ে তাদের সঙ্গে খিলক্ষেত থানাধীন বনরূপা আবাসিক এলাকার বাগান বাড়িতে যান।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছ থেকে একটি সিমফনি বাটন মোবাইল ফোন ও নগদ প্রায় ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয় অভিযুক্তরা।

বিবাদীরা তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভুক্তভোগীকে ছাড়বে না বলে আটকে রাখা হয়।

এ সময় তার স্বামীকে ছেড়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য রাত ১২টায় চলে যান। রাত ৩টার দিকে বাগানবাড়িতে আসামিরা ভুক্তভোগীকে মারপিট করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ভোর ৫টার দিকে ওই নারীকে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

;

ফেনীতে এইচএসসিতে পরীক্ষার্থী বাড়লেও কমেছে আলিমে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার (৩০ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমান পরীক্ষা। এবারের পরীক্ষায় ফেনীতে ২২টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১৩ হাজার ১৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে । যার মধ্যে এইচএসসি ও ভোকেশনালে ১১ হাজার ২৬৯ জন এবং আলিমে ১ হাজার ৯১০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০২৩ সালের পরিসংখ্যান বিবেচনায় ফেনীতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বাড়লেও কমেছে আলিমে। ২০২৩ সালে এইচএসসি ও ভোকেশনাল এবং আলিমে সর্বমোট ১২ হাজার ৭৮৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে এইচএসসিতে ছিল ১০ হাজার ৭২৫ জন পরীক্ষার্থী। বিপরীতে এবার অংশ নিচ্ছে ১১ হাজার ২৬৯ জন। অন্যদিকে গত বছর আলিমে ২ হাজার ৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও এবার অংশ নিচ্ছে ১ হাজার ৯১০ জন।

জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ফেনীর সদর উপজেলায় এইচএসসি ও ভোকেশনালের পরীক্ষার্থী ৫ হাজার ৭৪৬ জন ও আলিমে ৬৬৪ জন। পরশুরাম উপজেলায় এইচএসসিতে ৬৮৯ জন, আলিমে ১৩০ জন। ফুলগাজী উপজেলায় এইচএসসি ও ভোকেশনালে ৮৯৩ জন, আলিমে ১০৮ জন। ছাগলনাইয়া উপজেলায় এইচএসসিতে ১ হাজার ১৫২ জন, আলিমে ৪২৫ জন। সোনাগাজী উপজেলায় এইচএসসিতে ১ হাজার ১৬৮ জন, আলিমে ২৯৫ জন। দাগনভুঞা উপজেলায় এইচএসসিতে ও ভোকেশনালে ১ হাজার ৬৩৯ এবং আলিমে ১২৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫টি এইচএসসি ও ভোকেশনালের এবং ৭টি আলিমের। যার মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় এইচএসসি কেন্দ্র ৬টি, আলিমের ১টি সোনাগাজীতে এইচএসসি ২টি, আলিম ১টি, ফুলগাজীতে এইচএসসি ৩টি, আলিম ১টি, পরশুরামে এইচএসসিতে ১টি, আলিমে ১টি, ছাগলনাইয়াতে এইচএসসিতে ১টি, আলিমে ১টি এবং দাগনভুঞাতে এইচএসসিতে ২টি, আলিমে ২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (৩০ জুন) বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক) এর মাধ্যমে শুরু হওয়া পরীক্ষা আগামী ১১ আগস্ট শেষ হবে।

পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কিছু শিক্ষার্থী সময় কম পাওয়ায় প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকার কথা বললেও অধিকাংশ বলছেন প্রস্তুতি ভালো রয়েছে। ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা আহমেদ অহনা বলেন, আরেকটু বেশী সময় পেলে প্রস্তুতি আরও ভালো হতো তবে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস হওয়ায় শেষ করতে পেরেছি।

মেহেদী হাসান নামে আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, যে প্রস্তুতি নিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। সব ঠিক থাকলে আশা করি ভালো পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষার বিষয়ে ফেনী সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। ফেনী কলেজে সদর উপজেলার ২টি কলেজ ব্যতীত সকল কলেজের পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ এরিয়াতে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শফি উল্ল্যাহ বলেন, পরীক্ষা সুন্দরভাবে নেয়ার জন্য ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসনের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি উপজেলায় একটি করে ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে এবং প্রতি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছেন জেলাপ্রশাসক। এছাড়াও প্রতি কেন্দ্রে পুলিশ ও মেডিকেল টিম সর্বদা প্রস্তুত থাকবে বলে জানান তিনি।

;