বগুড়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

বগুড়ায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী

বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও পানিবন্দী রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।

শনিবার (৬ জুলাই) বিকাল ৩টা পর্যন্ত যমুনার পানি না বাড়লেও বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার। শনিবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়নি।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে এতথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে যমুনা ও বাঙালি নদীতে পানি বাড়তে থাকায় নিচু এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর, রাস্তা ও ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে ১৭টি ইউনিয়ন কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। ওইসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষ পানবন্দী অবস্থায় দিনযাপন করছেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাছেদুজ্জামান রাসেল জানান, তার ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন। পানি বন্দী পরিবারের অনেকেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, যমুনা নদীতে পানি বাড়ায় প্রবল স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সারিয়াকান্দির ইছামারা, হাটশেরপুর, কর্ণিবাড়ি, সোনাতলার সুজাইতপুর এবং ধুনটের শহড়াবাড়ি বাঁধের ১০০০ মিটার ভাঙন ঝুঁকি রয়েছে। এদিকে সোনাতলা উপজেলার ২০টির বেশি গ্রামে বিপুলসংখ্যক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসায় পানি ঢুকে পড়ায় সেখানে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলে তিন উপজেলায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ১১৫ হেক্টর ফসলি জমি এখন পানির নিচে। এদিকে পানিবন্দী পরিবারগুলোতে খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট শুরু হয়েছে।

জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয় সংসদ সদস্যরা সোনাতলা ও সারিয়াকান্দির বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সোনাতলায় ৫০ মেট্রিক টন এবং সারিয়াকান্দি উপজেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ১০০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেছেন, যতদিন বন্যা থাকবে ততদিন ত্রাণ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে ত্রাণ সংগ্রহ করে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।