উন্নয়নের নামে ভোগান্তি, দুর্ভোগ চরমে



মাসুম বিল্লাহ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা:
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের এসকেএসইন মোড় থেকে রাধাকৃষ্ণপুরগামী ১ কি.মি. রাস্তায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। চলমান বৃষ্টিতে এই রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান কাদা হয়েছে। ফলে সেখানে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে পথচারীদের। জেলা শহরের সাথে দুই ইউনিয়নের মানুষের সহজে যোগাযোগের একমাত্র পথ হওয়ায় বাধ্য হয়ে জুতা হাতে, সাইকেল কাঁধে, মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়েও হেঁটে নিয়ে যেতে হচ্ছে মানুষদের। সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন ওই পথের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয়রা জানান, মাস দুয়েক আগে রাস্তাটির ওই অংশে মাটি দেওয়ায় এমন কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এমন উন্নয়ন এখন ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে গত অর্থ বছরের শেষের দিকে বিশেষ বরাদ্দে এসকেএসইন মোড় থেকে রাধাকৃষ্ণপুরগামী (ভেলাকোপা) এক কিলোমিটার রাস্তায় মাটি কাটা হয়। উন্নয়নের জন্য সেই মাটিই এখন ওই পথে চলাচলকারীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাদা রাস্তায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সরজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে ওই রাস্তায় দেখা যায়, পথচারিরা হাঁটুর উপর কাপড় তুলে জুতা হাতে চলাচল করছেন। কাদা ভেদ করে হেঁটেই চলেছে বাইসাইকেল চালকরা। সাইকেলের চাকায় কাদা আটকে গিয়ে অনেক কষ্টে ঠেলে ঠেলে ওই পথ পার হচ্ছেন সাইকেল চালকরা। মোটরসাইকেল চালকরা গাড়ি চালু রেখেই ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন মোটরসাইকেল। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকদেরকেও জুতা হাতে চলতে দেখা গেছে। কাদায় পিছলে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যাত্রাও ভঙ্গ হচ্ছে কারো কারো।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় বছরই স্থানীয়রা চাঁদা তুলে ভাঙা ইট, বালি, সুরকি ও রাবিশ ফেলে ওই রাস্তা মেরামত করে কিছুটা চলাচল উপযোগী করেছিলেন। কিন্তু পর পর দুই দফায় সেখানে মাটি কাটায় ইট ঢেকে পড়ে কাদার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সবুর সরকার, শরিফুল ইসলাম , জহুরুল হক ও অষুধ ব্যবসায়ী এনামুল হকসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, 'রাস্তায় নতুন করে মাটি কাটার কারণেই আজকে এখানে হাঁটু পরিমাণ কাদা হয়েছে। মাটি কেটে উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তায় যে স্থানগুলো খারাপ ছিলো সেখানে আমরা ভাঙা ইট ফেলে চলাচল উপযোগী করেছিলাম। তখন এতটা কাদা বা ধুলা হয়নি। নতুন করে মাটি কেটে ইটগুলো ঢেকে দেওয়ার কারণে এখন বছর বছর বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা হচ্ছে।

এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, "শুধু মাত্র বিল তোলার জন্য এখানে যৎ সামান্য মাটি কাটা হয়েছে। এই রাস্তাটিতে মাটি কাটার কোনো প্রয়োজনেই ছিলনা। কাঁচা হলেও এতটা কাদা হতোনা। সরকারের টাকা লুটপাট করে আত্মসাৎ করতেই এখানে লোক দেখানো কাজ করে আমাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।

কাদা রাস্তায় মোটরসাইকেল ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন পথচারী/ছবি: বার্তা২৪.কম

এ সময় ওই পথে জুতা হাতে নিয়ে হেঁটে চলা পথচারী স্থানীয় লাভলু মিয়া বলেন, 'রাস্তাটির এই দূরাবস্থা দীর্ঘদিনের। আমরা প্রত্যেক বছরই বর্ষায় কাদায় ভোগান্তিতে পড়ি, খরাতেও ধুলায় হেঁটে চলা দায় হয়েছে। রাস্তাটি দেখার কেউই নেই। মোটরসাইকেল স্ট্রার্ট দিয়ে হেঁটে নিয়ে চলা রওশন মিয়া বলেন, রাস্তার যে অবস্থা দেখতেই পারছেন। আসলে শহরে সহজে যাওয়ার রাস্তাটি এটি। এছাড়া অন্যদিকে যেতে চাইলে ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়।

কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্কুল থেকে ফিরে আসা এক নারী অভিভাবক বলেন, রাস্তাটি খুব দ্রুত পাকাকরণ জরুরি। শিশু বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে আমাদের অনেকটাই সমেস্যা হচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার সময় অনেক বাচ্চা পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে সেদিন আর বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা। আমাদের এই রাস্তার কারণে বর্ষাকালে বেশিরভাগ দিনই স্কুলে যাওয়া হয়না এবং একই কারণে এই এলাকার বেশ কিছু অভিভাবক বাচ্চাকে স্কুলে নিয়েই যাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাস্তাটি বোয়ালী ইউনিয়নের অতি পুরাতন এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। রাস্তাটি পাকাকরণ অতি জরুরি। এসময় রাস্তা পাকাকরণে স্থানীয় সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আড়াইমাসেই র‍্যাব মুখপাত্রের দায়িত্বে বদল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
র‍্যাব

র‍্যাব

  • Font increase
  • Font Decrease

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে র‍্যাব সদর দফতরের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, র‍্যাবের ইতিহাসে সব থেকে কমদিন মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন কমান্ডার আরাফাত ইসলাম; যা অতীতে কেউ করেননি। তিনি মাত্র দুইমাস ১৩ দিন এই পদে ছিলেন।

র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস

এর আগে, গত ২৪ এপ্রিল আরাফাত ইসলামকে র‍্যাব-১৩'র অধিনায়ক থেকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দিয়ে সদর দফতরে আনা হয়। গত বছরের জানুয়ারিতে তিনি ব্যাটালিয়নটির অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেসময় বেশ কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ঘটে সেখানে।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা কমান্ডার আরাফাত ইসলামকে বদলি করে র‍্যাব-৮ এ পদায়ন করা হয়েছে। তার জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন র‍্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। দায়িত্ব নিলে তিনি বাহিনীর ১৩তম মুখপাত্র হবেন। গতবছরের ডিসেম্বরে মুনীম ফেরদৌস ব্যাটালিয়নটির (র‍্যাব-৫) অধিনায়ক হন। তার বাড়ি পিরোজপুরে।

;

যাত্রীবাহী বাসে ফেনসিডিল বহন, গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যাত্রীবাহী বাসে ৩০৩ বোতল ফেনসিডিল বহনকালে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। রাজধানীর দক্ষিণ কেরণীগঞ্জ এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

সোমবার (৮ জুলাই) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- মো. আশরাফুল আলম (২৭)।

এম. জে. সোহেল বলেন, গতকাল র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে এক ব্যক্তি দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাসে করে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।


পরে র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দল আনুমানিক সকাল ১০টার পর রাজধানী ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন রাজেন্দ্রপুর এলাকায় মাদক বহনকারী বাসটি থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়। বাসটি থামানোর সাথে সাথে দুইজন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব একজন ব্যক্তিকে আটক করে এবং অপর ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় তার দেখানো বাসের পিছনে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তার ভিতর হতে আনুমানিক ৯ লাখ ৯ হাজার টাকা মূল্যমানের ৩০৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় মাদক বহনে ব্যবহৃত একটি বাসটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কেরাণীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রসা ছাত্র শুভ হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্র কামরুল ইসলাম শুভকে (১৩) হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রামগঞ্জ পৌরসভার সামনে লক্ষ্মীপুর-হাজীগঞ্জ সড়কে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধন করে।

এ সময় নিহত শুভর মা রেখা আক্তার, চাচা ব্যবসায়ী লিটন গাজী, বাহরাইন প্রবাসী জামাল হোসেন, হাবিবুর রহমান ও আনোয়ার হোসেনসহ শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

শুভ হত্যার বিচার চেয়ে তার মা রেখা আক্তার বলেন, শুভকে শিক্ষকরা মারধর করতো। তাদের মারধরেই আমার ছেলে মারা গেছে। হত্যাকারীরা জামিনে এসে এখন প্রকাশ্যে ঘুরছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।

শুভর চাচা লিটন গাজী বলেন, শুভকে এক বছর আগে হত্যা করা হয়েছে। এখনো আমরা বিচারের কোনো অগ্রগতি দেখছি না। উল্টো হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে। মামলা তুলে নিতে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। আমরা হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

প্রসঙ্গত, নিহত শুভ রামগঞ্জ উপজেলার সাউধেরখীল গ্রামের দুবাই প্রবাসী কামাল হোসেনের ছেলে ও রামগঞ্জ মোহাম্মদিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সের হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলো। ২০২৩ সালের ১৮ জুন মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা থেকে মোবাইলে কল দিয়ে শুভ অসুস্থ বলে পরিবারকে জানানো হয়। মাদ্রাসা থেকে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে এসে শুভকে মৃত দেখতে পায়। একইদিন রাতে শুভর মা রেখা বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগে রামগঞ্জ থানায় দুই শিক্ষকের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজাহারভুক্ত শিক্ষক শাফায়েত হোসেন ও মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হলেও পরে জামিন পায়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) তদন্তে রয়েছে।

;

ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর

ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৮-১৪ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রুপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। আগামী এক বছরে আমরা পাঁচ লক্ষ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যরা যারা উপস্থিত আছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যে সকল শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি- তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।

গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে, ফলদ, বনজ এবং ঔষধি- যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একই সঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়।

সভাপতির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাছ লাগাতে বেশি সময় লাগে না, আমরা যেন এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজে ফাঁকি না দেই। অফিসের কাজের পাশাপাশি অনায়াসে গাছ লাগানো যায়। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে নগরকৃষির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন গণপূর্তসচিব।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে খালি জায়গায় একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। বক্তব্যের পর উপস্থিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

;