জিয়া-খালেদা-এরশাদ দেশের জন্য কিছুই আনতে পারেননি: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার ভারত সফরে দেশের জন্য কোন কিছুই আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলগুলোর কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিচুক্তি, ছিটমহল বিনিময় ও তিন বিঘা করিডোর উন্মুক্ত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও জিয়াউর রহমান কেউ এ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেননি, করেননি।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এ সব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। 

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি কিছু লোক আমার ভারত সফর নিয়ে নানান কথা তুলেছে। ১৯৮১ সালে ছয় বছর পরে দেশে ফিরে আসার পর তখন এই একই কথা শুনতে হয়েছে (ভারতের কাছে দেশ বিক্রি)। এখন জানি না কেন সেই ভাঙা রেকর্ড বাজাতে শুরু করলো।

২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারার কারণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি বলে ভোট বেশি পেলেও ২০০১ সালে সিট বেশি পাইনি। এজন্য সরকার গঠন করতে পারলাম না। কারণ আমি গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি। তো বিক্রিটা করে কে দেশকে? করে গেছে তো খালেদা জিয়া, করেছে এরশাদ সাহেব। করেছে জিয়াউর রহমান। এরাই করে গেছে, আওয়ামী লীগ করে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বাজারটাকে ভারতীয় পণ্যের বাজারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। ৪০টি পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশ অধিকার দিয়ে দেয়। ১৯৮০ সালে গ্যাস বিক্রির চুক্তিও করে আসে। ১৯৯২ সালে ভারতে গেলো খালেদা জিয়া। সেখানে যৌথ ইশতেহার ঘোষণার ১১ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপক হারে ভারতে অনুপ্রবেশ করার কথা স্বীকার করে নেয়। তারপরে পুশইন শুরু হয়েছিল। সেখানে আমাদের বহু মানুষ কষ্ট পেয়েছিল। এ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের জন্য আমরা সংসদে দাবিও করেছিলাম, কিন্তু কর্ণপাত করা হয়নি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময়কার ভারত সফরে দেশের জন্য কোনও কিছুই আনতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন সরকারপ্রধান। দলগুলোর কূটনৈতিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ভারত-বাংলাদেশের ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গার পানিচুক্তি, ছিটমহল বিনিময় ও তিন বিঘা করিডোর উন্মুক্ত হয়েছে। অথচ খালেদা জিয়া, জেনারেল এরশাদ ও জিয়াউর রহমান কেউ এ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারেননি, করেননি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। এতদিন তো গণতন্ত্র সেনানিবাসে বন্দি ছিল। সারা রাত হতো কারফিউ। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পরেই গণতান্ত্রিক অধিকার মানুষের হাতে ফিরে এসেছে। জনগণ আমাদের ভোট দিচ্ছে, আমরা জয়ী হচ্ছি। অত্যাচার-নির্যাতনের কথা শুনি। আমাদের কোন নেতা-কর্মী বাকি ছিল নির্যাতনের হাত থেকে জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে? তিনি বলেন, সবাই কথা বলছে, জনসভা করছে, মিছিল করছে, বক্তৃতা করছে। আমরা রেডিও, টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিয়েছি বেসরকারিভাবে। ইচ্ছামতো টকশো করছি। আমরা তো কারও মুখ চেপে ধরছি না, গলা চিপেও ধরছি না। যে যা পারছে, বলতে পারে বলুক। আমরা রাষ্ট্র চালাচ্ছি, জনগণের কল্যাণে কাজ করছি।

আমলাদের নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের অনেকে অনেক দোষ দেয়। কিন্তু আমি দেখেছি আশ্রয়ণ প্রকল্পের সময়ে যারা একেবারে তরুণ (কর্মকর্তা), তাদের ভেতরে যে আন্তরিকতা, তাদের কাজ করার যে আগ্রহ, সেটা সত্যিই আমাকে আশার আলো দেখায়। সবাই মন-প্রাণ ঢেলে দিয়ে কাজ করেছে। এই দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এ ধরনের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী তো দরকার। এ ধরনের অফিসার তো আমাদের দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার হারানোর কিছু নেই। পাওয়ারও কিছু নেই। আমার একটাই লক্ষ্য, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অন্ন, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেশকে উন্নত করে দেওয়া। সেটাই আমি করতে চাই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমরা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। এজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই। আমাদের নবযাত্রায় আরো সাফল্য আসুক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। বাংলাদেশের মানুষ আরো উন্নত সুন্দর জীবন পাবে।

স্মার্ট নাগরিক সমবায় উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব না: সমবায় প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

স্মার্ট নাগরিক সমবায় উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে সমবায় ভবনে আন্তর্জাতিক ১০২তম সমবায় দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কথা বলেছেন। আমরা যদি স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে চাই তাহলে আগে আমাদের স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। আর স্মার্ট নাগরিক সমবায় উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব না। সমবায় দিয়ে যতটা দ্রুত হবে গোষ্ঠী বা ব্যক্তি কেন্দ্রিক সেটা সম্ভব হবে না।

সমবায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্রাজ্যবাদীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে পাকিস্তানি যাঁতাকলে ফেলে দিলো। ত্রিশ বছর ধরে মার খেয়ে গেছি। জাতির পিতার কন্যা সেখান থেকে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

আমাদের প্রাথমিক সমবায় মার খেয়ে গেছে অপরিপক্কতায় উল্লেখ করে আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমাদের যে সদস্যরা আছে তাদের সাহসী করতে হবে, সাহস দিতে হবে। আর না হয় তারা কিন্তু আবার সাম্রাজ্যবাদীদের কাছে চলে যাবে। কিছু কিছু জায়গায় নেতৃত্ব ভাল থাকায় সেটি কিন্তু টিকেও গেছে। তাই আমাদের নেতৃত্ব আগে ঠিক করতে হবে।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগে যারা যা করেছেন, আপনাদের অবহেলায় বা যে কারণে হউক সমবায় সে জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। এখন থেকে প্রতিটি প্রাথমিক সমবায়ের হিসাব থাকবে আমার দপ্তরে। প্রাথমিক সমবায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা সমবায়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

;

রাজবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর কালুখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে দ্রুতগতির অপর একটি ট্রাকের ধাক্কায় দুজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের গড়িয়ানা কালিবাড়ি এলাকায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর গ্রামের মো. ফেলুর ছেলে মো. লিটন (৩২) ও রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের মো. আনছারের ছেলে আনিছুর (৩৫)। এরা দুজনই ট্রাকের শ্রমিক।

পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ জানান, রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের মদাপুর ইউনিয়নের গড়িয়ানা কালিবাড়ি এলাকায় বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল কুষ্টিয়ামুখী একটি পণ্যবাহী ট্রাক। ওই ট্রাকের হেলপার লিটন ট্রাকটির পেছনে দাঁড়িয়ে মেরামতের কাজ করছিলেন। হঠাৎ ওই ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয় কুষ্টিয়াগামী আরেকটি আম বোঝাই ট্রাক। এতে দুটি ট্রাকই দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ধাক্কা দেয়া ট্রাকের হেলপার আনিছুর। অপর ট্রাকের হেলপার লিটনকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

;

শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুল গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুল গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের ছোট শিশুরাই হবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর, সবাইকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে।

শনিবার (৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত স্কুল গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর অন্যতম চাওয়া ছিলো সুন্দর জীবন ও দেশের মানুষের কল্যাণ। আজকের শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের পরিচালক। তারাই দেশ চালাবে, তারা চাঁদেও যাবে। সেভাবেই সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫ এর পর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। সবাইকে উপলব্ধি করতে হবে কিভাবে স্বাধীনতা পেলাম৷ স্বাধীনতার পরে যে কাজগুলো সেগুলোও জানতে হবে।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ঐতিহাসিক বিদ্যালয় গিমাডাঙ্গা টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যেখানে জড়িয়ে আছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি। এখানেই শৈশবে পড়ালেখা করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাবার স্মৃতি বিজরিত সেই স্কুলে এলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধনের পর টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান সরকার প্রধান।

এরপর নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করেন তিনি। পরে জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

এর আগে, শুক্রবার (৫ জুলাই) পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় পদ্মাসেতু হয়ে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হন প্রধানমন্ত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান শেখ হাসিনা।

;

নীলফামারীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে আহত ইমামের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সদরে ভোর বেলা আবুল হোসেন (৫০) নামে এক মক্তব শিক্ষককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। এরপর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৬ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় মারা যান তিনি।

গত সোমবার (১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ীর নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আবুল হোসেন সদরের অচিনতলা এলাকার মৃত সবীর উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি মক্তবের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি তেঁতুলতলা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে তিনি ফজরের নামাজ শেষে সাইকেলযোগে মক্তবের দিকে যাচ্ছিলেন। নীলফামারী-ডোমার মহাসড়কের তরনীবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় পৌঁছালে অতর্কিতভাবে দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়।

এ সময় পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

শনিবার (৬ জুলাই) সকালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। কি কারণে এই হামলা করা হয়েছে তা জানা যায়নি। আহত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর বা আসামিদের আটকের পর এটা বলা যাবে। মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;