পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের স্বার্থে কাজ করছে পুলিশ: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছবি: বার্তা২৪.কম

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, প্রতিনিয়ত অপরাধের বহুমাত্রিকতার কারণে অপরাধীদের অপরাধের ধরন পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুলিশ বাহিনীকেও আধুনিকায়ন করছি। অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি বাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী গৌরবের সঙ্গে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি এসব বলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র বাহিনী কুকি চিন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্মিসহ সবাই মিলে অপারেশনে নিয়োজিত আছে। সেখানে এখন কোনো ভীতিকর পরিস্থিতি নাই। শান্ত আছে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আছে।

এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পুলিশ প্রধান। এরপর বর্ণাঢ্য রেলিতে অংশ নেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া, আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ প্রমুখ।

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা সবাই টাকা ফেরত পাবে: প্রতিমন্ত্রী 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা সবাই টাকা ফেরত পাবে, ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বায়রাসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, স্মার্ট পরিকল্পনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে  আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

মালয়েশিয়া ইস্যু নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। মানুষ জানতে চায় কী হয়েছে? মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দিন আগে থেকে কাজ চলে। মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল। আবারও শুরু হয়েছে।

;

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমার ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিদ্যমান রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আশা করি, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এসব জনগণ যাতে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে মিয়ানমার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্ব পালনকালে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। উভয় দেশেরই অন্বেষণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশেরই এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিমসটেক-কে শক্তিশালী করতে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হতে চায়। এই ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুতদের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে তার দেশ কাজ করছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা তিনি তার সরকারকে জানাবেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

;

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ঈশ্বরগঞ্জের ২০০ পরিবার



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ঈশ্বরগঞ্জের ২০০ পরিবার

জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে ঈশ্বরগঞ্জের ২০০ পরিবার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বর্ষণ হলেও অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয় বিভিন্ন এলাকায় পানি সরে যায়। উল্টো চিত্র ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি ইউনিয়নের উত্তরবনগাঁও দাসপাড়া গ্রামে। এখানে বর্ষা মৌসুম শুরু হলে জলবদ্ধতায় ৩০ বছর ধরে প্রায় ২শ পরিবার বন্দী অবস্থায় বসবাস করে।

স্থানীয়রা জানান, দুইটি ইটভাটার কারণে পানি চলাচলের কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় পানি নিস্কাশন হতে পারে না। ফলে বর্ষার মধ্যে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। বাসা-বাড়ি থেকে বাজারে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হলে পানি মাড়িয়ে যেতে হয়। এ কারণে বাসিন্দাদের অনেকের পায়ে ঘা হয়ে গেছে। জনপ্রতিনিধিসহ কারও সহানুভূতি না পেয়ে বাধ্য হয়ে এভাবেই বসবাস করছেন গ্রামবাসী।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ছুটির পর শিশুরা হাঁটু সমান পানি মাড়িয়ে বাড়িতে প্রবেশ করছে। অনেকে হাটবাজার করে বাড়িতে ফিরছেন জুতো হাতে নিয়ে। বাজার থেকে গ্রামে প্রবেশের রাস্তাটি হাঁটু সমান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

দাসপাড়ার অনিল চন্দ্র সূত্র ধর (৫৫) বলেন, বৃষ্টির মৌসুম এলেই আমাদের এই দুরবস্থা শুরু হয়। গত ২০-২৫ বছর ধরে আমরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। কিন্তু কেউ আমাদের খবর নেয় না।

আল-আমীন নামে এক বাসিন্দা বলেন, যে কালভার্ট দিয়ে দাসপাড়া গ্রামের পানি নিস্কাশন হতো সেটি গ্রামের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দুই ইটভাটার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। কালভার্টটি পরিষ্কার করা হলে পানি নেমে যেত। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ফলে ২০০ পরিবারের পাঁচ শতাধিক মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আর এ দুর্ভোগ কেমন হতে পারে তা কেবল ভুক্তভোগীরাই বলতে পারবেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রতি বর্ষা মৌসুমে উত্তর বনগাঁও দাসপাড়া গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। গ্রামবাসী তাকে জানালে তিনি ইটভাটার কালভার্ট খুলে দিয়ে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে দেন। এবার তাকে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। তারপরও তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানান।

আঠারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জুবের আলম রূপক বলেন, গ্রামের পাশে অবস্থিত দুটি ইটভাটার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ (কালভার্ট) বন্ধ হয়ে আছে। এ অবস্থায় পানিতে নিমজ্জিত রাস্তা উঁচু করে তৈরি করা হলেও কোনো ফল পাওয়া যাবে না। ইটভাটার মালিকরা এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেন না।

;

সচেতনতার জন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী



md.nazrul
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম/ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু ইস্যুতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে যেসব পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা সতর্ক আছি এবং সেটা অনুযায়ী আমাদের সবাই সচেতন আছে। সচেতনভাবে কাজ করছি বলে হয়ত এখন পর্যন্ত এটাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির চলতি বছরের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আশা করি আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সবাই যার যার অবস্থান থেকে যা করণীয় তা করবেন।

ঢাকায় এখন বৃষ্টি হচ্ছে, এই বৃষ্টিতে কীভাবে মশক নিধন অভিযান হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিযান চলমান আছে। অভিযানের জন্য সব প্রস্তুতি আছে। আমাদের মশক নিধন কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে এবং তারা আরো বেশি নিবিড়ভাবে করার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আছে। এখানে আলোচনা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের সব প্রস্তুতি ঠিক আছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট যেসব সংস্থাগুলো আছে, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর আগে থেকে শুরু করেছিলাম। সেটা আমাদের চলমান আছে। আজকের সভায় তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে মতামত দিয়েছেন, নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য।

তিনি বলেন, আমাদের গতবারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে তা ছিল তুলনামূলক কম। আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হয়েছি, আমাদের ঢাকা শহরের মানুষদেরকে আমরা আগের তুলনায় বেশি সচেতন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের যারা মানুষ রয়েছেন, আমাদের যারা অ্যাক্টিভিস্ট আছেন, তারাও আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন।

তিনি আরও বলেন, সবার সচেতনতার মাধ্যমে এটাকে আমরা মোকাবিলা করতে পারি। এর বিকল্প কিছুই নেই, পৃথিবীর কোথাও নেই। যেসব দেশ সফলতা অর্জন করেছে, তারা কিন্তু সব মানুষকে অংশগ্রহণ করাতে সক্ষম হয়েছে।

;