খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকির মধ্যেও বসবাস করছে হাজারের বেশি পরিবার। গতকাল রোববার (৩০ জুন) রাত থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হলে সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে।

এদিন দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরের শালবন, কুমিল্লাটিলা, সবুজবাগ ও মোহাম্মদপুরে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে যান। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করা হয়।

এদিকে বিকেল ৪টার দিকে শালবনে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম জানান, খাগড়াছড়ি পৌর শহরের দশটিসহ জেলা সদরের পাহাড় ধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এবং বন্যা কবলিত এলাকার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকাল থেকে বৃষ্টি কম হওয়ায় কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে চাচ্ছে না।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম জানান, বৃষ্টি শুরুর পর থেকে শালবনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। দুইটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা বলে কেউ যাচ্ছেনা।

এদিকে, পাহাড় ধসে খাগড়াছড়ির ৯ উপজেলায় কত পরিবার ঝুঁকিতে আছে তার প্রকৃত কোনো তথ্য নেই স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তবে এ সংখ্যা হাজারের উপরে বলে দাবি স্থানীয় পরিবেশবীদদের।

খাগড়াছড়ি পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০১৭ সালে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানী হলেও সচেতনতা বাড়েনি। এখনও মানুষ পাহাড় কেটে বসতি গড়ছে। স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর হতে হবে। না হয় অদূর ভবিষ্যতে এখানে ভয়াবহ বিপর্যয় নেবে আসবে।

এছড়া গতকার রাত থেকে ভারি বর্ষণে খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক সড়কের মহালছড়ি ২৪ মাইল এলাকায় সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে এ সড়ক ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়েন। তবে বিকেল ৩টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

হিমাগারে ৩ লাখ ডিম মজুত, ৬ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল নিউ হাটখোলা এলাকার একটি হিমাগারে ডিম মজুত করার অভিযোগে ৬ ব্যবসায়ীকে ৩০ হাজার টাকা এবং লাইসেন্স না থাকায় হিমাগারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসনের যৌথ টিম।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র জানিয়েছেন, বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে ভোক্তা অধিকার হিমাগারে অভিযান চালান। এ সময় সেখানে হাঁসের ডিম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের মুরগির প্রায় ৩ লাখ ডিম মজুত পান। এরপর ডিম মজুতকারী ছয় ব্যবসায়ীকে খবর দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা এবং মজুত হাঁসের ডিম ৭ দিনের মধ্যে এবং মুরগির ডিম ৩ দিনের মধ্যে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়।


এ ছাড়া হিমাগারের লাইসেন্স না থাকায় জেলা প্রশাসনের টিম ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহণের নির্দেশ দেন। অন্যথায় প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করা হবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট।

ডিম ব্যবসায়ী মো. আলামিন জানিয়েছেন, তারা ডিম ভালো রাখার জন্য হিমাগারে রেখেছিলেন। কোনও কালোবাজারি কিংবা মজুত করার উদ্দেশ্যে রাখেননি। এখন যে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ওই সময়ের মধ্যে ডিম বিক্রি করা সম্ভব নয়। বিশেষ করে হাঁসের ডিম কোনোভাবেই ওই সময়ের মধ্যে বিক্রি হবে না। তাতে করে হিমাগার থেকে বের করা হলে ডিমগুলো পঁচে যাবে। এতে তাদের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

তিনি আরও জানান, ডিমের দাম বাড়ায় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর ব্যবসায়ীরা। কারণ, সেখান থেকেই বেশির ভাগ ডিম পাইকারি আনা হয়। আনার পর তারা পাইকারি বিক্রির দাম কমিয়ে দিলে তাদের বিপাকে পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে তাদের সঙ্গে ছলচাতুরি করছে বলে অভিযোগ করেন এই ব্যবসায়ী।

;

কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল জাবি, ২ ঘণ্টা ধরে অচল ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখাসহ ৪ দফা দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উত্তরদিকে চন্দ্রা ও দক্ষিণ দিকে আমিনবাজার পর্যন্ত তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে সংশপ্তক ভাস্কর্যের পাদদেশে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এসে অবস্থান নেয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের "বায়ান্নোর হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার; একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে ওঠো আরেকবার; সারাবাংলা খবর দে, কোটা প্রথা কবর দে; কোটা প্রথা বাতিল চাই মেধা ছাড়া চাকরি নাই; মেধাবীদের মেরে ফেলেন নয়তো কোটা বাতিল করেন; নিপাত যাক, নিপাত যাক, কোটা প্রথা নিপাত যাক; বৈষম্যের ঠাই নাই লাখো শহীদের বাংলায়; মেধা নাকি কোটা? মেধা, মেধা; মানতে হবে মানতে হবে, আমাদের দাবি মানতে হবে; জেগেছে রে জেগেছে, জাবি জেগেছে-লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে; মেধাবীদের কান্না আর না, আর না" ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত ৪ দফা দাবিসমূহ হচ্ছে- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসময় তীব্র যানজটে ঢাকা-১৯ আসনের সাংসদ সাইফুল ইসলামের গাড়ি আটকা পড়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি থেকে নেমে তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পায়ে হেটে যেতে লক্ষ্য করা গেছে।

উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতে আন্দোলনকে বেগবান করতে বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।

;

টয়লেটের পাশে পড়েছিল জীবিত নবজাতক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টয়লেটের পাশে পড়েছিল জীবিত নবজাতক

টয়লেটের পাশে পড়েছিল জীবিত নবজাতক

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার একটি বাড়ির টয়লেটের পাশ থেকে জীবিত নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৩টার দিকে উপজেলার কাশিল মধ্য পাড়া গ্রামের প্রবাসী সাত্তার মিয়ার বাড়ি থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, কাশিল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সাত্তার মিয়ার বাড়িতে আনুমানিক রাত ৩টার দিকে নবজাতক শিশুটিকে কে বা কারা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে সাত্তার মিয়ার স্ত্রী নিলুফা বেগম কান্নার শব্দ পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে।

নিলুফা বেগম বলেন, রাতে প্রাকৃতির ডাকে সাড়ে দিয়ে যখন টিউবওয়েলের কাছে যাই তখন কান্না শব্দ পাই, এরপর ভয় পেয়ে ঘরের ভিতর গেলে আমার সন্তান ও ভাগনি এবং ছেলের বউকে ডেকে আনি। আমার বড় ভাসুরকেও ডেকে আনি। এরপর লাঠি হাতে সামনে আগালে দেখি একটি ওড়না পিঁপড়ায় জড়িয়ে আছে। লাঠি দিয়ে ওড়না সরাতেই দেখি নবজাতক। পরে শিশুটিকে গোসল করাই। সরকারের কাছে দাবি শিশুটিকে লালন পালন করার জন্য আমাকে যেন দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কাশিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমজান মিয়া বলেন, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় ফোন দিয়েছি। তিনি সমাজসেবা অফিসের সাথে কথা বলেছেন। ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে বলেছে।

বাসাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু হানিফ সরকার বলেন, বাচ্চাটির চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাচ্ছি। তারপর আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা তদন্ত করে দেখছি কে বা কারা শিশুটিকে এভাবে ফেলে রেখে চলে গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরুখ খান বলেন, নবজাতকটিকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়েপাঠানো হবে। শিশুটির চিকিৎসার প্রয়োজন। জেলা প্রশাসক নবজাতকটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

;

আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: বার্তা২৪.কম

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ইসলামি আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে তিনি একথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের সবাইকে একত্র হয়ে দেশকে রক্ষা করতে হবে। এ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা মানুষের কল্যাণ হবে, এরকম একটা রাষ্ট্র চাই।

মান্না আরও বলেন, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ভারতের পেটে চলে যাচ্ছে। আমরা তিস্তার পানি চাইলেও শেখ হাসিনা কিন্তু তিস্তার পানি চান না। ভারতের কাছে তিস্তার পানির কথা বলা হলে তারা বলেছে, ‘আমরা তিস্তা প্রকল্প গিয়ে দেখব’।

১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দেশ এখন অনেক বড় সংকটের মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে আছে। আজ ভারত ট্রানজিটের নামে যে করিডোর নিয়ে যাচ্ছে এটা পুরো দেশের মানুষ এখন জানে।

ইসলামি আন্দোলনের নায়েবা আমীর ফয়জুল করিম বলেন, যেকোনো অবস্থাতে ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের বুকে চলতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকার মূলত ভারতের সরকার। আজকে সরকার দেশকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছে। সরকার ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি গুলো করেছে সেগুলো বাতিল করতে হবে।

;