মেয়ের পরকীয়ার বলি মা

১৩ বছর পর সেলিনা খান মজলিস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন পিবিআই’র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত  সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুমদার, ছবি: বার্তা২৪.কম

হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে বনজ কুমার মজুমদার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন সম্পর্কের জেরে মাঝে মধ্যেই প্রাক্তন সাংসদ খান মজলিসের বাড়িতে যাতায়াত করতেন আসামি সুবল কুমার রায়। যাতায়াতের এক পর্যায়ে ভিকটিম সেলিনা খান মজলিসের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিসের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন আসামি সুবল। ঘটনা জানাজানি হলে ওই বাড়িতে আসামি সুবলের যাতায়াত বন্ধ করে দেন ভিকটিম সেলিনা খান মজলিস।

এর পরেও অভ্যন্তরীণভাবে তাদের যোগাযোগ এবং যাতায়াত চলতে থাকলে মা সেলিনা খান মজলিস দেখে ফেলেন এবং এবং চিৎকার চেঁচামেচি করলে মাকে থামাতে ছুরিকাঘাত করেন মেয়ে শামীমা খান মজলিস। এরপর মা জীবিত থাকলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুবলের সহায়তায় মাথায় ইলেকট্রিক শকের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় মৃত্যু।

১৩ বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রহস্য উদঘাটনের এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে আয়োজিত সাভারের সাবেক এমপির শামছুদ্দোহা খান-এর স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০), ভিকটিমের নিজ কন্যা শামীমা খান মজলিস ওরপে পপি (৫৭) এবং গৃহকর্মী আরতি সরকার (৬০)। সাভার থানাধীন ভাগলপুর এবং পাকিজা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন না হলে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় মামলার তদন্ত কাজ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মামলা পুনরায় পুনর্জীবিত করতে নির্দেশনা আসে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের পাশাপাশি বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের তালিকায় রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে ওই বাসায় কারা কারা আসতেন। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতেন। কিন্তু তার বহুদিন ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে সাভার থানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন। সেই সঙ্গে পাশেই তার একটি বড় মুদির দোকানও আছে।

কিন্তু আমরা তদন্তকালে জানতে পারি তার মধ্যে সুইচ বোর্ডটি ভাঙা এবং দুইটা তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে আসছিল। এরপর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায় (৫০) কে নিয়ে আসি।

আমাদের প্রাক্তন সাংসদ খান মজলিস তাকে পছন্দ করতেন তাই আসামি সুবল কুমার রায় মাঝেমধ্যে সেখানে যাতায়াত করতেন এবং বাড়ির ইলেকট্রিকের কাজ করে দিতেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সুবল কুমার রায় প্রাক্তন সাংসদের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।

আসামি সুবল কুমার রায়কে গ্রেফতারের পর আদালতের জবানবন্দমূলক স্বীকারোক্তিতে জানান, ভিকটিম সেলিমা খান মজলিস (৬৩)’র বড় মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে তিনি নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের স্বামীর সাথে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল কুমার রায় এবং শামীমা খান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এই বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে তাকে মারধর এবং অপমান করা হলে তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে আর এই বাসায় আসতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল কুমার রায় বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন।

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিস ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান সুবল চুপিচুপি তার বাড়ির দিকে আসছেন। এরপর তিনি এটা দেখে চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন আসামি সুবল এবং শামীমা খান মজলিস মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য মেয়ে শামীমা খান মজলিস তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যায়নি জীবিত আছে তখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি আসামি সুবল ইলেকট্রিক বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দুইটি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় ইলেকট্রিক শক দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ঘটনাটি ঘটে রান্না করে। কিন্তু আমরা ভিকটিমকে পেয়েছি বেডরুমে।

তিনি বলেন, জবানবন্দি থেকে জানা যায় যে, বিগত ২০০১ সালের ১৪ জুন তারিখ সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭ টার মধ্যে যেকোন সময় ভিকটিমের বড় মেয়ে শামীমা খান মজলিসের সহায়তায় ভিকটিমের বাসার ডাইনিং রুমে ভিকটিমের গলার দুই পার্শ্বে ফল কাটার ছুরি দিয়ে কেটে মেরে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রতিবন্ধী ছেলে সেতুর কক্ষে খাটের চাদরের ওপরে একটি পুরাতন পত্রিকা বিছিয়ে ভিকটিমের মাথার কাছে দুইটি বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে এবং ঘাড়ের নিচে তোষক দিয়ে শুয়াইয়ে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ নারী গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
মাদক চোরাকারবারি বিথি বেগম

মাদক চোরাকারবারি বিথি বেগম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীতে হেরোইনসহ বিথি বেগম (৪৪) নামের এক মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামান খান।

গ্রেফতার বিথি বেগম গোয়ালন্দঘাট থানার নুর নবীর মেয়ে।

ওসি মনিরুজ্জামান খান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এসআই মো. হাসানুর রহমানের নেতৃত্বে আজ সকালে একটি টিম রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানাধীন উত্তর দৌলতদিয়া সাকিনস্থ (পোড়াভিটা) আরিফ কাজীর বাড়ির সামনে হেরোইন বিক্রয়কালে মাদক চোরাকারবারি বিথি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। উদ্ধারকৃত হেরোইনের ওজন চার দশমিক পাঁচ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার টাকা।

গ্রেফতার বিথি বেগমের বিরুদ্ধে পূর্বে আরও ২টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ওসি। এ ঘটনায় রাজবাড়ী গোয়ালন্দঘাট থানায় মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না: মান্না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: বার্তা২৪.কম

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকার দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকের ওপর ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলায় ১৪ বছরেও বিচার না হওয়ায় দোষীদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারছে না। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার দেয় না। মানুষ ভোট দিতে পারে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। সরকার মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন চালাচ্ছে। জয়নুল আবেদীন ফারুকের ওপর যে নির্যাতন করা হয়েছে সেটির আজ পর্যন্ত কোনো বিচার হয়নি। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের স্বাধীনতাকে বিকিয়ে দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, সরকার ট্রানজিট দেয়নি, সরাসরি করিডোর দিয়ে দিয়েছে। ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে আসবে, এই ট্রেন মাল ট্রেনও হতে পারে। ট্রেনের মধ্যে কী থাকবে আমরা সেটা জানি না। যদি কোনো দেশ মনে করে এই মাল গাড়ির মধ্যে অস্ত্র আছে এবং তারা যদি বলে আমরা এই ট্রেনকে বাধা দেব তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশকে আপনারা ( আওয়ামী সরকার) একদিকে ভারত এবং চীনের যে সমস্যা চলছে তার জায়গা তৈরি করেছেন। ট্রানজিটের পাশাপাশি যেরকমভাবে স্যাটেলাইট সৃষ্টি করা হয়েছে আমার দেশের সমস্ত মধ্যকার গোপন তথ্য ভারতের কাছে চলে যাবে। ভারতের সাথে যে সমঝোতা স্মারক করা হয়েছে এগুলো তাড়াতাড়ি বাতিল করেন তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে।

জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আরো অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন স্পেন ও ওমানের রাষ্ট্রদূত। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে গিয়ে তারা এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথমে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্টিয়াগা ওচোয়া ডি শিঞ্চেত্রু সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার বিন আব্দুল করিম আল-বুলুশির সৌজন্যে সাক্ষাৎ

তারপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার বিন আব্দুল করিম আল-বুলুশির সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

;

বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বেনজীরের সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন

বেনজীরের সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের প্রায় ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি জিম্মায় নিলো জেলা প্রশাসন ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি টিম সম্পত্তি জিম্মায় নেওয়ার পর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে আসেন। সেই সঙ্গে বাগানবাড়িতে তালা লাগিয়ে দেন।

জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজীর আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে। এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।

স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া পার্বত্য এলাকায় অন্য কারও জমি কেনার বিধান না থাকায় শুধুমাত্র নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নামমাত্র মূল্যে এসব জমি ক্রয় করেছেন বেনজীর আহমেদ। রেজিস্ট্রি না করায় জেলা প্রশাসনের কাছে সেসব জায়গার কোনো দলিল নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নামমাত্র মূল্যে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বেনজীর দখলে নিয়েছেন এসব জায়গা। সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝের পাড়া এলাকায় স্ত্রী জীশান মির্জা, মেয়ে ফারহিন রিশতা ও নিজ নামে বেনজীর কিনেছেন ২৫ একর জমি। সে জমির ওপর গড়ে তুলেছেন মৎস্য ঘের, গরুর খামারসহ আলিশান বাগান বাড়ি। যাতায়াতের জন্য করা হয়েছে রাস্তা। আশপাশে কোনো জনবসতি না থাকলেও বেনজীরের জায়গায় দেখা যায় বিদ্যুতের সংযোগ। আর অবকাশ যাপনের জন্য করা হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোতলা বাড়ি। শুধু তাই নয়, জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় বেনজীর কিনেছেন ২৫ একরের ৪টি লিজ করা পাহাড়ি প্লট।

উল্লেখ্য, সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি দুর্নীতি দমন কমিশন খুঁজে বের করার পর বান্দরবানেও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলে। বান্দরবানের সুয়ালকে ৫০ এক ও লামায় প্রায় ১০০ একর সম্পত্তির রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। এসব সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবানের জেলা প্রশাসন।

;