রাজশাহীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন বাসযাত্রী। শনিবার (২৯ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোদাগাড়ী থানার অভয়নগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন।

তিনি বলেন, রাতে অভয়নগর এলাকায় হানিফ পরিবহন ও জমদুত পরিবহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। ঘটনাস্থলেই দুজন প্রাণ হারিয়েছেন, এছাড়া আরও ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন।

ওসি জানান, নিহতদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

জুলাইয়ে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা, বাড়বে তাপপ্রবাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি জুলাই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হতে পারে। এছাড়া এ মাসে একটি নিম্নচাপ এবং বিচ্ছিন্নভাবে একটি থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (১ জুলাই) দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জুলাইয়ে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এছাড়া, দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চার দিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। সারাদেশে পাঁচ-ছয় দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।

এছাড়া জুলাই মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে অল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, ভারী বৃষ্টি থাকলেও এ মাসে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে আলুটিলা সাপমারায় এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা সড়কে যান চলাচল বন্ধ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এছাড়া জেলার মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি লংগদু সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কটি বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।

;

পদ্মা সেতু পরিচালনায় আসছে সরকারি কোম্পানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে আলাদা একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেতুর টোল আদায়সহ সার্বিক পরিচালনার কাজ করবে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানি।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’ শিরোনামে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। এর মূল দায়িত্ব থাকবে পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ। কোম্পানিতে ১৪ জনের বোর্ড অব ডিরেক্টর থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রেল ও অর্থ মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে প্রতিনিধি থাকবেন। কোম্পানি আইন অনুযায়ী তারা চলবে এবং জনবল কাঠামো তারাই অনুমোদন দেবে। কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য, এ সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ধীরে ধীরে আমাদের আওতায় নিয়ে আসা।

২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এ সেতুতে ব্যয় হয় ৩১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সড়কপথে যুক্ত হয় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে।

এতে গত ২৫ জুন পর্যন্ত দুই বছরে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল থেকে যে আয় হচ্ছে, তা জমা হচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে।

পাঁচ বছরের বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠান কো‌রিয়ান এক্স‌প্রেসও‌য়ে ৬৯৩ কোটি টাকায় সেতুর টোল আদায় এবং রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণের দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছে। তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর পদ্মা সেতু পরিচালনা যাবে কোম্পানির অধীনে।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট)-২০২৪’ স্থাপনে একটি আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এ ইনস্টিটিউট করার প্রস্তাব করা হলেও তাতে সম্মতি দেননি তিনি।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন, ২০২৪’-এর খসড়া উপস্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী তার নামের অংশটুকু বাদ দিতে নির্দেশ দেন। এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিট-সংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম চালু করবে।

তিনি বলেন, এটির একটি গভর্নিং বোর্ড থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী। বোর্ড অব গর্ভনরের সভাপতি হবেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী। আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।

সদ্য পাস হওয়া বাজেট খুবই স্বচ্ছতা, নজরদারি ও যত্নের সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী ও সচিবদের সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে খুবই যত্নের সঙ্গে, নজরদারির সঙ্গে, নিপুণভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন বাজেট বাস্তবায়ন করা হয় সে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গতকাল রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি তিন বছর অন্তর প্রণয়ন করা হয় রপ্তানি নীতি। আগের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হওয়ায় নতুন নীতিতে কিছু বিশেষ বিষয় যোগ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর আমরা বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাব। সেক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি যাতে প্রতিযোগিতামূলক থাকে, রপ্তানিকারকরা যাতে উৎসাহিত বোধ করেন, সেদিকে নজর দিয়েই নতুন নীতি তৈরি করা হয়েছে। গত বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এ অর্থবছরের এখনও হিসাব করা হয়নি।

;

চট্টগ্রাম বন্দরে বেড়েছে কন্টেইনার-কার্গো হ্যান্ডলিং



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে গত এক বছরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে। এর মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ আর কার্গো হ্যান্ডলিং ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে। তবে একই সময়ে দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর কমেছে জাহাজ আগমনের সংখ্যা।

সোমবার (১ জুলাই) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে কন্টেইনার, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিং নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বন্দর থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছে ৩০ লাখ ৭ হাজার ৩৭৫ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক)। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯০ টিইইউস। এ হিসাবে বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৩১৫ টিইইউস যা শতকরা হিসাবে আগের বছরের চেয়ে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।

এছাড়া ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর কার্গো হ্যান্ডলিং করেছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৩ মেট্রিক টন। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে হ্যান্ডলিং করেছে ১২ কোটি ৩২ লাখ ৪২ হাজার ৭৪৮ মেট্রিক টন। এ হিসেবে বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং বেড়েছে ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ১০৫ মেট্রিক টন, যা শতকরা হিসেবে আগের বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

এদিকে গত এক বছরে (২০২৩-২০২৪ অর্থবছর) বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৩ হাজার ৯৭১টি। এর আগে অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ অর্থবছর বন্দরে জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৩টি। আগের অর্থবছরের চেয়ে এবার বন্দরে মোট ২৮২টি কম জাহাজ হ্যান্ডলিং করা হয়েছে।

জাহাজের আগমন কম হলেও কার্গো ও কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বৃদ্ধিকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ‘বন্দরের আধুনিক হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংযোজন, অটোমেশন, অভিজ্ঞতা, দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। জাহাজ আগমন কোনো বিষয় না। বড় জাহাজ বেশি আসছে এজন্য। কিন্তু, আমাদের কার্গো এবং কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে। এটি অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। আমরা চাই বড় জাহাজে বেশি পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি করতে। এতে জাহাজ ভাড়া কম পড়বে, আমদানি ও রপ্তানিকারকরা তথা দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে।’

সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, সদ্য বিদায়ী অর্থবছর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এতে বন্দরের আয় বাড়ছে। বে টার্মিনালে বিনিয়োগ বাড়ছে। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী ফোরাম এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। জাতীয় বাজেট বাড়ছে। বাড়ছে আমদানি ও রপ্তানি। তারই প্রতিচ্ছবি চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রবৃদ্ধি। আমরা আশাকরি, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শামিল থাকতে চট্টগ্রাম বন্দর সক্ষমতার পরিচয় দেবে। বন্দর নতুন নতুন প্রকল্প ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চাপ গ্রহণে প্রস্তুত থাকবে।’

;