ব্রাহামার আমদানি তথ্য জানতে বিমানবন্দর কাস্টমসে অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্রাহামা প্রজাতির গরু আমদানি

ব্রাহামা প্রজাতির গরু আমদানি

  • Font increase
  • Font Decrease

বংশীয় গরু ও ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোতে কীভাবে আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা গেল, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমসে অভিযান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে এই অভিযান শুরু হয়।

এর আগে, সোমবার (১ জুলাই) অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে সাভারের সরকারি প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালায় দুদক। দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখে দুদকের সদস্যরা।

আলোচনা আছে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে জব্দ থাকা আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরুগুলো দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে নিলামে কিনে নেন বাংলাদেশি কাউবয় নামে খ্যাত ইমরান হোসেন।

গরুগুলো জবাই করে রমজানে সুলভ মূল্যে মাংস বিক্রি করার শর্তে ইমরানকে দেওয়া হয়েছিল। তবে ইমরান সুলভ মূল্যে বিক্রি না করেই গরুগুলো তার খামারে রেখে দেন। এছাড়াও নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরু কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে সংগ্রহ করে কোটি টাকা দাম হাকিয়ে বাজারে তোলেন।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে প্রকাশ্যে ইমরান এই ব্রাহমা জাতিয় নিষিদ্ধ গরু উঠিয়েছিলেন।

জানা যায়, সাদিক এগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। সদ্য শেষ হওয়া কোরবানির ঈদে তিনি আলোচনায় আসেন কোটি টাকার বংশীয় গরু ও ১৫ লাখ টাকার খাসি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মারফতে খবর বের হয় খাসিটি ১২ লাখ টাকায় মুশফিকুর রহমান ইফাত নামে এক যুবক কিনেছেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাকে নিয়ে চলে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। শেষ মুহূর্তে জানা যায় বুকিং মানি দিলেও খাসিটি নেননি ক্রেতা।

সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক ইমরান হোসেন গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি। আলোচনা আছে, মাঝারি খামারিদের প্রলোভন দেখিয়ে কোরবানির সময় গরুর দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকে। ফলে ক্রেতারা গরু কিনতে অনুৎসাহিত হয়ে পড়েন। এতে প্রান্তিক খামারিদের অনেক গরু অবিক্রিত থেকে যায়। পড়ে এই মাঝারি খামারিরা ওই গরু কিনে এনে এক বছর পর বেশি দামে বিক্রি করে।

এদিকে, ছাগলকাণ্ডে সব হারানো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংবাদমাধ্যমে একের এক মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের খবর বেরিয়ে আসতে থাকলে প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি দেশ ছেড়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর ভারত পালিয়ে গেছেন।

ইতোমধ্যে মতিউর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তিন সদস্যের একটি কমিটিও কাজ শুরু করেছে।

এর মধ্যেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন জানাল সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। তাই মনে করা হচ্ছে ভাইরাল হতে গিয়ে নিজের ফাঁদে আটকে গেল প্রতিষ্ঠানটি।

সচেতনতার জন্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী



md.nazrul
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম/ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু ইস্যুতে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা আমাদেরকে যেসব পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা সতর্ক আছি এবং সেটা অনুযায়ী আমাদের সবাই সচেতন আছে। সচেতনভাবে কাজ করছি বলে হয়ত এখন পর্যন্ত এটাকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারাদেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট অংশীজনের কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কমিটির চলতি বছরের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আশা করি আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সবাই যার যার অবস্থান থেকে যা করণীয় তা করবেন।

ঢাকায় এখন বৃষ্টি হচ্ছে, এই বৃষ্টিতে কীভাবে মশক নিধন অভিযান হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অভিযান চলমান আছে। অভিযানের জন্য সব প্রস্তুতি আছে। আমাদের মশক নিধন কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে এবং তারা আরো বেশি নিবিড়ভাবে করার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আছে। এখানে আলোচনা হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের সব প্রস্তুতি ঠিক আছে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সংশ্লিষ্ট যেসব সংস্থাগুলো আছে, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার প্রক্রিয়া বেশ কয়েক বছর আগে থেকে শুরু করেছিলাম। সেটা আমাদের চলমান আছে। আজকের সভায় তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে মতামত দিয়েছেন, নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য।

তিনি বলেন, আমাদের গতবারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও সিটি কর্পোরেশনের বিশেষ করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে তা ছিল তুলনামূলক কম। আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হয়েছি, আমাদের ঢাকা শহরের মানুষদেরকে আমরা আগের তুলনায় বেশি সচেতন করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের যারা মানুষ রয়েছেন, আমাদের যারা অ্যাক্টিভিস্ট আছেন, তারাও আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন।

তিনি আরও বলেন, সবার সচেতনতার মাধ্যমে এটাকে আমরা মোকাবিলা করতে পারি। এর বিকল্প কিছুই নেই, পৃথিবীর কোথাও নেই। যেসব দেশ সফলতা অর্জন করেছে, তারা কিন্তু সব মানুষকে অংশগ্রহণ করাতে সক্ষম হয়েছে।

;

কৃচ্ছ্রসাধন

সরকারি নতুন গাড়ি কেনা ও বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি দফতরে সব ধরনের নতুন যানবাহন ক্রয়ে আর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও সরকারের নিজস্ব অর্থে সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে এ ধরনের ভ্রমণ অত্যাবশ্যকীয় হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে বিদেশে ভ্রমণ করা যাবে।

বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় এই পরিপত্র জারি করেছে।

বলা হয়েছে, সব ধরনের থোক বরাদ্দ থেকে ব্যয় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়–সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক, অনাবাসিক বা অন্যান্য ভবন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকবে। চলমান নির্মাণকাজ ন্যূনতম ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

আরও বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো ‘টিওঅ্যান্ডই’–ভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে যেভাবে ব্যয় করা যাবে, পরিপত্রে সে বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ, পেট্রল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট, গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে; এবং সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে।

ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সব আনুষ্ঠানিকতা অনুসরণ করে অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে। এ ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের অনুকূলে ‘বিশেষ প্রয়োজনে উন্নয়ন সহায়তা’ খাতে ‘জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) বাবদ’ সংরক্ষিত এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুকূলে ‘থোক বরাদ্দ’ হিসেবে সংরক্ষিত জিওবির সম্পূর্ণ অংশ অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন নিয়ে ব্যয় করা যাবে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ও রাষ্ট্রমালিকানাধীন কোম্পানির পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ১২ মে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছিল, করোনা-পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত ভ্রমণ, কর্মশালা বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। যদিও সে বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেই নির্দেশনা শিথিল করা হয়।

;

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন নাম হচ্ছে বন্দর, নৌপথ ও সমুদ্র পরিবহন মন্ত্রণালয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে বন্দর, নৌপথ ও সমুদ্র পরিবহন মন্ত্রণালয় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।


বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সম্মেলন কক্ষে ভোমরা ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, আমরা আগে স্থলবন্দর দেখতাম। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নাম নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। তাই আমাদের স্মার্ট প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট একটি নাম ঠিক করে দিয়েছেন। তিনি এর নামকরণ করেছেন বন্দর, নৌপথ ও সমুদ্র পরিবহন মন্ত্রণালয়। যা সবকিছু কাভার করে। এটা এখন আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইস কনট্রাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বাবু, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ, সহসভাপতি এজাজ আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ হোসেন প্রমুখ।

পরে মন্ত্রীর কালিগঞ্জের বসন্তপুর নৌবন্দর পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

;

সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে: প্রতিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী  খালিদ মাহমুদ চৌধুরী/ছবি: বার্তা২৪.কম

ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে সকল স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভোমরা ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে স্থলবন্দরসমূহ আজ আরও একধাপ এগিয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে ভোমরা ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের বন্দরের ন্যায় আমাদের দেশের স্থল বন্দরসমূহও একদিন স্মার্ট বন্দরে পরিণত হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের স্থল বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরে আগেই অটোমেশন চালু করা হয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নসহ ডিজিটাল সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, স্থলবন্দরগুলোকে আধুনিক ও অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য সরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) এর অর্থায়নে প্রায় ০৯ (নয়) কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে সম্পাদিত ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশি দেশের সাথে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ স্থল বন্দ কতৃপক্ষ এবং সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ -এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লাইলা পারভীন সেঁজুতি, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, পুলিশ সুপার মো. মতিউর রহমান সিদ্দিকী, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (ভার্চুয়াল) এর পরিচালক ফিলিপ ইসলাম, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশ এর কান্ট্রিডিরেক্টর মুজিবুল হাসান।

এসময় স্থল বন্দর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের আগে ভোমরা স্থল বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম -এর উদ্বোধন করা হয়।

;