বরেন্দ্রর মেঠোপথে বর্ষার ছোঁয়া, কৃষকের মুখে হাসি



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
বরেন্দ্রর মেঠোপথে বর্ষার ছোঁয়া, ছবি: বার্তা২৪.কম

বরেন্দ্রর মেঠোপথে বর্ষার ছোঁয়া, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আষাঢ় মাসের তৃতীয় সপ্তাহের প্রথম প্রান্তে ছিল ভ্যাপসা গরম ও রোদের দাপট। আষাঢ়ের মাস হলেও অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে রাজশাহী অঞ্চলের আউশ ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছিল। ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। চারা রোপণ করে কৃষকেরা পড়েছিলেন দুশ্চিন্তায়।

তবে আষাঢ়ের তৃতীয় সপ্তাহের শেষে বরেন্দ্র অঞ্চলের মেঠোপথে ঝরেছে মুসলধারে বৃষ্টি। আউশ আবাদে ফিরেছে প্রাণ। অনাবৃষ্টিতে তেঁতে ওঠা প্রকৃতিতেও এসেছে স্বস্তি।

অনেকদিনের খরার পর এই বৃষ্টি যেন কৃষকের দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছে। জমিতে জমে থাকা ধুলোর আস্তর যেন ধুয়ে মুছে একেবারে পরিষ্কার। নতুন উদ্যমে আবারও শুরু হবে আউশের আবাদ। প্রকৃতির এই বৈপরীত্যই যেন জীবনের চলমানতার চিরন্তন দিক।

এমন বর্ষণই কৃষকেরা অপেক্ষায় ছিলেন দিনের পর দিন। শস্যের চারাগুলো যেন তৃষ্ণার্ত চোখে তাকিয়ে ছিল আকাশের দিকে। সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো। মাঠে মাঠে সোনা ফলানোর স্বপ্ন আবারো জেগে উঠলো।

মেঘের ডাক, বৃষ্টির গান, এই বর্ষা যেন ধান ক্ষেতে নবজীবন এনে দিয়েছে। কৃষকের হৃদয়ে শান্তির পরশ। এক সময়ের শুষ্ক প্রান্তর এখন জলের আদরে সিক্ত। কৃষকের কষ্ট আর দুশ্চিন্তা সব ভেসে গেছে এই বৃষ্টির স্রোতে।

ধান রোপণ করছেন   

রাজশাহীর আকাশে মেঘের আনাগোনা, বর্ষার এই স্বস্তি যেন টেনে নিয়ে আসলো প্রকৃতির হারানো সজীবতা। কৃষকের মুখে এখন শুধুই হাসি, তাদের চোখে নতুন স্বপ্নের আলো। অনাবৃষ্টির সেই দিনগুলো যেন এখন শুধুই অতীতের গল্প।

এভাবেই আষাঢ়ের বর্ষণমুখর প্রান্তর জানান দিল, প্রকৃতির চিরন্তন নিয়মে সব কিছুই আবার ঠিক হয়ে যাবে। কৃষকের হৃদয়ে তাই এখন শুধুই আনন্দের সুর। এই বৃষ্টি তাদের নিয়ে এসেছে নতুন জীবনের বার্তা।

গ্রীষ্মের গনগনে তাপে যখন প্রান্তরের মাটি ফেটে চৌচির, তখন বর্ষার প্রথম কদম ফুলের মতোই প্রত্যাশিত এই বৃষ্টি। শস্যক্ষেতের ক্লান্ত মাটিতে স্বস্তির বারিধারা। কৃষকের মুখে ফুটে ওঠা হাসি যেন প্রকৃতিরই প্রতিফলন। মহামারির পর এক ধরনের মনোবলেই যখন দাঁড় করিয়েছে কৃষক, তখন প্রকৃতির এমন অনুকূলতায় তাদের প্রাণে ফিরে এসেছে নতুন আশা।

কৃষকেরা বলছেন, দুই মাস ধরে ধানচাষ শুরু হলেও পানির অভাবে মাঠ-ঘাট খাঁখাঁ করছিলো। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অর্ধেক জমিতে আউশের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। রোপণ করা আউশ আবাদও রোদে পুড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তবে এই আশীর্বাদের বৃষ্টি ফসলের ক্ষতি থেকে বাঁচিয়েছে।

পবা উপজেলার কৃষক মুখলেশ আলি বলেন, বর্ষা মৌসুম হলেও বৃষ্টি যেন অভিমান করে রয়েছে। আউশ ও আমন ধান চাষের জন্য বৃষ্টিই ভরসা। সেচ ছাড়াই সাধারণত জমি সবুজে ভরে ওঠে। কিন্তু এবার জমিতে চারা রোপণ করতেই সেচ দিতে হচ্ছে, রোপণ করার পরও সেচ দিতে হচ্ছে। এতে ব্যয়ের বোঝা আরও বেড়ে যাচ্ছে। আশেপাশের কিছু জমিতে ধান রোপণ করে অনেকে বিপাকে পড়েছেন। তাই বৃষ্টির জন্য প্রতীক্ষায় ছিলাম। বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। কাল থেকেই ধান রোপণের কাজ শুরু করবো।

তানোর উপজেলার কৃষক আব্দুল বারি বলেন, বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলাম দীর্ঘদিন। জমিতে পানি না থাকায় আউশ ও আমন ধান চাষে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। বৃষ্টির অভাবে চারা রোপণ করতেও বাধ্য হচ্ছিলাম সেচের পানি ব্যবহার করতে, যা বাড়তি খরচের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। চারপাশের জমিতে ধান রোপণ করেও অনেকে বিপাকে পড়েছিলেন। রোববারের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে, আবার নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে।


গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষক মোতাল্লেব হোসেন বলেন, এই মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়ায় আমাদের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না। আউশ ও আমন ধান চাষে বৃষ্টির পানি ভরসা, কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে সেচের পানি দিয়ে চারা রোপণ করতে হচ্ছিল। এতে খরচও বেড়ে যাচ্ছিল। আশেপাশের অনেক কৃষকও এই একই সমস্যায় ভুগছিলেন। 

গত শনিবার থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। শনিবার (২৯ জুন) ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। রোববার ৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সোমবার রাজশাহীতে ৩৩মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে রাজশাহী আবহাওয়া অফিস।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, এবছর বেশ কয়েকদিন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হলেও রাজশাহীতে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। আষাঢ় মাসে দেখা মিললেও ছিলো না কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির। তবে শেষ পর্যন্ত মৌসুমি বায়ু প্রবেশের কারণে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো আজ রাজশাহীতেও বৃষ্টি হয়েছে। এখনও বৃষ্টির আভাস আছে, রাতেও বৃষ্টি হতে পারে। আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫০ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গত দুই মাসে মাত্র ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে, আগামী এক মাসের মধ্যে শুরু হবে আমন ধান চাষ। কিন্তু রাজশাহীতে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ধানের বীজতলাও প্রস্তুতেও শঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা বলেন, রাজশাহীতে এবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কম। ফলে বৃষ্টির অভাবে মাঠ-ঘাট শুকিয়ে চৌচির হয়ে যাওয়ায় ধানচাষ ব্যাহত হচ্ছিলো। তবে রোববারের মুসলধারের বৃষ্টি অন্য ফসল তো বটেই, বিশেষ করে আউশ-আমনের জন্য আশীর্বাদের।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬১ জন আক্রান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬১ জন আক্রান্ত

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬১ জন আক্রান্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৮১২ জনে। এ সময় কারো মৃত্যু হয়নি।

বুধবার (৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২৬ জন আর ঢাকার বাইরের বাসিন্দা ৩৫ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ আর ২৫ জন নারী।

২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৬ জন। আর চলতি বছর সুস্থ হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫২৯ জন।

;

দেশের অধিকাংশ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থা সম্পর্কে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে দিনাজপুরে সর্বোচ্চ ১২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ভোলায় ৩৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এদিকে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বান্দরবানে ২৩ দশমক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

;

রামেবিতে নার্সিং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরই পরীক্ষার নোটিশ প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদে সৃষ্ট সেশনজট নিরসনের দাবিতে ‘কাফনের কাপড়’ পরে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (৩ জুলাই) রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সামনে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এসময় বৃষ্টি শুরু হলেও সেখানে অবস্থান নিয়ে দাবি আদায়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামেবি ও পরীক্ষা গ্রহণ কমিটির উদাসীনতার কারণে ১৮টি নার্সিং কলেজে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ সেশনজট। কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চললে ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের শিক্ষার্থীরা চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেজিস্টার্ড নার্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু সেশনজটের কারণে সেটি আর হচ্ছে না। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ করলেও ৬ মাস পিছিয়ে থেকে তাদের কোর্স সম্পন্ন হবে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং অনুষদে সেশনজট নিরসন হয়ে ইতোমধ্যে পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, স্যারেরা শুধু করোনার দোহাই দেন। কিন্তু করোনা তো সারাদেশেই ছিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে পরীক্ষা নেয়া গেলে রামেবিতে কেন নেয়া যাবে না? আমরা যখন আসি, মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করা হয়, কিন্তু বাস্তবে সেটির প্রতিফলন হয় না। আমরা ওয়েবসাইটে পরীক্ষার রুটিন দেখতে চাই এবং সেপ্টেম্বর মাসের ভেতরে পরীক্ষা গ্রহণ করে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।

এ দিনের অনশন কর্মসূচিতে রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজসহ রামেবি অধিভুক্ত অন্যান্য বেসরকারি নার্সিং কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

তবে অনশনের খবর পেয়ে প্রথমে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডা. আনোয়ার হাবিব এবং পরবর্তীতে উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. মোস্তাক হোসেন শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। এ সময় তারা শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডা. আনোয়ার হাবিব বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করবো।’

এ সময় উপাচার্য প্রফেসর ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, ‘যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া ও রেজাল্ট দেয়া যায়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’

অবশ্য এর পরপরই রামেবির ওয়েবসাইটে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ডা. আনোয়ার হাবিব স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘২০২৩ সালের বিএসসি-ইন-নার্সিং (বেসিক) ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষা আগামী ৭ সেপ্টেম্বর-২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা গ্রহণ শেষে সম্ভাব্য অক্টোবর-২০২৪ এর ১ম সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। ফরম পূরণের সময়সূচি পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।’

;

বান্দরবানে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ২ শিক্ষক কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, ছবি: বার্তা২৪.কম

বান্দরবান জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের আলীকদমে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই শিক্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তারা হলেন আলীকদম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম (৪৮) ও সহকারী শিক্ষক বাবলুর রহমান ওরফে জোবাইর (৩৩)।

বুধবার (৩ জুলাই) বান্দরবান জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক এ.এস.এম এমরান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দুই শিক্ষককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আলীকদম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম (৪৮) বরিশাল জেলার কাসেম আলী বেপারীর ছেলে এবং একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবলুর রহমান ওরফে জোবাইর (৩৩) যশোর জেলার কেশবপুর থানার সাগরদাড়ি গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে স্কুলে যাওয়ার পর সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে প্রধান শিক্ষক ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডেকে স্কুলের পাশে তার থাকার ঘরে নিয়ে যান। পরে রুম পরিষ্কার করতে বলেন। খাবারের ডেকচি ও বড় বাটি পরিষ্কার করার একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম ভুক্তভোগী ছাত্রীর পেছনে এসে তাকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরেন এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ স্পর্শ করতে থাকেন। বাধা দিলে তিনি বিয়ে করবেন বলে বারবার প্রতিশ্রুতি দিতে থাকেন। এ ঘটনার পরেও ভুক্তভোগী ছাত্রী স্কুলে গেলে তাকে খারাপ ইশারা ও ইঙ্গিত করতেন প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম। এছাড়া মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দিলে সে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন হুমকি ও টিসি দেওয়ার ভয় দেখাতেন।

অপরদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাইকে বিভিন্ন অশালীন কথাবার্তা ও হুমকি দেওয়ায় সহকারী শিক্ষক বাবলুর রহমান ওরফে জোবাইরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।

পরে ঘটে যাওয়া বিষয়টি জানাজানি হবে বুঝতে পেরে সুকৌশলে ওই ছাত্রীকে গত ৮ জুন স্কুল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দিয়ে স্কুল হতে বের করে দেন। ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়ার কারণে বাবা-মা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়টি খুলে বলেন ওই ভুক্তভোগী ছাত্রী। এরপর বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে থানায় এসে এজাহার দায়ের করেন মেয়েটির বাবা-মা।

আলীকদম থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) খন্দকার তবিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু হয়েছে এবং শিক্ষকদের আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;