মেয়েকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার, মা আটক

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়েকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার, মা আটক

মেয়েকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার, মা আটক

ময়মনসিংহের ভালুকায় কৃত্তিকা চক্রবর্তী (৯) নামে একমাত্র মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে মা। এ ঘটনায় মা কেয়া চক্রবর্তীকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকার সাদিক টাওয়ারের তিন তলার ভাড়া বাসায় এই ঘটনা ঘটে। 

বিজ্ঞাপন

নিহত কৃত্তিকা চক্রবর্তী খাগড়াছড়ি জেলার রামগর উপজেলার প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী একমাত্র মেয়ে। প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী স্বপরিবারে ভাড়া বাসায় থেকে স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক অফিসার হিসেবে কর্মরত। কৃত্তিকা চক্রবর্তী গাজীপুর শাহীন স্কুলের ৪র্থ শ্রণির ছাত্রী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আটক কেয়া চক্রবর্তী কয়েকদিন যাবত পারিবারিক কলহের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ঘটনার দিন সকালে কোনো ঝগড়ার ঘটনা ঘটেনি। স্বামী প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী স্বাভাবিকভাবে নিজ কাজে বেরিয়ে যায়লন। স্বামী বাসা থেকে বেরিয়ে গেলেও কেয়া চক্রবর্তীর ভাই অলোক চক্রবর্তী বাসায় ছিলেন। দুপুরের পরে অলোক চক্রবর্তী নিজ কাজে বাসা থেকে রেরিয়ে আসেন। কাজ শেষে ফেরার পর রুমের দরজা বন্ধ পায়। অনেক ডাকাডাকি করলেও কেয়া চক্রবর্তী কোনো সাড়া দেননি। পরে অলোক চক্রবর্তী স্থানীয় মানুষজন ও পুলিশকে খবর দেয়। 

এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙ্গে কৃতিকা চক্রবর্তীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পারেন। এসময় মা কেয়া চক্রবর্তী মৃত মেয়ের পাশেই বসে ছিলেন। এমতাবস্থায় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ও মা কেয়া চক্রবর্তীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

অলক চক্রবর্তী জানান, আমার বোন গত করোনার সময় থেকে মানসিক সমস্যায় ভোগছিলেন। করভাবে এ ঘটনা ঘটেছে আমি কিছুই বলতে পারবো না।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামছুল হুদা বলেন, আটক কেয়া চক্রবর্তী নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন। তিনি তার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করেছেন। কেন হত্যা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আটক নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, সে এলোমেলো কথা বলছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থ প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও জানান তিনি।