সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো জুবায়ের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)/ ছবি: সংগৃহীত

নিহত শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮)/ ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীর হাতে নিহত অপর শিক্ষার্থী জুবায়ের হাসান রাফিত (১৮) সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলো। সকালে কোচিং করতে বের হয়ে আর না ফেরায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন স্বজনরা। সন্ধ্যায় তারা এক শিক্ষলের মাধ্যমে জুবায়েরের হত্যার খবর পান।

এ দিকে জুবায়েরকে হত্যার অভিযোগে উঠেছে তারই সহপাঠী রাজিন ওরফে সামি বিরুদ্ধে। সামি কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ও কমার্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম ইকবাল হোসেন।

বিজ্ঞাপন

জুবায়েরের নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর মামা মো. নুরুজ্জামান।

তিনি বলেন, সকালে কোচিং করার জন্য জুবায়ের বাসা থেকে বের হয়। পরে সে আর বাসায় না ফেরায় তাকে বিভিন্ন জায়গা খোঁজাখুঁজি করা হয়। সন্ধ্যায় কলেজের এক শিক্ষক জানায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসে দেখি কমার্স কলেজের স্টাফ কোয়ার্টারের তৃতীয় তলায় আমার ভাগিনার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে কলেজের কিছু বন্ধুর সঙ্গে জুবায়েরের ঝগড়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকরা মিটমাট করে দেয়। তখন শিক্ষকরা তাকে বলেছিল তার বন্ধুরা ভালো না। তাদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। তারাই জুবায়েরকে হত্যা করেছে বলে ধারণা নুরুজ্জামানের।

জানা যায়, নিহত শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়ির নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জে। তার বাবার নাম আবুল বাশার। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। ঢাকায় মামার বাসায় থেকে পড়াশোনা করতো। মিরপুর কমার্স কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।

এ দিকে শিক্ষার্থী হত্যার বিষয়টি জানলেও রহস্যজনকভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন কমার্স কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা। এমন কি হত্যার বিষয়টি জানলে এ বিষয় মুখ খুলছেন না শিক্ষার্থী উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকরা।