কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ডাকা বাংলা ব্লকেডে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। তাই যানজট এড়াতে মেট্রোরেলের স্টেশনে দেখা যায় অফিসফেরতদের উপচেপড়া ভিড়।
সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করার দাবিতে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল ৪টার পর রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর ও কারওয়ান বাজার মোড় অবরোধ করেন।
এছাড়া সায়েন্সল্যাব, নিউ মার্কেট, নীলক্ষেত মোড়, চানখারপুলসহ বিভিন্ন সড়ক পয়েন্টে অবরোধের কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় রাজধানীর সড়কগুলোতে সব যানবাহন স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তবে গণপরিবহনের মধ্যে মেট্রোরেলের চলাচল স্বাভাবিক ছিল। এ অবস্থায় অফিসফেরত যাত্রীসহ অন্য সাধারণ যাত্রীরাও যাতায়াতের জন্য মেট্রো স্টেশনগুলোতে ভিড় জমান। হঠাৎ অনেকবেশি যাত্রীর ভিড়ে মেট্রো স্টেশনগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ, গুলিস্থান, মহাখালী, আগারগাঁও, আসাদগেট, পান্থপথ, কলাবাগান, মগবাজার, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও সায়েন্সল্যাবসহ বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট। গাড়ি চলতে না পারায় অনেককে বাস থেকে নেমে গন্তব্যে হেঁটে রওনা দিতেও দেখা যায়। আর বাসগুলো বন্ধ করে চালক ও সহকারীরা ভেতরে অবস্থান করতে দেখা যায়।
তুহিন শেখ নামে এক চাকরিজীবী বলেন, কাজ শেষে বাসায় গিয়ে একটু আরাম করবো। কিন্তু অবরোধের মুখে পড়ে বাস আটকে। তাই এখন বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছি। অবরোধ ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করলে রাত পর্যন্ত বসে থাকতে হবে। সেজন্য পায়ে হেঁটে কিছুদূর আগানোর চেষ্টা করছি।
ভিড় ঠেলে কারওয়ান বাজার থেকে মেট্রো রেলে উঠেছিলেন আমিনুল। তিনি বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি কারওয়ান বাজার স্টেশনে আসেন উত্তরা যাবেন বলে। মেট্রোয় উঠতে পেরেছেন সন্ধ্যা ৬টায়। যে সময় উঠেছেন, সে সময় বগিগুলোয় তিল ধারণের জায়গা ছিল না। অনেক কষ্টে অন্যান্য যাত্রীদের ঠেলে ট্রেনে ওঠেন। ট্রেনে এসি চললেও মানুষের শরীরের তাপে পরিবেশ গরম হয়ে উঠছিল। মিরপুরের পর থেকে কিছুটা যাত্রীজট কমে।