বেনাপোল বন্দরে ৩ দিন ধরে ফল, মাছ ও সবজি খালাস বন্ধ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মাছ, ফল ও সবজি জাতীয় পণ্য আমদানিতে এনবিআরের নতুন নীতিমালায় পণ্যবাহী ট্রাকের চাকা অনুপাতে আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন নির্ধারনের প্রতিবাদে বেনাপোল বন্দরে তিন দিন ধরে অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক খালাস বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে সরকার যেমন রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তেমনি আটকে থাকা পণ্য পঁচে লোকসানের আশঙ্কা বাড়ছে ব্যবসায়ীদের।

এদিকে এনবিআরের নতুন নির্দেশনায় বড় ধরনেরত অর্থনৈতিক ক্ষতি ও দেশের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার শঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষোভ জানিয়ে আইন বাতিলের দাবিতে ইতিমধ্যে বিক্ষোভ করেছেন তারা। তবে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে এনিবিআরের আদেশ তারা পালন করছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি নিয়ে রোববার আলোচনায় বসবে কাস্টমস।

বন্দর সূত্রে জানায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি হয় তার বড় একটি অংশ ফল, মাছ ও সবজি জাতীয় পণ্য। সাধারণত পণ্যের পরিমাপ ও সংখ্যার উপর ভিত্তি করে আমদানি শুল্ককর আদায় করা হয়ে থাকে। কিন্তু এনবিআর ফল, সবজি ও মাছের ক্ষেত্রে কয় চাকার ট্রাকের পণ্য আসছে তার উপর ভিত্তি করে পণ্যের শুল্ককর আদায় করে। গত ২৩ জুন আবার নতুন করে ট্রাকের চাকা অনুপাতে পণ্যের ওজন বাড়িয়ে শুল্ককর নির্ধারণ করে চিঠি দেয় এনবিআর। এতে প্রতি ট্রাকে অতিরিক্ত ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা গুনতে হয়। এতে লোকসানে পড়ে পণ্য খালাস বন্ধ রাখে। এছাড়া নতুন করে চাপিয়ে দেওয়া শুল্ককর প্রত্যাহারে কাস্টমসে সামনে বিক্ষোভ করে। তবে কোন সমাধান না হওয়ায় পণ্য চালান আটকে গরমে নষ্ট হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ এনিয়মে পণ্য আমদানি যেমন কমবে তেমনি সরকার রাজস্বও হারাবে।

আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে শতাধিক ট্রাক মাছ, ফল ও সবজি জাতীয় পণ্য আমদানি হয়। খালাস বন্ধ থাকায় ৩ দিনে সরকারের ৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে।

তিনি আরও বলেন, এনবিআরের নির্দেশনা পত্রে বলা হয়েছে, ৬ চাকার ট্রাকে কমলা, মালটার জন্য বাধ্যতামূলক ১৮ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১০ চাকার ট্রাকের থাকা পণ্যের ২০ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১৬ বা তার অধিক চাকার গাড়িতে থাকা পণ্যের ২৬ টনের শুল্ককর দিতে হবে। এছাড়া ৬ চাকার ট্রাকে থাকা আঙুরের জন্য ১৯ টনের শুল্ককর দিতে হবে।

৬ চাকার ট্রাকে থাকা আনারের জন্য ২৩ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১০ চাকার ট্রাকের থাকা পণ্যের ২৬ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১২ চাকার ট্রাকে থাকা পণ্যের জন্য ২৭ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১৪ চাকার ক্ষেত্রে ২৮ টনের এবং ১৬ বা তার অধিক চাকার গাড়িতে থাকা পণ্যের ২৯ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ৬ চাকার ট্রাকে থাকা আফেলের জন্য ২১ টনের শুল্ককর । ১০ চাকার ট্রাকের ২২ টনের শুল্ককর । ১২ চাকার ট্রাকে থাকা পণ্যের জন্য ২৩ টনের ডিউটি দিতে হবে। ১৪ চাকার ক্ষেত্রে ২৫ টনের ডিউটি এবং ১৬ বা তার অধিক চাকার গাড়িতে থাকা পণ্যের ২৬ টনের শুল্ককর দিতে হবে।

এছাড়া ৬ চাকার ট্রাকে থাকা হিমায়িত মাছের জন্য ৬ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১০ চাকার ট্রাকের ১০ টনের শুল্ককর । ১২ চাকার ট্রাকের ১৩ টনের শুল্ককর। ১৪ চাকার ক্ষেত্রে ১৮ টনের ডিউটি এবং ১৬ বা তার অধিক চাকার গাড়িতে থাকা পণ্যের ২০ টনের শুল্ককর দিতে হবে।
বরফ ছাড়া মাছের ৬ চাকার ট্রাকের ১৫ টনের শুল্ককর দিতে হবে। ১০ চাকার ট্রাকের ১৮ টনের শুল্ককর। ১২ চাকার ট্রাকের ২০ টনের শুল্ককর। ১৪ চাকার ক্ষেত্রে ২১ টনের এবং ১৬ বা তার অধিক চাকার গাড়িতে থাকা পণ্যের ২২ টনের শুল্ককর দিতে হবে।

বন্দরে মাছ নিয়ে আটকে থাকা ট্রাক চালক মহিদুর রহমান জানান, কাস্টমস ছাড়পত্র না দেওয়ায় ৩ দিন আটকে থেকে পণ্য নষ্ট হচ্ছে। একই কথা জানান সবজি বহনকারি ভারতীয় ট্রাক চালক উত্তম ।

আমদানি-রফতানিকারক উজ্বল বিশ্বাস জানান, এনবিআর নির্দেশনায় বলেছে কোন পণ্যবাহী ট্রাকে পণ্যের ওজন কমবেশি হলে তা শতভাগ ওজন করে খালাস দেওয়া যাবে। তবে কাস্টমস এনবিআরের ৪ নম্বর শর্ত মানছেনা। ফলে পণ্য খালাস নেওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে।

আমদানিকারক আবুল হোসেন জানান, এনবিআরের নতুন নিয়মে পণ্যের শুল্কায়ন হলে যেমন আমদানি কমে যাবে তেমনি ফল, মাছ ও সবজির বাজার চড়া হবে। ৩ দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় কেবল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েনি। এতে আমদানি কমায় সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান জানান, এনবিআরের নতুন আদেশ তারা কার্যকর করছেন। তবে কয়েকজন আমদানিকারক তারা অভিযোগ জানিয়ে পণ্য খালাস নিচ্ছেনা। আবার কেউ খালাস নিয়েছেন। তবে যারা পণ্য খালাস নেয়নি তাদের বিষয়ে রোববার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন জানান।

নীলফামারীতে পুলিশের অভিযানে ৪ অনলাইন জুয়ারি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অনলাইনে থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারণার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল। এর আগে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পানিয়ালপুকুর কাচারি বাজার এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মাহমুদুল ইসলাম ( ১৯), কালিকাপুর চৌধুরী পাড়ার জালালুল ইসলামের ছেলে আলী হোসেন (২০), মুশরুত পানিয়াল পুকুর বেলতলী এলাকার সানি ইসলাম (১৯) ও ওই এলাকার চেয়ারম্যান পাড়ার রাজু আহমেদ (২১)।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা অনলাইনে থাই জুয়া ও ভিসা প্রতারণার সাথে জড়িত ছিলেন। প্রবাসীদের সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে কোটি টাকা হাতিয়েছেন। এ জুয়ারিরা অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে ওসি আরও বলেন, অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

নওগাঁয় অটোরিকশার ধাক্কায় প্রাণ গেল মাদ্রাসা শিক্ষকের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
আনোয়ার হোসেন (৫৭)/ছবি: সংগৃহীত

আনোয়ার হোসেন (৫৭)/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর মহাদেবপুরে রাস্তা পারাপারের সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আনোয়ার হোসেন (৫৭) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১ জুলাই) দুপুরের দিকে মহাদেবপুরে উপজেলার বালুকাপাড়া মন্ডবতলী নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন উপজেলা সদরের দুলালপাড়ার বাসিন্দা ও সারতা নোমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে মাদ্রাসা শিক্ষক আনোয়ার বাড়ির অদূরে বালুকাপাড়া মন্ডবতলীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে রাস্তার মধ্যেই মারা যান তিনি।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন- সড়ক দুর্ঘটনায় মাদ্রাসা সুপার আহত হয়েছিলেন, পরে শুনি মারা গেছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;

বৃষ্টি থাকছে আরও ৫ দিন, চট্টগ্রাম-সিলেটে ভূমিধসের সতর্কতা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃষ্টি থাকছে আরও ৫ দিন, চট্টগ্রাম-সিলেটে ভূমিধ্বসের সতর্কতা

বৃষ্টি থাকছে আরও ৫ দিন, চট্টগ্রাম-সিলেটে ভূমিধ্বসের সতর্কতা

  • Font increase
  • Font Decrease

আষাঢ়ের মাঝামাঝিতে সময়। সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সোমবার বৃষ্টি আরও বেড়েছে। মৌসুমি বায়ুর চাপে আগামী পাঁচদিন সারা দেশে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ পাঁচদিনই কেবল নয়, পুরো জুলাই মাসজুড়ে বৃষ্টি থাকতে পারে। এসময় বৃষ্টির জন্য দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা নিচে নেমে আসতে পারে।

সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আগামী ৪৮ ঘণ্টার এক পূর্বাভাসে জানানো হয়, আগামী কয়েক দিন সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে দেশের উত্তরাঞ্চলে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

ফলে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এটা আসলে বর্ষাকালের মৌসুমি বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরসহ বাংলাদেশের আশেপাশে প্রচুর মেঘ জমা হয়েছে, এ মেঘ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত থেমে থেমে এ বৃষ্টি হতে পারে। মাসজুড়ে বৃষ্টির এ প্রবণতা থাকবে। এই সময়ে হালকা বাতাস বইতে পারে, তবে ঝড় বা বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বর্তমানে টানা বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রাও অনেকটা কমে স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও খুব একটা পরিবর্তন আসবে না।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে দমকা হাওয়া বাড়ছে। ফলে দেশের সব নদীবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানে উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, গতকাল ও আজকের বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমতে দেখা গেছে। টানা বৃষ্টির কারণে সিলেট অঞ্চলে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বসের সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ঢাকায় ৪৩ মিলিমিটার এবং বান্দরবানে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত শনিবার পঞ্চগড়ে ১০৮ মিলিমিটার ও রোববার ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ১০০ মিলিমিটারসহ টাঙ্গাইল বাদে দেশের সব জেলায় বৃষ্টি হয়েছে।

;

পদ্মা সেতু পরিচালনায় হচ্ছে কোম্পানি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পদ্মা সেতু/ছবি: সংগৃহীত

পদ্মা সেতু/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ, টোল আদায় ও তদারকির জন্য আলাদা একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি হবে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি, পিএলসি’ শীর্ষক আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী এই কোম্পানি গঠন করা হচ্ছে। এই বোর্ডে থাকবেন ১৪ জন। তারা জনবল কাঠামো ঠিক করবেন। বোর্ডে সেতু বিভাগ, অর্থ বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা থাকবেন।

বর্তমানে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে ও চীনের মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পরিচালনা করছে। পাঁচ বছরের জন্য তাদের ৬৯৩ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা সেতু বিভাগের হয়ে টোল আদায়, সেতুর দুই প্রান্তে ওজন মাপার যন্ত্র বসানো, সেতুতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও আনুষঙ্গিক মেরামতের দায়িত্বে রয়েছে।

পদ্মা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কবে নাগাদ কোম্পানির অধীন যাবে—এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চীনের কোম্পানির চুক্তি শেষ হওয়ার পর এই কোম্পানি কাজ করবে।

;