নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালানোর আড়ালে ডাকাতি, গ্রেফতার ৭



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
গ্রেফতার আসামিরা, ছবি: সংগৃহীত

গ্রেফতার আসামিরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত ও তাদের সহযোগী এক অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি শাবল এবং ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সুধারাম থানার আন্ডারচর ইউনিয়নের ডাকাত সর্দার মো.কামাল (৪৩), লক্ষীপুরের রামগতি থানার সবুজ গ্রামের মো.শামীম (২২), রামগতি থানার সুজন গ্রামের মো.রায়হান (২৮) ভোলা জেলার ফুলকেইচ্যা গ্রামের মো.মিরাজ (২২) লক্ষীপুরের কমলনগর থানার নবীগঞ্জ বাজার এলাকার মো.শরীফ (২৭) লক্ষীপুর সদর উপজেলার চর মনসা গ্রামের মো.হেলাল উদ্দিন (২১) লক্ষীপুরের কমলনগর থানার ইসলামগঞ্জ এলাকার মো.সালাউদ্দিন সবুজ (২৬) একই থানার চরজগবন্ধু গ্রামের শ্রাবণ স্বর্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো.হাসান ওরেফ রিপন (৩০)।

পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলায় কিছু ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দার কামালের নাম উঠে আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত কামাল ও তার সহযোগী শামীম, রায়হান, মিরাজ, শরীফ,হেলাল উদ্দিন, সালা উদ্দিন ও হাসানকে গ্রেফতার করে। ডাকাত কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, লুণ্ঠনসহ ১৬টি মামলা আছে।

পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতার ডাকাত রায়হান চৌমুহনী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন। অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর রেকি করে সেগুলোর বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে দলনেতা কামালের কাছে দেন। রায়হানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেটকৃত বাড়িতে ডাকাত কামালের দল ডাকাতি করে। ডাকাতিতে অটোরিকশা চালক রায়হান সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। ডাকাতির স্বর্ণ তারা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার রিপন স্বর্ণকারের কাছে বিক্রয় করে। পরবর্তীতে ডাকাত কামালের ভাষ্যমতে মালামাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে। স্থানীয় এজেন্ট রায়হানের তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্রগ্রামে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন। পরে ডাকাতি করে কামাল ডাকাত দল নিয়ে চট্রগ্রাম চলে যেতেন।

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ, ৩০ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ী সোহেলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

ছবি: সংগৃহীত, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যবসায়ী সোহেলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরের বাসা থেকে এক ব্যবসায়ীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৩০ ঘণ্টা পরেও খোঁজ মেলেনি তার।

নিখোঁজ ব্যবসায়ীর নাম আবু সোলাইমান মো. সোহেল। সোহেল মিরপুর-১ এর একজন ব্যবসায়ী। তিনি মিরপুর ক্লাবের একজন সদস্য এবং মিরপুর ক্লাব বিল্ডার্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর।

পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন, রোববার (৭ জুলাই) সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে সোহেলকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ৩০ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পক্ষ থেকে এরকম কাউকে আটক বা গ্রেফতার করার সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।

নিখোঁজ সোহেলের বড়ভাই খালেদ বলেন, সোহেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক শিক্ষার্থী। সে মিরপুর-১ এর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মিরপুর ক্লাবের সদস্য এবং মিরপুর ক্লাব বিল্ডার্সের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সে মিরপুর-২ এ-ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ১/১ বাসায় থাকে।

কোনো কথাবার্তা নেই হঠাৎ করে রোববার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একদল লোক বাসায় ঢুকে সোহেলকে তুলে নিয়ে চলে যায়।

খালেদ বলেন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আমরা ডিবির পোশাক পরিহিত লোকজনকেই দেখেছি। বাসার কেয়ারটেকারকে সঙ্গে নিয়ে গেলেও তাকেও সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী আবু সোলাইমান মো. সোহেল, ছবি- সংগৃহীত


আমরা সংবাদ পাওয়ার পর ঢাকায় আসি এবং ডিবি কার্যালয়ে নানানভাবে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু আমাদের বলা হচ্ছে, এরকম কাউকে তারা আটক বা গ্রেফতার করেনি।

খালেদ বলেন, কুমিল্লা সদর বানাসুয়া গ্রামে আমরা থাকি। ঈদে ঢাকার বাসা থেকে সোহেল স্ত্রী সন্তানসহ বাড়ি এসেছিল। সে চলে গেলেও স্ত্রী-সন্তান গ্রামেই রয়ে যায়। এর মধ্যেই এই ঘটনা! আমরা এখন উৎকণ্ঠায় আছি! তাহলে সোহেলকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে গেল কারা!

সোহেলের স্ত্রী সায়মা আক্তার নিধিলা বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে আসার পর আমাদের রেখে সোহেল শুধু ঢাকা ফিরেছে। রোববার তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর বাড়ির কেয়াটেকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে জানতে পারি। এরপর থেকে আমাদের পরিবারের সদস্যরা ডিবি অফিস ও থানায় যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি। আমরা সোহেলকে নিয়ে ভীষণ চিন্তার মধ্যে রয়েছি।

এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বলেন, আমরা এরকম কাউকে আটক বা গ্রেফতার করিনি। আমাদের কোনো টিম এ কাজ করেনি।

;

আড়াইমাসেই র‍্যাব মুখপাত্রের দায়িত্বে বদল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
র‍্যাব

র‍্যাব

  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে র‍্যাব সদর দফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, র‍্যাবের ইতিহাসে সব থেকে কমদিন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম; যা অতীতে কেউ করেননি। তিনি মাত্র দুইমাস ১৩ দিন এই পদে ছিলেন।

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল আরাফাত ইসলামকে র‍্যাব-১৩'র অধিনায়ক থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়ে সদর দফতরে আনা হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেসময় বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটে সেখানে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার আরাফাত ইসলামকে বদলি করে র‍্যাব-৮ এ পদায়ন করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। দায়িত্ব নিলে তিনি বাহিনীর ১৩তম মুখপাত্র হবেন। গতবছরের ডিসেম্বরে মুনীম ফেরদৌস ব্যাটালিয়নটির (র‍্যাব-৫) অধিনায়ক হন। তার বাড়ি পিরোজপুরে।

;

যাত্রীবাহী বাসে ফেনসিডিল বহন, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রীবাহী বাসে ৩০৩ বোতল ফেনসিডিল বহনকালে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। রাজধানীর দক্ষিণ কেরণীগঞ্জ এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

সোমবার (৮ জুলাই) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- মো. আশরাফুল আলম (২৭)।

এম. জে. সোহেল বলেন, গতকাল র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে এক ব্যক্তি দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে করে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।


পরে র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দল আনুমানিক সকাল ১০টার পর রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় মাদক বহনকারী বাসটি থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। বাসটি থামানোর সাথে সাথে দুইজন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব একজন ব্যক্তিকে আটক করে এবং অপর ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় তার দেখানো বাসের পিছনে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে আনুমানিক ৯ লাখ ৯ হাজার টাকা মূল্যমানের ৩০৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক বহনে ব্যবহৃত একটি বাসটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রসা ছাত্র শুভ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র কামরুল ইসলাম শুভকে (১৩) হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রামগঞ্জ পৌরসভার সামনে লক্ষ্মীপুর-হাজীগঞ্জ সড়কে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন করে।

এ সময় নিহত শুভর মা রেখা আক্তার, চাচা ব্যবসায়ী লিটন গাজী, বাহরাইন প্রবাসী জামাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও আনোয়ার হোসেনসহ শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শুভ হত্যার বিচার চেয়ে তার মা রেখা আক্তার বলেন, শুভকে শিক্ষকরা মারধর করতো। তাদের মারধরেই আমার ছেলে মারা গেছে। হত্যাকারীরা জামিনে এসে এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।

শুভর চাচা লিটন গাজী বলেন, শুভকে এক বছর আগে হত্যা করা হয়েছে। এখনো আমরা বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখছি না। উল্টো হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। মামলা তুলে নিতে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

প্রসঙ্গত, নিহত শুভ রামগঞ্জ উপজেলার সাউধেরখীল গ্রামের দুবাই প্রবাসী কামাল হোসেনের ছেলে ও রামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সের হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলো। ২০২৩ সালের ১৮ জুন মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা থেকে মোবাইলে কল দিয়ে শুভ অসুস্থ বলে পরিবারকে জানানো হয়। মাদ্রাসা থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে শুভকে মৃত দেখতে পায়। একইদিন রাতে শুভর মা রেখা বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে রামগঞ্জ থানায় দুই শিক্ষকের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত শিক্ষক শাফায়েত হোসেন ও মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিন পায়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তে রয়েছে।

;