ফার্মগেট ছেড়েছে অবরোধকারীরা, যান চলাচল শুরু

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফার্মগেট ছেড়েছে অবরোধকারীরা,  যানচলাচল শুরু/ছবি: বার্তা২৪.কম

ফার্মগেট ছেড়েছে অবরোধকারীরা, যানচলাচল শুরু/ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আড়াই ঘণ্টা অবরোধের পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফার্মগেট ছেড়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৫টা থেকে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে তারা।

কার্যত সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকেই কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ আবরোধকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ছাত্ররা শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট অবরোধ করে রাখে। এসময় পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিকেল ৫টায় কারওয়ান বাজারে পুলিশি বাঁধা ডিঙিয়ে ফার্মগেট অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। বিকেল ৪.৫৫ টায় সুর্যসেন হল শাখার একটি মিছিল এসে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। মাইকে বারবার কারওয়ান বাজার অবস্থানের ঘোষণা দেওয়া হলেও একটি গ্রুপ ফার্মগেটের দিকে রওয়ানা দেয়। আন্দোলনকারীরা ফার্মগেট থেকে তেজগাঁও অভিমূখে আরও অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়।

এতে করে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলেও পুলিশ শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তিতুমীর কলেজের ব্যানারে ছাত্রদের একটি গ্রুপ ফার্মগেট এলাকা অবরোধ করে রাখে। অবরোধের কারণে খামারবাড়ি রোডসহ আশপাশের রোডগুলোতে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদের অবর্ননীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

শুধু নিচের সড়কে নয়, ফার্মগেটের এক্সপ্রেসওয়েতেও দীর্ঘ জট দেখা গেছে। অনেকে বাস থেকে নেমে পায়ে হেটে গন্তব্যে রওয়ানা দেন। তবে বাইক চালকরা বিপদে পড়ে যান, তাদের হেটে যেতেও বাঁধার সৃষ্টি করে অবরোধকারীরা।

প্রসঙ্গত, ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আজ ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হয়, আপাতত আগের মতোই বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। তাই পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজও হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।