শিক্ষকদের আন্দোলন: ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে যা জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রত্যয় স্কিম

প্রত্যয় স্কিম

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু করে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনয়নের লক্ষ্যে অন্যান্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে।

বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন।

সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতা বহির্ভূত থাকায় সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে।

প্রত্যয় স্কিমের যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়েছে

>> গত অর্থবছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত যে সব শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সব পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

>> বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ফান্ডের ডিফাইন্ড কন্টিবিউটরি সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা যা কম হবে তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

>> আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে ফান্ডেড কন্টিবিটরি পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।

>> নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এবং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

>> কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেক্ষেত্রে তার বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবলমাত্র তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

>> সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।

>> লাম্পগ্রান্ট ও পিআরএল অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয় বিধায় ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।

>> কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েকগুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কাটা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তার নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তার মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তার জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনে যাবার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তার জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।

>> বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তার স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাবার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এক্ষেত্রে তার স্পাউজ বা নমিনি আরো ১০ বছর পেনশন পাবেন।

রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ নারী গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
মাদক চোরাকারবারি বিথি বেগম

মাদক চোরাকারবারি বিথি বেগম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ বিথি বেগম (৪৪) নামের এক মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান খান।

গ্রেফতার বিথি বেগম গোয়ালন্দঘাট থানার নুর নবীর মেয়ে।

ওসি মনিরুজ্জামান খান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এসআই মো. হাসানুর রহমানের নেতৃত্বে আজ সকালে একটি টিম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন উত্তর দৌলতদিয়া সাকিনস্থ (পোড়াভিটা) আরিফ কাজীর বাড়ির সামনে হেরোইন বিক্রয়কালে মাদক চোরাকারবারি বিথি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। উদ্ধারকৃত হেরোইনের ওজন চার দশমিক পাঁচ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা।

গ্রেফতার বিথি বেগমের বিরুদ্ধে পূর্বে আরও ২টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি। এ ঘটনায় রাজবাড়ী গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: বার্তা২৪.কম

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকের ওপর ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলায় ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারছে না। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার দেয় না। মানুষ ভোট দিতে পারে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। সরকার মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন চালাচ্ছে। জয়নুল আবেদীন ফারুকের ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে সেটির আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতাকে বিকিয়ে দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, সরকার ট্রানজিট দেয়নি, সরাসরি করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে আসবে, এই ট্রেন মাল ট্রেনও হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে কী থাকবে আমরা সেটা জানি না। যদি কোনো দেশ মনে করে এই মাল গাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে এবং তারা যদি বলে আমরা এই ট্রেনকে বাধা দেব তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশকে আপনারা ( আওয়ামী সরকার) একদিকে ভারত এবং চীনের যে সমস্যা চলছে তার জায়গা তৈরি করেছেন। ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকমভাবে স্যাটেলাইট সৃষ্টি করা হয়েছে আমার দেশের সমস্ত মধ্যকার গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। ভারতের সাথে যে সমঝোতা স্মারক করা হয়েছে এগুলো তাড়াতাড়ি বাতিল করেন তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরো অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তারা এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথমে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্টিয়াগা ওচোয়া ডি শিঞ্চেত্রু সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার বিন আব্দুল করিম আল-বুলুশির সৌজন্যে সাক্ষাৎ

তারপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার বিন আব্দুল করিম আল-বুলুশির সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

;

বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বেনজীরের সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন

বেনজীরের সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম সম্পত্তি জিম্মায় নেওয়ার পর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে বাগানবাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজীর আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।

স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া পার্বত্য এলাকায় অন্য কারও জমি কেনার বিধান না থাকায় শুধুমাত্র নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে এসব জমি ক্রয় করেছেন বেনজীর আহমেদ। রেজিস্ট্রি না করায় জেলা প্রশাসনের কাছে সেসব জায়গার কোনো দলিল নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নামমাত্র মূল্যে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বেনজীর দখলে নিয়েছেন এসব জায়গা। সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝের পাড়া এলাকায় স্ত্রী জীশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা ও নিজ নামে বেনজীর কিনেছেন ২৫ একর জমি। সে জমির ওপর গড়ে তুলেছেন মৎস্য ঘের, গরুর খামারসহ আলিশান বাগান বাড়ি। যাতায়াতের জন্য করা হয়েছে রাস্তা। আশপাশে কোনো জনবসতি না থাকলেও বেনজীরের জায়গায় দেখা যায় বিদ্যুতের সংযোগ। আর অবকাশ যাপনের জন্য করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোতলা বাড়ি। শুধু তাই নয়, জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় বেনজীর কিনেছেন ২৫ একরের ৪টি লিজ করা পাহাড়ি প্লট।

উল্লেখ্য, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলে। বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ এক ও লামায় প্রায় ১০০ একর সম্পত্তির রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।

;